ফিরে দেখাঃ ভুয়া অডিট রিপোর্ট ও তথ্যে ঋন জালিয়াতি থেমে নেই,কঠোর নজরদারীতে দুদক

ফিরে দেখাঃ ঋনজালিয়াতি কারনে ব্যাংকগুলো রয়েছে চরম বেকায়দায়। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশ। কিছু অসাধু অডিট ফার্ম ও একদল অসাধু নামধারী অডিটর কাম একাউন্ট্যান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভুয়া অডিট রিপোর্ট তৈরি করে দিয়ে ব্যাংক ঋন পেতে সহয়তা করে। ব্যাংকের কিছু অসাধু দালালরা তা দেখেও না দেখার ভাণ করে। যে কারনে ফেঁসে গিয়েছেন বহু ব্যাংকের এমডি। সম্প্রতি, বিসমিল্লাহ গ্রুপ ও এনন টেক্সের ৫৭৬৮ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনা অনুসন্ধানে দুদক।

ফিরে দেখাঃ ভুয়া অডিট রিপোর্ট ও তথ্যে ঋন জালিয়াতি থেমে নেই,কঠোর নজরদারীতে দুদক

বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা রাতদিন কস্ট করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার চেস্টা করে যাচ্ছেন। আর  অর্থচোরেরা ফান্ড খালি করে মৌজমাস্তিতে ব্যস্ত। এরা  নিজের দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনে। বারবার এরাই আবার স্বপদে বহাল হয়ে কেলেংকারীতে লিপ্ত হয়। বঙ্গকন্যা ছাড়দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। একটু সময়ের অপেক্ষা। 

মোঃ হেলাল উদ্দিনঃ

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ট্রেড লাইসেন্স এবং টিন সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে ফ্ল্যাট মালিক কিংবা ক্রেতা সেজে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। এ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও করেছে  গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করে এই জালিয়াতির কাজে সহায়তা করতেন নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন নিম্ন শ্রেণির কিছু অসাধু দালাল ও কর্মচারী। সম্প্রতি, জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৪ জনকে বরখাস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এ পর্যন্ত ১১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারণার তথ্য পেয়েছে ডিবি। অভিযুক্তরা ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে ঢাকা ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ফ্ল্যাট লোন নিয়ে টাকা পরিশোধ না করে তা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যেত।

বিশেষ সুত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের লোন শাখায় কাজ করে এমন কর্মকর্তারা বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছে ঘোরাফেরা করে প্রতিনিয়ত। তারা তাদের টার্গেট অর্জনের জন্য নানা ধরনের বুদ্ধি বাতলিয়ে দেয় তাদের। সেই সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেয় একশ্রেণীর কমিশন খোর কর্মকর্তা। তারা ফ্ল্যাট কেনার জন্য লোন চায় ব্যাংকের কাছে। তখন ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোন ফ্ল্যাট কিনবেন সেখানে ব্যাংক ভিজিট করবে। তখন প্রতারকরা ভিজিটের জন্য ব্যাংকারসহ ফ্ল্যাট দেখতে যাবে। প্রতারকরা আগে থেকেই সাইনবোর্ড দেখে কোন ফ্ল্যাট বিক্রি হবে তাদেরকে ঠিক করে রাখে। দেনাগ্রস্থ কিংবা অন্য কোন কারনে দেউলিয়া এমন ফ্ল্যাটের মালিকদের তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে এরা অন্যে ফ্ল্যাটের মালিকদের সাথে চুক্তিও রেডি করে রাখে। এরপর ভুয়া অডিট রিপোর্ট তৈরি করে দালালদের মাধ্যমে ব্যাংকে উপস্থাপন করে। ব্যাংক  ফ্ল্যাট ভিজিটে গেলে সবকিছু ঠিক দেখতে পায়।

পরবর্তীতে প্রতারক দল ফ্ল্যাট মালিকের কাছ থেকে এনআইডি ও ফ্ল্যাটের কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে আসে। সরল বিশ্বাসে ফ্ল্যাট মালিক এনআইডি ও ফ্ল্যাটের কাগজপত্র দিয়ে দেয়। তারপর প্রতারকরা ফ্ল্যাট মালিকের এনআইডি হুবহু নকল করে শুধুমাত্র ছবি পরিবর্তন করে এনআইডি তৈরি করে। যে এনআইডি সার্ভারে বা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখতে পায়। ব্যাংকের কর্মকর্তারা এনআইডি সার্ভারে সার্চ দিলে তা সঠিক দেখতে পায়।

এরপর ব্যাংক প্রতারকদের অফিস ভিজিটে যান। তখন প্রতারকরা অফিস ভাড়া নেয় ১ বা ২ মাসের জন্য। কিংবা তাদের হয়তোবা অন্যকোন ব্যবসা এবং অফিস থাকেও। কিন্তু তথ্য ভুয়া। ব্যাংকের লোক প্রতারকদের অফিস ভিজিটে গিয়ে অফিস গোছানো এবং সব ঠিক আছে দেখতে পায়। তারপর ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন করার দিন ব্যাংকের লোক উপস্থিত থাকে। যেহেতু ফ্ল্যাট ভিজিট করেছে, এনআইডি সার্ভারে এনআইডি সঠিক পেয়েছে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সঠিক পেয়েছে, সব কিছু ঠিক দেখে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন হওয়ার ১/২ দিন পর ঋণের পে-অর্ডার দিয়ে দেয়া হয় ফ্ল্যাটের সাজানো ক্রেতা ও বিক্রেতাকে। পরবর্তীতে ঋণের কিস্তি পরিশোধ না হলে প্রতারকদের দেয়া এনআইডির বিস্তারিত দেখতে গেলে ব্যাংক বুঝতে পারে যে, ব্যাংক প্রতারিত হয়েছে। তবে কোন কোন সময় চক্রাকারে একলোন নিয়ে  আরও হাজারও লোনের ফাঁদ তৈরি করে।

ফিরে দেখা কেইস ষ্টাডিঃ

প্রসঙ্গঃ এনন টেক্স ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি

ফেঁসে যাচ্ছেন জনতা ব্যাংকের এমডি: বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির মামলায় তদবির করে দুদক থেকে পার পেলেও পুনঃতদন্তে আটকে যেতে পারেন । এনন টেক্সের ৫৭৬৮ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনা অনুসন্ধান করছে দুদক।

এনন টেক্স গ্রুপ  এবং বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন জনতা ব্যাংকের এমডি আবদুছ ছালাম আজাদ। বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতিতে দুদকের মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন জনতা ব্যাংকের এমডি আবদুছ ছালাম। ওই সময় তিনি প্রভাবশালীদের তদবিরে অভিযোগের দায় থেকে সাময়িকভাবে মুক্ত হয়েছিলেন। দুদকের মামলায় দু’দফা তদন্তে তাকে চার্জশিটভুক্ত আসামি করা সম্ভব হয়নি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলে আসছে, শাখা প্রধান হিসেবে আবদুছ ছালাম আজাদ বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির দায় এড়াতে পারেন না। বর্তমানে দুদক তাকে ওই সময় অব্যাহতি দেয়ার কারণ খুঁজছে বলে জানা গেছে। বিসমিল্লাহ এবং এনন টেক্স দুই গ্রুপের ঘটনার সময়ই তিনি জনতা ব্যাংকের কর্পোরেট শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন।

এনন টেক্স গ্রুপের ৫ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় বর্তমান এমডি মো. আবদুছ ছালাম আজাদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে দুদক। কর্পোরেট শাখার ব্যবস্থাপক পদে থাকার সময় তিনি আইন-কানুন ও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গ্রুপটির ঋণের অনুমোদন, বিতরণ এবং পরিবীক্ষণে সহায়তা করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শনে এসব বিষয় ওঠে এসেছে।

বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির মামলা থেকে আবদুছ ছালামকে অব্যাহতি দেয়ার কারণ নতুন করে খুঁজতে শুরু করেছে দুদক। অন্যদিকে এনন টেক্স সংক্রান্ত রিপোর্টটি দুদকে পাঠানো হয়েছে। সেখানে অভিযোগের বিষয়ে দুদকের ব্যাংকিং ও মানি লন্ডারিং শাখার দু’জন পরিচালককে প্রাথমিক অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টটি পেয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, এখন আমাদের টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। অনুসন্ধানের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আবদুছ ছালাম আজাদ যখন জনতা ব্যাংক কর্পোরেট শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তখন এ শাখা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে বিসমিল্লাহ গ্রুপ ৩৩৩ কোটি টাকার ঋণ হাতিয়ে নিয়েছিল। যার পুরোটাই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। পুরো ঋণটিই এখন খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত। এ ঘটনা প্রকাশিত হলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিশদ তদন্ত করে। তাদের তদন্তে এ ঘটনার দায়ে আবদুছ ছালাম আজাদসহ কয়েক কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে দুদক ওই শাখার ঘটনায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৮ জন ও শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক আবদুছ ছালাম আজাদসহ ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ১৫ জনকে আসামি করে ২০১৩ সালে পৃথক দুটি মামলা করে। মামলা দুটির বাদী ছিলেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদক যখন কারও বিরুদ্ধে মামলা করে তখন পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ হাতে রেখেই করে। জনতা ব্যাংকের ওই শাখা ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যখন মামলা হল তখনও নিশ্চয়ই সে ধরনের প্রমাণাদি রেখেই মামলা হয়েছিল। কারণ শাখা ব্যবস্থাপকের সম্মতি ছাড়া ঋণ অনুমোদন সম্ভব ছিল না। কিন্তু ওই দুটি মামলার চার্জশিট থেকে আবদুছ ছালাম আজাদের নাম বাদ পড়েছে। বাকি কর্মকর্তারা আছেন আসামির তালিকায়।

সূত্র জানায়, জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন কর্পোরেট শাখায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৩২ কোটি ৯১ লাখ টাকার ঋণ জালিয়াতি হয়। এর মধ্যে শাহরীশ কম্পোজিট টাওয়েলকে ১৮৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং আলফা কম্পোজিট টাওয়েলকে ১৪৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয় জালিয়াতির মাধ্যমে। ২০১১ ও ২০১২ সালের মধ্যেই এসব জালিয়াতির বেশির ভাগ ঘটনা ঘটে। রফতানি বিল দেশে না আসায় তার বিপরীতে ফোর্স লোন তৈরি করে গ্রাহকের দেনা শোধ করার মত বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনাও ঘটেছে।

এনন টেক্স গ্রুপের ৫ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় বর্তমান এমডি মো. আবদুছ ছালাম আজাদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে দুদক। কর্পোরেট শাখার ব্যবস্থাপক পদে থাকার সময় তিনি আইন-কানুন ও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গ্রুপটির ঋণের অনুমোদন, বিতরণ এবং পরিবীক্ষণে সহায়তা করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শনে এসব বিষয় ওঠে এসেছে।

বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির মামলা থেকে আবদুছ ছালামকে অব্যাহতি দেয়ার কারণ নতুন করে খুঁজতে শুরু করেছে দুদক। অন্যদিকে এনন টেক্স সংক্রান্ত রিপোর্টটি দুদকে পাঠানো হয়েছে। সেখানে অভিযোগের বিষয়ে দুদকের ব্যাংকিং ও মানি লন্ডারিং শাখার দু’জন পরিচালককে প্রাথমিক অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টটি পেয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, এখন আমাদের টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। অনুসন্ধানের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদক যখন কারও বিরুদ্ধে মামলা করে তখন পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ হাতে রেখেই করে। জনতা ব্যাংকের ওই শাখা ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যখন মামলা হল তখনও নিশ্চয়ই সে ধরনের প্রমাণাদি রেখেই মামলা হয়েছিল। কারণ শাখা ব্যবস্থাপকের সম্মতি ছাড়া ঋণ অনুমোদন সম্ভব ছিল না। কিন্তু ওই দুটি মামলার চার্জশিট থেকে আবদুছ ছালাম আজাদের নাম বাদ পড়েছে। বাকি কর্মকর্তারা আছেন আসামির তালিকায়।

এনন টেক্স গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি : ইউনুস বাদল জনতা ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের নামে ৫৭৬৮ কোটি টাকা বের করে নেন। ওই টাকার মধ্যে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে তিনি একটি ‘ডামি ফ্যাক্টরি’ করেন। বাকি টাকা দেশের বাইরে পাচার করে দেন। একটি দেশে তিনি ‘সিসার’ বারও দেন। ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে তার বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি প্রচার করেন। অথচ, তিনি প্রায় বেশিরভাগ অর্থ পাচার করে দিয়ে বেশ ভালোই আছেন। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির নামেও অভিনব জালিয়াতি করেছে গ্রুপটি।

জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া কোম্পানি খুলে জনতা ব্যাংক থেকে এলসির (ঋণপত্র) টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অথচ ওই গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনুস বাদল নিজেই । এর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানির কোনো সম্পর্ক নেই। এ জালিয়াতিতে সরাসরি সহায়তা করেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবদুছ ছালাম আজাদ। এ সংক্রান্ত পরিদর্শন রিপোর্টেও বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি ওই রিপোর্টটি দুদকেও পাঠানো হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এনন টেক্স গ্রুপের কর্ণধার ইউনুস বাদল বিএনপির প্রয়াত নেতার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত করে তোলার চেষ্টা করেন। নানা ধরনের অপরাধেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গাড়ি চুরির পর নাম্বার প্লেট পরিবর্তন করে বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় গাড়ি চুরি মামলায় তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমানের টিমের হাতে। ওই সময় তাকে যাতে ‘গাড়ি চোর’ হিসেবে টিভিতে কোনো সংবাদ প্রচার না হয় সেজন্য টিমের এক কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই কর্মকর্তা তা নাকচ করে দেন।

যথারীতি গাড়ি চোর হিসেবে ইউনুস বাদলের নাম মিডিয়াতে চলে আসে। ইউনুস বাদল দেশের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য সেই সময় পাওয়া যায়নি। বিসমিল্লাহ গ্রুপ ও এনন টেক্সের ঋণ জালিয়াতিতে সহায়তার বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংকের এমডি আবদুছ ছালাম আজাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল সাংবাদিকরা। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

এমন সব ঘটনা উদ্বেগেরে জন্ম দেয়। বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা রাতদিন কস্ট করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার চেস্টা করে যাচ্ছেন। আর  অর্থচোরেরা ফান্ড খালি করে মৌজমাস্তিতে ব্যস্ত। এরা  নিজের দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনে। বারবার এরাই আবার স্বপদে বহাল হয়ে কেলেংকারীতে লিপ্ত হয়। বঙ্গকন্যা ছাড়দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। একটু সময়ের অপেক্ষা। 

ক্রাইম ডায়রি//ক্রাইম