আজিমপুর মাতৃসদনে ওষুধ দুর্নীতিঃ চিকিৎসকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

ওষুধ ক্রয়ে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কার্যাদেশ অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহের জন্য ঠিকাদারকে ৩২ লাখ ৯১ হাজার, ৭২০ টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছিল।

আজিমপুর মাতৃসদনে ওষুধ দুর্নীতিঃ  চিকিৎসকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

কালিমুল্লাহ দেওয়ান রাজাঃ

রাজধানীর পুরান ঢাকার আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ওষুধ কেনায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই মামলায় ৭ চিকিৎসক ও ৩ ঠিকাদারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার একটি আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম আজ বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান। এসময় জামিনে থাকা সব আসামি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

অভিযুক্ত ৭ চিকিৎসক ও তিন ঠিকাদার হলেন, মোনার্ক অ্যাস্টাব্লিশমেন্টের স্বত্বাধিকারী ফতেনুর ইসলাম, নাফিসা বিজনেস কর্নারের মালিক শেখ ইদ্রিস উদ্দিন চঞ্চল, সান্তনা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নিজামুর রহমান চৌধুরী, আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক এবং টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ডা. ইসরাত জাহান, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যক্ষ ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্য ড. পারভীন হক চৌধুরী, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট (স্ত্রীরোগ) ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্য ডা. মাহফুজা খাতুন, সাবেক সহকারী সমন্বয়ক (প্রশিক্ষণ ও গবেষণা) ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্য ড. চিন্ময় কান্তি দাস, ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক মেডিকেল অফিসার ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্য (বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক) ডা. সাইফুল ইসলাম, ইনস্টিটিউটের মেডিকেল অফিসার (শিশু) এবং বাজার মূল্য যাচাই কমিটির সদস্য এবং মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব ডা. বেগম মাহফুজা দিলারা আক্তার, ইনস্টিটিউটের মেডিকেল অফিসার ও বাজার মূল্য যাচাই কমিটির সভাপতি ডা. নাজরিনা বেগম এবং প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বাজার মূল্য যাচাই কমিটির সদস্য জহিরুল ইসলাম (বর্তমানে নোয়াখালী সদরে সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত)।

এর আগে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির জন্য দাখিল হওয়া সাতটি আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। মামলার মামলার শুনানি শুরুর জন্য আগামী ২২ মে দিন ধার্য করেন আদালত। গত বছরের ২৪ নভেম্বর ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গ্রহণ করেন।

ওষুধ ক্রয়ে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কার্যাদেশ অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহের জন্য ঠিকাদারকে ৩২ লাখ ৯১ হাজার, ৭২০ টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছিল।

তবে খুচরা ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দাম অনুযায়ী, একই ওষুধের সর্বোচ্চ দাম ১৬ লাখ, ৪৫ হাজার ২৯৮ টাকা। বাকিটা অতিরিক্ত পরিশোধ করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, চার আর্থিক বছরে একই প্রক্রিয়ায় অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে জানায় দুদক।

ক্রাইম ডায়রি/আদালত