বিবাহে প্রতারণার মামলায় ইউএনওর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত ।

বিবাহে প্রতারণার মামলায় ইউএনওর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মনজুর হোসেন বিভিন্ন সময় ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। তাকে নিয়ে ভারতে বেড়াতে যান।

টাঙ্গাইল সংবাদদাতাঃ

আইন সবার জন্য সমান।আইনের দৃষ্টিভঙ্গিই হলো যদি কেউ অপরাধ করে তবে প্রমাণ সাপেক্ষে সে অপরাধী। সম্প্রতি আইনের প্রয়োগকারী একটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিবাহের বিশ্বাসে প্ররোচিত করে কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ারা জারি করেছেন আদালত। তিনি টাঙ্গাইলের বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেন।

সোমবার টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আমলি আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা সুলতানা এ আদেশ দেন। ঐ কলেজছাত্রীর দায়ের করা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ আদেশ দেন আদালত। ওই কলেজছাত্রীর আইনজীবী মো. রাসেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, মো. মনজুর হোসেন ২০২১ সালে টাঙ্গাইলের বাসাইলে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকার সময় ফেসবুকের মাধ্যমে মির্জাপুরের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মনজুর হোসেন বিভিন্ন সময় ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। তাকে নিয়ে ভারতে বেড়াতে যান।

টাঙ্গাইল শহরে বাসা ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা একত্রে কয়েক মাস বসবাসও করেন। পরবর্তীতে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে মনজুর হোসেন তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২১ জুন ওই কলেজছাত্রী আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্তে অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। মনজুর হোসেন রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার চরঝিকড়ী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি হিসেবে সংযুক্ত আছেন।

ক্রাইম ডায়রি/ ক্রাইম