ফুটবলার তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেবে আর্জেন্টিনাঃ ভ্রমনে ভিসা লাগবে না

কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টে আর্জেন্টিনা যেতে ভিসা লাগবে না। এজন্য বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনা ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই করেছে। 

ফুটবলার তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেবে আর্জেন্টিনাঃ ভ্রমনে ভিসা লাগবে না
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

আর্জেন্টিনার সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিরোর সঙ্গে সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই চুক্তি সই হয়।

ফুটবল সহযোগিতার বিষয়ে চুক্তির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, তারা ফুটবলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, আমাদের ছেলেমেয়েরা ওখানে যাবে, ট্রেইনিং নেবে এবং সলিড সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, তারা আমাদের লোকদের প্রশিক্ষণ দিতে সম্মত হয়েছে, কীভাবে ফুটবল খেলতে হবে, এটা আমাদের জন্য প্লাস প্লাস। এর মাধ্যমে আমরা টেকনিক জানতে পারব। আশা করি, তাদের মতো না হলেও তাদের কাছাকাছি রকমের খেলতে পারব আমরা। আমি সেটার অপেক্ষায় আছি।

কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টে আর্জেন্টিনা যেতে ভিসা লাগবে না। এজন্য বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনা ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই করেছে। 

সোমবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এছাড়া দুই দেশের ফুটবল নিয়ে চুক্তি এবং দুদেশের কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ একাডেমির মধ্যে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমাঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।

এদিকে দীর্ঘ ৪৫ বছর পর ঢাকায় আবার আর্জেন্টিনার দূতাবাস খোলা হয়েছে। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর বনানীতে দূতাবাসের উদ্বোধন করা হয়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো দূতাবাসের উদ্বোধন করেন। 

এ সময় প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এটি একটি আনন্দের মুহূর্ত। এটি কেবল ক‚টনৈতিক বিষয় নয়, এটি আবেগপূর্ণ মুহূর্ত। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে। পুনরায় দূতাবাস চালুর ফলে দুই দেশের সম্পর্কেও উন্নতি হবে। 

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাফিয়েরো বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার দূতাবাস খোলা হয়। কয়েক বছর পর দূতাবাস বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশের মানুষ আর্জেন্টিনার জন্য অনবরত ভালোবাসা দেখিয়ে গেছে। তারা আর্জেন্টিনাকে ভুলে যাননি। এজন্য আমরা আবারও বাংলাদেশে দূতাবাস চালু করলাম।

ফুটবলে দুদেশের বন্ধনের কথা তুলে ধরে মোমেন বলেন, বাংলাদেশের সবাই আর্জেন্টিনার পতাকাকে ভালোবাসে, পতাকাটা খুবই জনপ্রিয়, ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণে, মেসি সবার হৃদয়ে আছেন। অনেক লোক আর্জেন্টিনাকে চেনে না, কিন্তু তারা মেসিকে চেনে। আমরা আশা করছি, অদূর ভবিষ্যতে মেসি বাংলাদেশ সফর করবে।

 এসময়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এটি আমাদের দুই দেশের জন্য এক আনন্দঘন মূহুর্ত।’ আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশী জনগণের ভালবাসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে শুধুমাত্র কূটনৈতিক সম্পর্কই নয়, একটি আবেগের সম্পর্কও বিদ্যমান’।এ সময় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিরো সর্বশেষ ফিফা বিশ্বকাপ চলাকালে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলকে ব্যাপকভাবে সমর্থন দেয়ায় তিনি তার দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ক্রাইম ডায়রি/জাতীয়