উন্মুক্ত হলো মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার উন্মুক্ত হওয়ায় দেশের যুবশক্তির জন্য নতুন সম্ভবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

উন্মুক্ত হলো মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

 প্রায় তিন বছর বন্ধ ছিল বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

সাবিহা আক্তারী বানু সুলতানাঃ

বাংলাদেশ জনশক্তিতে স্বয়ং সম্পূর্ন। এই শক্তির যথোপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের রেমিট্যান্স আয় সময়ের গতিতে বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের জনশক্তির একটি বড় মার্কেট হলো মালয়েশিয়া।  আর মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম প্রজেক্ট চালু হবার পর বাংলাদেশীরা সে দেশে নিজ বাড়ির মতোই স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারে।

 প্রায় তিন বছর বন্ধ ছিল বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। ডিসেম্বর ২০,২০২১ইং রোববার এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।  দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় এ স্মারক সই হয়।

   নতুন চুক্তির ফলে শ্রমিকদের দেশটিতে যাওয়ার খরচ আগের চেয়ে অনেক কমবে। বাংলাদেশের পক্ষে স্মারকে সই করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়ার পক্ষে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। যেমন রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়া, তাদের আবাসন, কর্মে নিয়োজিত করা এবং কর্মীর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন।

   মালয়েশিয়ায় আসার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত খরচ, করোনা পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত খরচসহ সব ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি বহন করবে। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসা ও কল্যাণ নিশ্চিত করবেন। মন্ত্রণালয় আশা করছে, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর বাংলাদেশি কর্মীদের অভিবাসন খরচ অনেক কমে যাবে।

 মালয়েশিয়া সরকার   ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ স্থগিত করে।  পরে নতুন করে কর্মী নিয়োগ শুরুর লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সভা হয়। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় পরামর্শ এবং কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়া সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিয়ে দেয়।

    সমঝোতা চুক্তির  ফলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং প্রত্যাবাসনের আদর্শ কাঠামো প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। চুক্তির সময়ে দুই দেশের মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল দাতু মুহাম্মদ খাইর আজমান বিন মোহামেদ আনুয়ার, বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলমসহ উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। 

ক্রাইম ডায়রি // জাতীয়