পিপলস লিজিংয়ের গ্রাহকদের মানববন্ধনঃ অর্থ ফেরত পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

পিপলস লিজিংয়ে রক্ষিত  আমানতের অর্থ ফেরত পেতে বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন ক্ষুদ্র আমানতকারীরা।

পিপলস লিজিংয়ের গ্রাহকদের মানববন্ধনঃ অর্থ ফেরত পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
ছবি-ক্রাইম ডায়রি

সংবাদ সম্মেলনে টাকা না পেয়ে পিপলস লিজিংয়ে বিনিয়োগকারী ছয় হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সবার দুঃসহ জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা

আরিফুল ইসলাম কাইয়ুমঃ

জীবনের অনেক কষ্টার্জিত অর্থ কারো জীবনের শেষ সঞ্চয়টুকু আমানত রেখেছেন পিপলস লিজিংয়ে। কিন্তু তাদেরকে সর্বশান্ত করে এমনকি ব্যাংককেও সর্বশান্ত করে হাজারকোটি টাকা  লুটে নেয় পিকে হালদার। 

পিপলস লিজিংয়ে রক্ষিত  আমানতের অর্থ ফেরত পেতে বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন ক্ষুদ্র আমানতকারীরা। একইসঙ্গে পিকে (প্রশান্ত কুমার) হালদারসহ অভিযুক্তদের  শাস্তি নিশ্চিত করতে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা, সম্পত্তি ক্রোকসহ গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।

গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রায় ছয় হাজার ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র আমানতকারীর পক্ষে প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনের আয়োজন করে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিতে আমানতকারীদের গঠিত কাউন্সিল। সংবাদ সম্মেলনে টাকা না পেয়ে পিপলস লিজিংয়ে বিনিয়োগকারী ছয় হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সবার দুঃসহ জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা।

সংবাদ সম্মেলনে পিপলস লিজিংয়ে টাকা রাখা সালাহউদ্দিন সিকদার বলেন, রাজধানীর মিরপুরের জমি ও বাড়ি বিক্রি করা ৪৫ লাখ টাকা ২০১৯ সালে পিপলস লিজিংয়ে রাখি।

কয়েক মাস পরই প্রতিষ্ঠানটির অবসায়নের ঘোষণা আসে। বর্তমানে এটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো টাকা ফেরত পাননি। দুশ্চিন্তায় দুইবার স্ট্রোক হয়েছে।

অসুস্থ থাকায় সালাহউদ্দিন সিকদারের সঙ্গে আসেন তার মা মমতাজ বেগম। তিনি বলেন, পিপলস লিজিংয়ে টাকা রেখে না পাওয়ায় দুইবার স্ট্রোক করেছে আমার ছেলে। এখন আমরা খুব কষ্টে আছি। টাকার অভাবে ঠিকমতো চিকিৎসাও করাতে পারছি না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আমানতকারী টাকা ফেরত পাওয়ার অনিশ্চয়তায় হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। 


২০১৯ সালের ১ জুলাই পিপলস লিজিংয়ের অফিসে টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে সেই অফিসেই আনোয়ার হাসান মারা যান বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী সামরিন হাসান। 

তিনি বলেন, আমার স্বামীর প্রায় ৫০ লাখ টাকা ছিল পিপলস লিজিংয়ে। কোম্পানি চলমান অবস্থায় তিনি টাকা তুলতে যান পিপলস লিজিংয়ের অফিসে। কী হয়েছে জানি না, সেখানেই আমার স্বামী মারা যান। আমরা সিসিটিভির ফুটেজ চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা দেয়নি। 
সংবাদ সম্মেলনে সারমিন হাসান, রাজিউল হাসান, কবির খান, সিদ্দিক উল্লাহ হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন তাদের জীবনের অসহায়ত্ব অবস্থার জন্য পিপলস লিজিং কে দায়ী করে তুলে ধরেন তাদের করুণ অবস্থা। 

ক্রাইম ডায়রি / অর্থ বানিজ্য