ভাইরাল হওয়া অপরাধী টিকটক হৃদয় ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার ও গুলিবিদ্ধ
The viral criminal Tiktak Hridoy was arrested and shot by the Indian police
দুই নারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ভারতের স্থানীয় পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদেরকে ঘটনাস্থলে নিলে বেঙ্গালুরু পুলিশের ওপর হামলা করে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন টিকটক হৃদয় বাবুসহ দু'জন।
ক্রাইম ডায়রি অনলাইন ডেস্কঃ
মে ২৭, বৃহস্পতিবার, ২০২১ইং রাতে রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় বাবু, সাগর, মোহাম্মদ বাবা শেখ ও অখিলসহ চারজন যুবক ও দুই নারীকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। যদিও গ্রেফতার হওয়া নারীদের পরিচয় জানানো হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা বাংলাদেশি নাগরিক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, মে ২৮, শুক্রবার, ২০২১ ইং সকালে পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করলে টিকটক হৃদয় ও সাগর গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা সবাই অবৈধভাবে ভারতে গেছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যে তরুণীকে নির্যাতন করা হয়েছে, তাকেও এই চক্রটি অবৈধভাবে ভারতে নিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেছিল বলে জানিয়েছে ভারতের পুলিশ। নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীর সন্ধান এখনো পায়নি তারা।
বেঙ্গালুরু পুলিশের ধারণা, বেঙ্গালুরুর বনসওয়াদির চান্নাসান্দ্রা এলাকায় ওই তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। তাই বনসওয়াদির সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসিপি) এন এস সাকরি ও তার দল গ্রেফতারকৃতদের চান্নাসান্দ্রা এলাকায় নিয়ে গেলে সেখানেই টিকটক হৃদয় ও সাগর পুলিশকে আক্রমণ করে পালানোর চেষ্টা করে। তখন রামামূর্তি নগর পুলিশের ইন্সপেক্টর মেলভিন ফ্রান্সিস আত্মরক্ষার্থে তাদের ওপর গুলি চালান। এতে হৃদয় ও সাগরের হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হয়। এখন তাদের একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ২২ বছরের ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতনের পর দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। গ্রেফতার সবাই একই গ্রুপের এবং সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের দুজন নারীও রয়েছেন।
হাতিরঝিল থানার ওসি মো. আব্দুর রশীদ ক্রাইম ডায়রিকে বলেন,গণমাধ্যম থেকে আমরা কয়েকজনকে গ্রেফতারের খবর পেয়েছি। তবে অফিসিয়াল চ্যানেলে এখনও ভারতের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।
ক্রাইম ডায়রি// ক্রাইম