ফেন্সিডিল আমদানী করতে চেয়ে ভাইরাল নেতাঃ এরা নেতা হয় কিভাবে?

বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর। পুরো বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখেছে একজন দেশ প্রধান সরাসরি দেশ ও জনগনকে নিরাপদ রাখতে মাদকের বিরুদ্ধে নো মার্সি ভূমিকা রাখতে পারেন।আজও বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ও জনবান্ধব শ্লোগান হলো - “চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে”। পুলিশের উপস্থিতিতে একজন নেতা নামধারী ভ্রান্ত চেতনার মানুষ কিভাবে বলেন যে, তিনি ফেন্সিডিল আমদানী করতে চান। সারা দেশের মানুষ অবাক। চায়ের টেবিলে একটাই প্রশ্ন, এমন মানুষ নেতা হয় কেমনে? তাও আবার শেখ হাসিনার বাংলাদেশে?

ফেন্সিডিল আমদানী করতে চেয়ে ভাইরাল নেতাঃ এরা নেতা হয় কিভাবে?
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

আমার তিন ছেলে মাস্টার্স পাস করছে। তাদেরকে নিষেধ করলেও গোপন জিনিসের ওপর আগ্রহ হওয়ায় খাচ্ছে। ভারতে গিয়ে আমি নিজেও এক বোতল ফেনসিডিল খেয়েছি। ঘুম ছাড়া কিছুই হয় না।

 লালমনিরহাট সংবাদদাতাঃ

ফেনসিডিল আমদানি করতে চান আওয়ামী লীগের এক নেতা! আর এমন ঘোষণা দিয়েছেন লালমনিরহাটের আদিতমারী থানা আয়োজিত ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানে এসপির উপস্থিতিতে।

 গত সোমবার দুপুরে ফেনসিডিল আমদানির অনুমতি দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল ইসলাম প্রধান। তিনি বলেন, ভারতে মাত্র ৩৫ টাকায় ফেনসিডিল কেনা যায়। সেই বোতলে ৭০ টাকা ট্যাক্স নিয়ে ১০০ টাকায় বিক্রি করলেও ব্যবসা হবে, আর রাজস্ব বাড়বে সরকারের। তাই ফেনসিডিল আমদানি করে রাজস্ব বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভাইরাল হলেন আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল ইসলাম প্রধান। ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ওই নেতা বলেন, আমি নিজেও এক বোতল ফেনসিডিল খেয়েছি। ঘুম ছাড়া কিছুই হয় না।

আমার তিন ছেলে মাস্টার্স পাস করছে। তাদেরকে নিষেধ করলেও গোপন জিনিসের ওপর আগ্রহ হওয়ায় খাচ্ছে। ভারতে গিয়ে আমি নিজেও এক বোতল ফেনসিডিল খেয়েছি। ঘুম ছাড়া কিছুই হয় না।

আজিজুল ইসলাম প্রধান লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, আজিজুল ইসলাম বলেন, সত্য বলবো তাতে জেল ফাঁসি যা হয় হোক। ভারতে ফেনসিডিল মাত্র ৩৫ টাকা। এ ফেনসিডিল দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার কোটি টাকা ভারতে পাচার হচ্ছে। আমার তিন ছেলে মাস্টার্স পাস করছে। তাদেরকে নিষেধ করলেও গোপন জিনিসের ওপর আগ্রহ হওয়ায় খাচ্ছে। ভারতে গিয়ে আমি নিজেও এক বোতল ফেনসিডিল খেয়েছি। ঘুম ছাড়া কিছুই হয় না।

ভারতে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছি, দেশের তুসকা সিরাপের মতোই ফেনসিডিল। এতে ঘুমানো ছাড়া কিছুই হয় না। অথচ এটার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা ভারতে পাচার হচ্ছে। বিষয়টা বঙ্গবন্ধু কন্যার নজরে আনা যায় কি না? ভারত থেকে ৩৫ টাকায় ফেনসিডিল কিনে ৭০ টাকা ট্যাক্স নিয়ে ১০০ টাকায় বিক্রি করলে ব্যবসা হবে, রাজস্ব বাড়বে সরকারের। তাই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ মহলে আলোচনা করা দরকার বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল ইসলাম প্রধান।

তার এমন বক্তব্যে পুরো অনুষ্ঠানে সবাই অট্টহাসিতে প্রতিবাদ জানান। এ সময় কৌশলে তার বক্তব্য থামিয়ে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম। এমন বক্তব্যে হতভম্ব হয়ে পড়েন খোদ প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা। এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ওসি ও ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানের সভাপতি মোক্তারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। উনি যা বলেছেন তা আপনারা শুনেছেন, কথাটি বলেই মোবাইল ফোন কেটে দেন তিনি। 

এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। তারা বলছেন তিনি হয় নেশাগ্রস্থ অথবা মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছেন। তা না হলে প্রকাশ্যে কেউ  এমন কথা বলতে পারেনা।

ক্রাইম ডায়রি/ ক্রাইম