কাকরাইলে ইশরাক: আন্দোলনে একাত্বতা ঘোষণা

যমুনার সামনের সড়কটিতে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। সামনে রাখা হয়েছে জলকামান। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

কাকরাইলে ইশরাক: আন্দোলনে একাত্বতা ঘোষণা
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

যমুনার সামনের সড়কটিতে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। সামনে রাখা হয়েছে জলকামান। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ইকরামুল হক ভূইয়া টিটু:

মেয়র ঘোষনার দাবীতে রাজধানীবাসীর আন্দোলনে একাত্মতা জানাতে কাকরাইলে সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। বুধবার সন্ধ্যার পর ইশরাক কাকরাইলে আন্দোলনরত সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দেন। তিনি আসার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনরতদের মধ্যে এক ধরনের উচ্ছ্বাস দেখা যায়। এসময় তার নামে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।

গত কয়েক দিন ধরে তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর দাবিতে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে সমর্থকরা আন্দোলন করছেন। আজ তারা কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ।

এদিন ইশরাককে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া গেজেটের বৈধতা নিয়ে রিটের রায় দেওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করবেন বলে আদালত সময় দেন। এরপর তারা কাকরাইল মোড়ে সারা রাত থাকার কর্মসূচিতে অবস্থান নেন।

যমুনার সামনের সড়কটিতে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। সামনে রাখা হয়েছে জলকামান। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র পদে নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ইশরাক হোসেন।

 

বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর মৎস্য ভবন ও কাকরাইল মোড়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার প্রবেশমুখের কাছে বুধবার অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ইশরাকের সমর্থক ও দক্ষিণ সিটির সাধারণ মানুষ।

তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আন্দোলনকারী জনতার প্রতি সর্বাত্মক সংহতি জানাতে এবং তাদের সঙ্গে যতদিন প্রয়োজন রাজপথে সহাবস্থান করার জন্য অল্প সময়ের মধ্যেই হাজির হবো ইনশাআল্লাহ। নিজের ফেসবুক পেজে আরেকটি পোস্ট দেন ইশরাক। সেই পোস্টে সমর্থকদের রাজপথ না ছাড়ার নির্দেশনা দেন তিনি।

মেয়র পদে শপথ না পড়ানোর আগ পর্যন্ত সমর্থকদের উদ্দেশে রাজপথ না ছাড়ার নির্দেশনা দিয়ে ইশরাক বলেন, ‘নির্দেশ একটাই- যতক্ষণ দরকার রাজপথ ছেড়ে ওঠে আসা যাবে না। আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গেজেট প্রকাশের পর পতিত ফ্যাসিবাদের অন্যতম শীর্ষ কর্তা অপসারিত মেয়র তাপসের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার চাপ প্রয়োগ করে নির্বাচন কমিশনে রীতিমতো চিঠি লিখে। গেজেট প্রকাশের পর শপথ অনুষ্ঠান না করে এ ধরনের চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে এক প্রকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এটি দেখে আইন সম্বন্ধে যারা জানে তারা হতবাক ও চরম বিস্মিত হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। কোর্টের রায় কার্যকর করতে তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।তাপসের এ কাজটি করে না দিতে পেরে এখন তাপসের টাকা খেয়ে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে বিক্ষোভ করেছে একটি রাজনৈতিক দল। এই অভিযোগ তুললে কি ভুল বলা হবে?’

 

গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর মেয়র পদ থেকে শেখ ফজলে নূর তাপসকে অপসারণ করে সরকার। চলতি বছরের ২৭ মার্চ একটি নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ইশরাক হোসেনকে গত সিটি নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এরপর ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে আটকে যায় তার শপথ গ্রহণ।

দৈনিক ক্রাইম ডায়রি// রাজনীতি