ছিঃ ছিঃ ট্রাম্পতন্ত্র, গনতন্ত্রকে ধাক্কা দিলঃ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কংগ্রেসে এই প্রথম হামলা

Trump, democracy, push democracy: This is the first attack on Congress in the history of the United States.

ছিঃ ছিঃ ট্রাম্পতন্ত্র, গনতন্ত্রকে ধাক্কা দিলঃ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কংগ্রেসে এই প্রথম হামলা
মার্কিন কংগ্রেসে গোলাগুলিঃ ছবি বিবিসি

বিশ্বের মোড়ল এবং গনতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ধারক ও বাহক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার উদাহরন দিয়ে চলে সারা বিশ্বের সকল দেশের গনতন্ত্র। কথায় কথায় বক্তারা বলেন , যুক্তরাষ্ট্রের গনতন্ত্র দেখেন, সেখানে নির্বাচনে কেউ হেরে গেলে নতুন সরকার প্রধানকে সহযোগীতা করেন পুরাতন সরকার প্রধান। এমনও নজীর আছে পুরাতন সরকারের গুরুত্বপুর্ন ব্যাক্তিদের অনেককেই বিশেষ পদে ও দায়িত্ব দেন নতুন সরকার প্রধাণ। সেই নজীরে এবার ভাটা পড়ল। নতুন করে এই নজীর দিতে গেলে লজ্জায় পড়তে হবে বিশ্ববাসীকে। কারন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একদল উগ্রসমর্থক মার্কিন কংগ্রেসে হামলা চালিয়ে গনতন্ত্রকে কলংকিত করেছেন। তা সেটা ট্রাম্পের নির্দেশে হোক কিংবা না হোক। গনতন্ত্রকে এতবড় ধাক্কা ইতিহাস হয়ে থাকল।  

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

বিশ্বের মোড়ল এবং গনতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ধারক ও বাহক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার উদাহরন দিয়ে চলে সারা বিশ্বের সকল দেশের গনতন্ত্র। কথায় কথায় বক্তারা বলেন , যুক্তরাষ্ট্রের গনতন্ত্র দেখেন, সেখানে নির্বাচনে কেউ হেরে গেলে নতুন সরকার প্রধানকে সহযোগীতা করেন পুরাতন সরকার প্রধান। এমনও নজীর আছে পুরাতন সরকারের গুরুত্বপুর্ন ব্যাক্তিদের অনেককেই বিশেষ পদে ও দায়িত্ব দেন নতুন সরকার প্রধাণ। সেই নজীরে এবার ভাটা পড়ল। নতুন করে এই নজীর দিতে গেলে লজ্জায় পড়তে হবে বিশ্ববাসীকে। কারন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একদল উগ্রসমর্থক মার্কিন কংগ্রেসে হামলা চালিয়ে গনতন্ত্রকে কলংকিত করেছেন। তা সেটা ট্রাম্পের নির্দেশে হোক কিংবা না হোক। গনতন্ত্রকে এতবড় ধাক্কা ইতিহাস হয়ে থাকল।  কংগ্রেস ভবনে নজিরবিহীন হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের নিরাপত্তাব্যূহ ভেঙে কয়েক শ উগ্র ট্রাম্প সমর্থক ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে। চলে গোলাগুলি, ভাঙচুর ও লুটপাট।গত বুধবার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলের কংগ্রেস ভবনে যৌথ অধিবেশন চলাকালে নজিরবিহীন এই তাণ্ডব চালায় ভোটে পরাজিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সশস্ত্র উগ্র সমর্থকরা।

এ সময় দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়ের আনুষ্ঠানিক সত্যায়নে যৌথ অধিবেশন চলছিল। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মুখে একপর্যায়ে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে পরে ফের অধিবেশন শুরু হয়। পার্লামেন্ট ভবনে বিরল এই হামলার ঘটনায় উত্তাল পুরো যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলাকে ‘ন্যক্কারজনক’ অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক উভয় দলের নেতারাই। এদিকে  হামলাকারীদের ‘মহান দেশপ্রেমিক’ বলে প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে স্পষ্টতঃই এ ঘটনার মূল নায়ক চিহ্নিত।  সেদিন ছি’ল মার্কিন  প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আনুষ্ঠানিক জয় প্রত্যয়নের দিন। কিন্তু এর কয়েকদিন আগে থেকেই তার এই প্রত্যয়ন ভেস্তে দেওয়ার হুমকি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে নিজ সমর্থকদের শোডাউনের ঘোষণাও দেন তিনি।

ট্রাম্পের এই উসকানিমূলক ঘোষণার পরই রাজধানীতে জড়ো হতে থাকে সমর্থকরা। বাইডেনের জয় সত্যায়নে যথাসময়েই শুরু হয় কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন। অধিবেশনে নির্বাচনের ফল বাতিলের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন ট্রাম্প সমর্থক কয়েকজন আইনপ্রণেতা। এর মধ্যে হঠাৎই ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালান ট্রাম্পের কয়েক হাজার সমর্থক। অনেকেই ছিলেন সশস্ত্র। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ক্যাপিটল হিল। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা চত্বর। ট্রাম্পের সমর্থনে স্লোগান তুলে জোর করে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। অবস্থান নেয় ভবনের সিঁড়িতে ও ছাদে। ক্যাপিটল ভবনে প্রবেশ করার পর গুলিবিদ্ধ হন ট্রাম্পের নারী সমর্থক সাবেক মার্কিন সেনা সদস্য স্যান ডিয়েগোর বাসিন্দা অ্যাশলি ব্যাবিট। বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ৩টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে হাসপাতালে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

কংগ্রেসের অধিবেশন কক্ষ, হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও সিনেটরদের কক্ষের দরজা ও জানলায় ভাঙচুর চালায়। এ সময় গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে পালিয়ে কোনো রকমে প্রাণে বাঁচেন সিনেটররা। সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। ভেঙে দেওয়া হয় তাদের মাইক্রোফোন, ক্যামেরা ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি।

হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করে পুলিশ। গুলি ও পালটা গুলির ঘটনাও ঘটে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক নারীসহ অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। একজন নিহত হয়েছেন পুলিশের গুলিতে। অন্য তিনজনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে।

সভ্য দেশের তকমা লাগানো মার্কিন মুলুকে এমন হামলা বিশ্বের গনতন্ত্র গেল গনতন্ত্র গেল বলে চিৎকার করা কোন দেশেই এমন ঘটনা ঘটেনি। তাই এবার মার্কিন নীতি নিয়ে ভাবছে সারা বিশ্ব। তারা কি আর মোড়ল হয়ে বিশ্ব শাসন করতে পারবে নাকি গাঁয়ের জোরেই চলবে তা এখন ভাববার বিষয়।।।

ক্রাইম ডায়রি/আন্তর্জাতিক