চরম দুরাবস্থায় ভারতঃ মাঠে নেমেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীঃ প্রতিবেশীদের উচিত সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেয়া

কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত ভারত। রোজ মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছেন হাজারো মানুষ। দেশটিতে গত ৭ দিন টানা দুই হাজারের বেশি করে মৃত্যু হয়েছে করোনায়। গত ২৪ ঘণ্টায়ই ২৭৭১ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

চরম দুরাবস্থায় ভারতঃ মাঠে নেমেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীঃ প্রতিবেশীদের উচিত সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেয়া

কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত ভারত। রোজ মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছেন হাজারো মানুষ। দেশটিতে গত ৭ দিন টানা দুই হাজারের বেশি করে মৃত্যু হয়েছে করোনায়। গত ২৪ ঘণ্টায়ই ২৭৭১ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার সকালে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে এসব তথ্য উঠে এসেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

চরম  ‍দুরাবস্থায় ভারত। এহেন পরিস্থিতিতে সব কিছু ভুলে গিয়ে প্রতিজন বাংলাদেশীর উচিত একদিকে যেমন দোয়া অন্য দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া।  যে যেমন ভাবেই গালি দিক আসল ব্যাপার হলো মহামারি ধারন করার আগেই আমরা মহামারী রোধে চেষ্টা না করলে সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশি হিসেবে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা আমাদেরও কম না। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সহযোগীতা এই ভারতই করেছে। তাই যেহেতু ভারতে করোনা মহামারি পুরো দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। এই অবস্থায় পাশে দাড়ানো সকল প্রতিবেশি দেশগুলোর নৈতিক দায়িত্ব।  এই বিপর্যয় ঠেকাতে দেশটির হাসপাতালগুলোতে সেনবাহিনীর সদস্যদের সাহায্য করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর জন্য মজুত করা অক্সিজেন হাসপাতালগুলোতে সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে জরুরি চিকিৎসা উপকরণ পাঠানো হয়েছে। খবর-টাইমস অব ইন্ডিয়া।

কয়েকদিন ধরে ভারতে দৈনিক মৃত্যুতে তৈরি হয়েছিল নতুন রেকর্ড। সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার মৃত্যু কম হলেও তা আড়াই হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৭৭১ জন। এ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯৪ জনে।

গত সাত দিন ধরে ভারতে মৃত্যু দুই হাজার কোটা থেকে নামেনি। এক সপ্তাহে দেশটিতে ১৭ হাজার ৩৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চলতি মাসে ৩৪ হাজার ৬০০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে করোনায়। এটি একমাসে সবথেকে বেশি মৃত্যুর পরিসংখ্যান দেশটিতে। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৩৩ হাজার ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল

সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন দেশটির চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়ান। বৈঠকের পরেই সেনাবাহিনীর প্রতি বিপিন রাওয়াত এই নির্দেশনা দেন। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, গত দুই বছরে সশস্ত্র বাহিনী থেকে অবসর নেওয়া সকল চিকিৎসককে কাজে ফেরানো হচ্ছে। তাদের বাড়ির কাছে থাকা কোভিড সেন্টারে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সেনা থেকে অবসর নেওয়া নার্সিং স্টাফদেরও করোনা যুদ্ধে মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন সিডিএস রাওয়াত। 

জেনারেল বিপিন রাওয়াত প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত অন্য মেডিকেল স্টাফদের জরুরি হেল্পলাইনের মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে৷ সেনাবাহিনীর চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে৷

বৈঠকে কমান্ড সদর দপ্তর, কোর সদর দপ্তর, বিভাগীয় সদর দপ্তর এবং ভারতীয় নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে কর্মরত মেডিকেল অফিসারকে হাসপাতালে কোভিড মোকাবেলার জন্য নিযুক্ত করা হবে। হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে নার্সিং কর্মীদেরও প্রচুর সংখ্যায় নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। 

ক্রাইম ডায়রি/ আন্তর্জাতিক