বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যুবলীগ একাই যথেষ্ট : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

হাছান মাহমুদ বলেন, যুবলীগ আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড। তাই যুবলীগের নেতাকর্মীদের বলবো সতর্ক দৃষ্টি রাখেবেন, যখন নির্দেশ আসবে তখনই জনগণকে নিয়ে এই সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হবে।

বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যুবলীগ একাই যথেষ্ট : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত
বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেই আন্দোলন, নৈরাজ্য মোকাবিলা করেছে। আমরা জানি কিভাবে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হবে, যখন মোকাবিলা করার প্রয়োজন হবে আমরা থাকবো।'
কালিমুল্লাহ দেওয়ান রাজাঃ

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী ও ক্লিন ইমেজের নেতা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ লাগবে না, যুবলীগ একাই বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যথেষ্ট। আমরা এখনো মোকাবিলার ঘোষণা দেইনি। আমরা যদি মোকাবিলার ঘোষণা দিয়ে নামি তাহলে তারা পালানোর পথ পাবে না। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শহীদ কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

 জনাব, হাছান মাহমুদ বলেন, যুবলীগ আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড। তাই যুবলীগের নেতাকর্মীদের বলবো সতর্ক দৃষ্টি রাখেবেন, যখন নির্দেশ আসবে তখনই জনগণকে নিয়ে এই সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হবে।  যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে সুবর্ণা মুস্তাফা এমপি, শেখ রাসেলের চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব  মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। ২০১৩-১৪-১৫ সালে এমন বিশৃঙ্খলা করেছিল যে, গাছও তারা উপড়ে ফেলেছিল। মানুষের ওপর তো বটেই, গাড়ি, গবাদিপশু এমন কি মুরগির ওপরও তারা হামলা চালিয়েছিল। তাতে সরকার পতন হয়নি। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেই আন্দোলন, নৈরাজ্য মোকাবিলা করেছে। আমরা জানি কিভাবে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হবে, যখন মোকাবিলা করার প্রয়োজন হবে আমরা থাকবো।'

হাছান মাহমুদ বলেন, 'যুবলীগ প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি ও তার সহধর্মিণী বেগম আরজু মনির লাশ যখন মেঝেতে পড়েছিল, ফজলে শামস পরশের বয়স তখন ৫ বছর এবং তাপসের বয়স সাড়ে তিন বছর। পরশ মা-বাবা হারানো কিছুটা বুঝতে পারলেও তাপস যিনি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সুযোগ্য মেয়র, মায়ের লাশ ধরে ধরে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে বলছিল- মা ওঠো ওঠো। মা-বাবা যে তার চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেছে তা সে বুঝতে পারেনি। সেদিন মানবতার বিরুদ্ধে এতো নির্মম অপরাধ সংগঠিত হয়েছিল। আর সেই অপরাধের প্রধান কুশীলব ছিল খন্দকার মুশতাক, আর তার প্রধান সহযোগী ছিল খুনী জিয়াউর রহমান।' 

মন্ত্রী আরও বলেন, '১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর খুনিদের বিচার বন্ধ করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি হলো যখন জিয়াউর রহমান প্রধান সেনাপ্রতি, আর জিয়া ক্ষমতা দখল করার পর পার্লামেন্টে প্রথম অধিবেশনে তার নির্দেশে খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করা হলো।'

সভাপতির বক্তৃতায় পরশ বলেন, বিশ্ববরেণ্য দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে পিতা বঙ্গবন্ধু তার কনিষ্ঠ পুত্রের নাম রেখেছিলেন বড় আশা করে। কিন্তু খুনি ঘাতকেরা পিতা-মাতার সাথে পুত্রদেরও হত্যা করেছে। এই নির্মম ঘটনার শুধু হত্যাকারী নয়, সকল ষড়যন্ত্রকারীরও বিচার এ জাতির দাবি।

দলটির সাধারণ সম্পাদক নিখিল বলেন, আমরা শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিনে তার হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষক দল বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাই। কারণ, তা না হলে তাদের ষড়যন্ত্র থামবে না, দেশে শান্তি আসবে না।

ক্রাইম ডায়রি// জাতীয়