মানুষকে রাজধানীর বাইরে স্থায়ী ঠিকানা খোঁজার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

মহানগরী রাজধানী ঢাকা এখন জনসংখ্যার চাপে নুইয়ে পড়ছে। ছোট পরিসরের এই জায়গায় বিশাল জনগোষ্টি এসে ভিড় করায় রাজধানী বসবাসের অনুপোযোগী এবং ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। পরিবেশ দুষণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, প্রচন্ড জ্যাম, ভ্যাপসা আবহাওয়ায় নানান অজানা রোগে কিংবা মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত মানুষ। তাই এখনই মানুষকে গ্রামমুখী নিদেনপক্ষে ঢাকার বাহিরের জেলাগুলোর দিকে ধাবিত হওয়া প্রয়োজন। বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগনের জীবনমানের নিরাপত্তার জন্যই মানুষকে ঢাকার বাইরে স্থায়ী ঠিকানা খোঁজা ও বসবাসের পরামর্শ দিয়েছেন।

মানুষকে  রাজধানীর বাইরে স্থায়ী ঠিকানা খোঁজার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
ছবি-অনলাইন হতে সংগৃহীত

বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরে একটা বাড়ি বা ফ্ল্যাট না থাকলে জীবন বৃথা—এই চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে দিতে হবে। আমরা রাস্তার উন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছি। খুব সহজেই ঢাকায় আসা-যাওয়া করতে পারবেন এমন যোগাযোগব্যবস্থা করে দিচ্ছি। নাগরিকদের রাজধানীর বাইরে বসবাস ও স্থায়ী ঠিকানা খোঁজার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার জন্য যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে।  

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ

মানুষকে এখনই গ্রামমুখী হতে হবে। অসুস্থ পরিবেশের ভারে নুইয়ে পড়া ঢাকা মহানগরীকে এখনই ভার মুক্ত না করলে ভয়াবহ পরিণতি ছাড়া আর কোন গত্যন্তর থাকবেনা। জায়গার তুলনায় জনসংখ্যা বেশি মহানগরী ঢাকায়। সরকারী ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানাগুলি তাই মফস্বল ও এলাকা কেন্দ্রীক হওয়া প্রয়োজন। গ্রামে কর্মসংস্থান পেলে মানুষ রাজধানীতে আসবে কম। 

ঢাকা শহরে একটা বাড়ি বা ফ্ল্যাট না থাকলে জীবন বৃথা—এই চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  নাগরিকদের রাজধানীর বাইরে বসবাস ও স্থায়ী ঠিকানা খোঁজার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। মার্চ ৬, ২০২২ইং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজব্যবস্থা নির্মাণ ও উন্নয়ন (ফেজ-১) শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের ওপর ‘পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন’ উপস্থাপন করেন ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম জাকারিয়া হোসেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরে একটা বাড়ি বা ফ্ল্যাট না থাকলে জীবন বৃথা—এই চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে দিতে হবে। আমরা রাস্তার উন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছি। খুব সহজেই ঢাকায় আসা-যাওয়া করতে পারবেন এমন যোগাযোগব্যবস্থা করে দিচ্ছি। নাগরিকদের রাজধানীর বাইরে বসবাস ও স্থায়ী ঠিকানা খোঁজার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার জন্য যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে।  

ঢাকা পরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠেনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত্রতত্র যে যেভাবে পেরেছে, বসত গড়ে তুলেছে। ফলে ধীরে ধীরে মানুষের চাপে এটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চাপ কমাতে তাই আমি ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পাশাপাশি আশপাশের এলাকাগুলো দুই সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করেছি, যাতে সেখানে বসবাসরত মানুষও নাগরিক সুবিধা পায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরটাকে সীমিত শক্তি দিয়ে যতদূর সম্ভব আধুনিকায়ন করা, সবুজায়ন ও বসবাসের উপযোগী করার চেষ্টা করছি। নতুন ইউনিয়নগুলো যুক্ত করার মাধ্যমে ১৮টি ওয়ার্ড করেছি। 

তিনি বলেন, এখানে খেলার মাঠ, পাবলিক টয়লেটসহ নানা নাগরিক সুবিধা সৃষ্টির জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এ নতুন ঢাকা আরও সুন্দর হয়ে উঠবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কেননা এ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ানও তার হাতেই সৃষ্টি এবং যখনই তাদের কোনো কাজের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তারা তা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা জনগণের পাশে থেকে সেবা করে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম । এই অনুষ্ঠানে  উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য দেন, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।

ক্রাইম ডায়রি//জাতীয়