বগুড়ার শেরপুরে পথের ধারে পঁচা আলুঃ দুর্গন্ধে জন দূর্ভোগের অভিযোগ এলাকাবাসীর
গ্রামীন পরিবেশের জন্য হুমকি এমন যে কোন দূষণ মারাত্বক আকার ধারণ করতে পারে। সহজ সরল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বড় পুঁজিই হলো সুস্থ পরিবেশ। কিন্তু ইদানীং কালে এর দূষণ লক্ষণীয়। গ্রামে এখন গড়ে উঠেছে নানা ধরনের কারখানা। গড়ে উঠেছে জীবন ধ্বংসকারী সীসা পাতিলের কারখানাও। অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে ওঠা এসব কারখানা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ।
দিনে দিনে গ্রামাঞ্চলে কলকারখানা গড়ে উঠছে। তেমনি উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার শিল্প এলাকা ভবানীপুর ও ধনকুন্ডি অঞ্চলে। অসংখ্য কল কারখানায় গ্রামীন মানুষের জীবনে লেগেছে মহানগরীর ছোঁয়া।
মোঃ জাকির হোসেন রনিঃ
গ্রামীণ পরিবেশের জন্য সবচেয়ে বড় নিয়ামক হলো এর প্রকৃতি গাছ গাছালিতে ভরা। এখানে মানুষ সুস্থভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারে। কিন্তু এখানে কখনও কখনও মানবসৃষ্ট কারনে পরিবেশ দূষনের শিকার হয়।
দিনে দিনে গ্রামাঞ্চলে কলকারখানা গড়ে উঠছে। তেমনি উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার শিল্প এলাকা ভবানীপুর ও ধনকুন্ডি অঞ্চলে। অসংখ্য কলকারখানায় গ্রামীন মানুষের জীবনে লেগেছে মহানগরীর ছোঁয়া।
কিন্ত ইদানীং কালে কিছু প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারী কর্মকান্ড প্রশ্নবোধক? এমনই প্রশ্ন উঠেছে বগুড়া শেরপুরে ভবানীপুর ইউনিয়নে গড়ে উঠা এগ্রো আর্টস কোল্ডষ্টোরেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পথের ধারে টনটন পঁচাআলু ফেলে জনদূর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। তাদের কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকান্ডে বায়ুদূষণসহ চলাচলে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে পথচারীদের।
সরেজমিনে গিয়ে এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্র্যাকবটতলা ভবানীপুরের রাস্তার আম্বইল বেলতলা নামক স্থানে রাস্তার দু'পাশে কয়েকটন পঁচা আলু ফেলেছে এগ্রো আর্টস কোল্ডষ্টোরেজ কর্তৃপক্ষ।
কোল্ড স্টোরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করা সহ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই বিপুল পরিমান আলু পঁচে যেতে পারে বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা। ফলে বায়ুদূষণসহ নানা রকমের বিড়াম্বনার শিকার ইজিবাইক ভ্যান ভটভটি চালকসহ সাধারণ পথচারীরা।
ইজিবাইক ভ্যান ভটভটি চালক যাত্রী এবং এলাকাবাসী এই প্রতিবেদককে জানায়, শিল্পএলাকা ভবানীপুরের বিশালপুর, মির্জাপুর ও শাহবন্দেগী ইউনিয়নসহ শেরপুর এবং অন্য এলাকা থেকে আগত লোকজন এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে। এগ্রো আর্টস কোল্ডষ্টোরেজ এর পঁচা আলু নির্ধারিত জায়গায় মাটি চাপা না দিয়ে সরকারি রাস্তার দু'পাশে ফেলার কারণে যে দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে করে পায়ে হাঁটা সাধারণ পথচারী বা যাত্রীবাহী ভ্যান ভটভটি ইজিবাইক উক্ত স্থানের কাছাকাছি এলেই দূর্গন্ধে যাত্রীরা নাক কাপড় দিয়ে চেপে ধরার পরেও বমি হওয়ার উপক্রম শুরু হয় এবং মহিলা ও শিশুযাত্রীদের অনেকেই বমি করে ফেলে।
তবে এগ্রো আর্টস কোল্ডষ্টোরেজ এর ম্যানেজার এম এ রশিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি ক্রাইম ডায়রিকে বলেন, ধুনট এলাকার সোহরাব হাজী নামে এক ব্যাক্তি আমাদের ষ্টোরেজে আলু সংরক্ষণ করেছিল। তাকে অনেক বলার পরেও আলুগুলো না নিলে আমরা আলুগুলো ফেলে দিয়েছি।
আলুগুলো ফেলার সময় যে তীব্র দূর্গন্ধ ছিল এখন ততটা নেই, পর্যায়ক্রমে দূর্গন্ধ কমে যাচ্ছে। তবে এই পঁচা আলু দিয়ে যে জৈবসার তৈরী হবে তা খুবই শক্তিশালী জৈবসার হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়ার আঞ্চলিক পরিচালক সুফিয়া নাজিম জানান,যে কোনো কোল্ডষ্টোরেজের পঁচা আলু এভাবে যত্রতত্র ফেলা উচিত হয়নি। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কাজ দন্ডনীয় অপরাধ। তদন্ত সাপেক্ষে এমন অপরাধ সংগঠনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
ক্রাইম ডায়রি // ক্রাইম