ইয়েস গ্রুপের সকল ব্যাংক হিসাব জব্দঃ দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগ

Seizure of all bank accounts of Yes Group: Allegations of corruption and fraud

ইয়েস গ্রুপের সকল ব্যাংক হিসাব জব্দঃ দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগ

কালিমুল্লাহ দেওয়ান রাজাঃ

তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে বি এফ আই ইউ। প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে হিসাব পরিচালনার তথ্য পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  যেসব তথ্য পাঠাতে হবে, এর মধ্যে রয়েছে-হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, ট্রানজেকশন প্রোফাইল, লেনদেনের তথ্য বিবরণী।

অবশেষে সিলেটভিত্তিক কোম্পানী ইয়েস গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ করিমসহ তিন ব্যক্তি ও গ্রুপের ১০ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট থেকে (বিএফআইইউ) ব্যাংকগুলোয় সোমবার পাঠানো চিঠিতে হিসাব স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে,  এই কোম্পানীর নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের তথ্য ৫ কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। আবাসন, হাসপাতাল ও ইলেকট্রনিক্স খাতে তাদের ব্যবসা রয়েছে।  রাজধানীর কনফিডেন্টস টাওয়ার, লেভেল ১৪/ডি, শাহজাদপুর, গুলশান-২, ঢাকায় অবস্থিত এই কোম্পানীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা রয়েছে। আর এই মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯-এর-(২৬)২ ধারায় ক্ষমতা বলে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে বি এফ আই ইউ। প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে হিসাব পরিচালনার তথ্য পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  যেসব তথ্য পাঠাতে হবে, এর মধ্যে রয়েছে-হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, ট্রানজেকশন প্রোফাইল, লেনদেনের তথ্য বিবরণী।

যেসব প্রতিষ্ঠানের হিসাব স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো হলঃ  ইয়েস গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, ইয়েস হোল্ডিংস অ্যান্ড প্রোপার্টিজ, ইয়েস মাল্টি অ্যাগ্রো কোম্পানি, ইয়েস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল, ইয়েস একটি ঘর একটি শিল্প, ইয়েস ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ইয়েস ড্রিম সিটি, ইয়েস অ্যাপার্টমেন্ট সিটি, ইয়েস-ই-শপ ডটকম এবং মেসার্স লিয়ানা এন্টারপ্রাইজ। যেসব ব্যক্তির হিসাব স্থগিত করা হয়েছে-গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল করিম, পরিচালক আতিকুর রহমান এবং মাহফুজুর রহমান। গ্রুপটি সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য মিলছে না। তবে গ্রুপের ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬টি রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টকে নিবন্ধিত। কোম্পানির ওয়েবসাইটেও গ্রুপ ও কোম্পানি সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ওয়েবসাইটে একটি মোবাইল নম্বর দেয়া রয়েছে। কিন্তু বারবার ফোন করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। তবে ওয়েবসাইটে চটকদার বিজ্ঞাপন রয়েছে।

হোমপেজের এই বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে: ২০২০ সালের মধ্যে একশ’ গ্রাহককে জমির মালিকানা হস্তান্তর করবে তাদের প্রতিষ্ঠান ড্রিম সিটি। এ ক্ষেত্রে কিস্তি পরিশোধের আগেই শুধু কাঠাপ্রতি ১০ হাজার টাকা বুকিং দিলেই রেজিস্ট্রি করে দেয়া হচ্ছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গ্রাহকদের এই সুযোগ দিচ্ছে তারা। কিন্তু বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

ক্রাইম ডায়রি//অপরাধজগত