পদ্মা সেতু যোগ্যতা, সম্মান ও গর্বের প্রতীক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বঙ্গকন্যা বলেন, এই সেতু ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে এমন কারো বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই। ‘আজ আমি শুধু প্রার্থনা করব যে ষড়যন্ত্রকারীদের মাঝে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

পদ্মা সেতু  যোগ্যতা, সম্মান ও গর্বের প্রতীক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ছবিঃ অনলাইন হতে সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতুর ভিত্তি এখনো বিশ্বের সবচেয়ে গভীরে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীরতায় এই সেতুর পাইল স্থাপন এবং ভূমিকম্প প্রতিরোধে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ
 
বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন, পদ্মা সেতু শুধু ইট, সিমেন্ট, ইস্পাত ও লোহার একটি ভৌত অবকাঠামো নয়; এটি জাতির গর্ব, সম্মান ও যোগ্যতার প্রতীক। তিনি বলেন, ‘সেতুটি বাংলাদেশের জনগণের। এর সাথে আমাদের আবেগ, সৃজনশীলতা, সাহস, সহনশীলতা ও আমাদের অধ্যবসায় জড়িত।’ শনিবার মাওয়া প্রান্তে উত্তাল পদ্মা নদীর ওপর দেশের বৃহত্তম সেতুর-পদ্মা সেতু- উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বহু প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে ষড়যন্ত্রের জাল ভেঙ্গে উত্তাল পদ্মা নদীর ওপর বহুল প্রতিক্ষিত সেতুটি দাঁড়িয়ে আছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ আমি দেশের কোটি কোটি মানুষের সাথে আনন্দিত, গর্বিত ও অভিভূত। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের মানের সাথে কোনো আপস করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে নির্মিত হয়েছে এই সেতু। সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতুর ভিত্তি এখনো বিশ্বের সবচেয়ে গভীরে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীরতায় এই সেতুর পাইল স্থাপন এবং ভূমিকম্প প্রতিরোধে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আরো কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে এই সেতুর নির্মাণ সারা বিশ্বের প্রকৌশল পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে; এটি নিশ্চিত।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিশাল কাজ থেকে বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। ভবিষ্যতে আমরা নিজেরাই এই ধরনের জটিল সেতু বা অবকাঠামো তৈরি করতে সক্ষম হব।’
দ্রুত বয়ে চলা ঝুকিপূর্ণ পদ্মা নদীর নিয়ন্ত্রণ করা সেতুটি নির্মাণের মতোই এক চ্যালেঞ্জ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবেলা করে নদীর উভয় তীরকে নিরাপদ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের এই ঐতিহাসিক দিনে প্রধানমন্ত্রী দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে জনগণকে নতুন শপথ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তার পাশে সর্বদা থাকায় তিনি দেশের জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই সেতু ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে এমন কারো বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই। ‘আজ আমি শুধু প্রার্থনা করব যে ষড়যন্ত্রকারীদের মাঝে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’
ঐতিহাসিক এই মুহূর্ত উপলক্ষে এবং নিজস্ব অর্থায়নে দেশের বৃহত্তম মেগা প্রকল্পের জমকালো উদ্বোধনের অংশ হিসেবে তিনি স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, ওপেনিং ডে কভার, সীলমোহর ও ১০০ টাকার একটি নোট উন্মোচন করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও বিদেশী কূটনীতিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘পদ্মা সেতু : বাংলাদেশের অহংকার’ শীর্ষক একটি থিম সং ও তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সূচনা বক্তব্য দেন।
ক্রাইম ডায়রি/জাতীয় //সূত্র : ইউএনবি