নকল, ভেজাল ও সরকারি ওষুধের গোপন বাজার মিটফোর্ড

ঐসব ওষুধের দোকান থেকে জীবন রক্ষাকারী নকল ইনসুলিন, নকল ভেজাল এবং ভারতীয় আনরেজিস্টার্ড ওষুধ, বিক্রি নিষিদ্ধ অন-অনুমোদিত ওষুধ জব্দ করেছে। তবে মিটফোর্ডে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী থাকলেও ভাল ব্যবসায়ীর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।

নকল, ভেজাল ও সরকারি ওষুধের গোপন বাজার মিটফোর্ড
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

শহর থেকে গ্রামগঞ্জের অসুস্থ মানুষ এই সব ওষুধ কিনে খেয়ে আরও বেশি অসুস্থ হচ্ছেন। অনেকে ক্ষেত্রে রোগীদের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

অনলাইন ডেস্কঃ
মিটফোর্ড পাইকারি ওষুধ মার্কেট যেন নকল ও ভেজালের কারখানা। বারবারের মতো সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর মিটফোর্ড পাইকারি ওষুধ মার্কেট থেকে নকল, ভেজাল ও হাসপাতাল থেকে চুরি করা সরকারি বিনা পয়সার ওষুধ উদ্ধার করায় সেটাই প্রতীয়মাণ হয়। বিগত ১৬ফেব্রুয়ারী ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও র‌্যাবের সদস্যদের ১৪ ঘন্টার যৌথ অভিযানে প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের এই ধরনের ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। 

তাৎক্ষণিক র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিকে মোট ৩৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অভিযানের সময় কয়েকজন মালিক পালিয়ে যাওয়ায় ২টি গোডাউন সিলগালা করে রাখা হয়েছে। ১৯৮২ সালের সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ক্ষতিকর ওষুধ (৪০ বছর পরও) মিটফোর্ডে বিক্রি হচ্ছে। তবে তা ভারত থেকে চোরাই পথে এনে বিক্রি করা হয়। যা খেলে কিডনি ও লিভারসহ শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন।

মহাখালী ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে বিশেষজ্ঞ টিম ও র‌্যাব হেডকোয়াটার্সের টিমের ১শ কর্মকর্তা ও সদস্য টানা ১৪ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়েছেন। অভিযানের সময় মিটফোর্ড হাজিরানী মেডিসিন মার্কেট, নায়না মেডিসিন মার্কেট, মা মেডিসিন মার্কেট, খান মেডিসিন মার্কেট ও ঢাকা মেডিসিন মার্কেটের ১৩টি ওষুধের দোকান ও গোডাউন তল্লাশি চালানো হয়।

ওই সব ওষুধের দোকান থেকে জীবন রক্ষাকারী নকল ইনসুলিন, নকল ভেজাল এবং ভারতীয় আনরেজিস্টার্ড ওষুধ, বিক্রি নিষিদ্ধ অন-অনুমোদিত ওষুধ জব্দ করেছে। অভিযানে হাজিরানী মেডিসিন মার্কেটের মেসার্স মদিনা ফার্মেসির গোডাউনে নকল ইনসুলিনস মজুদসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিসিন মার্কেটের মেসার্স জনসেবা মেডিকেল এজেন্সি এর গোডাউন ও ফার্মেসিতে ভারতীয় আনরেজিস্ট্রার্ড ওষুধ, অবৈধ ও সরকারি ওষুধ মজুদসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

হাজিরানী মেডিসিন মার্কেটের মেসার্স পাল কেমিকেল ড্রাগস, মেসার্স তামান্না ড্রাগ, মেসার্স হাজিগঞ্জ মেডিসিন কর্নার ও ১টি গোডাউন, নয়না মেডিসিন মার্কেটের মেসার্স চৌধুরী ফার্মেসি, মেসার্স কাফ মেডিকেল, মেসার্স জগত জননী ড্রাগস, মেসার্স রাফী মেডিসিন, মেসার্স গল্প বীথি ড্রাগস, মা মেডিসিন মার্কেটের মেসার্স ইকবাল সার্জিকাল নামীয় ফার্মেসি ও গোডাউনে রেজিস্ট্রেশন বিহীন, ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন এবং তাপ সংবেদনশীল ওষুধ যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার দায়ে সর্বমোট ১৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

খান মেডিসিন মার্কেটের ৬ষ্ঠ তলায় ২টি গোডাউনে সরকারি ওষুধ ও অবৈধভাবে আমদানিকৃত ওষুধ পাওয়া যায়। কিন্তু ওই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিকদেরকে না পাওয়ায় আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দুইটি গোডাউন সিলগালা করেন। এই ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে আদালতে নিয়মিত মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহিদ ইসলাম সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, ভারতীয় ওষুধ নিমেসোলাইড ব্যথা নাশক। কিন্তু কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিধায় ১৯৮২ সালে এই ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়।

সিপ্রোহেপ্টাডিন এ জাতীয় ওষুধ সেবনে মানুষ মোটাতাজা হলেও লিভার ও কিডনির মারাত্মক ক্ষতিকরে। শরীরে পানি চলে আসে। ডেক্সোন স্টেরয়েড জাতীয় নিবন্ধনবিহীন ওষুধ। এই ধরনের ক্ষতিকর ও নিষিদ্ধ ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে।

ওষুধ প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, অভিযানে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ ধরনের নকল ভেজাল ও অরেজিস্ট্রিকৃত ওষুধ উদ্ধার হয়েছে। এই সব ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা পরীক্ষা করা হবে। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি হাসপাতালের রোগীদের জন্য বিনামূল্যে দেয়া ওষুধ সংঘবদ্ধ চোরাচালানি চক্র মিটফোর্ডে নিয়ে পাইকারি ওষুধ মার্কেটে বিক্রি করছে। সে সব ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যারা জীবন রক্ষাকারী ওষুধ নকল করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া এখনই দরকার। ওষুধ আইনে তাদের সর্বোচ্চ সাজা হওয়া দরকার। আর যারা সরকারি হাসপাতালের ফি ওষুধ চুরি করে বিক্রি করে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা দরকার বলে তিনি মনে করেন। এর ফলে নকল ভেজাল ওষুধ বিক্রি কমবে বলে তিনি আশাবাদী।

উল্লেখ্য এর আগেও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর গত ১১ জানুয়ারি মিটফোর্ডে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক ট্রাক নকল ভেজাল ও অরেজিস্ট্রিকৃত ওষুধ উদ্ধার করেছে। এরপর চলতি মাসে আবার অভিযান। অনেকের অভিযোগ মিটফোর্ডে নকল ভেজাল ওষুধের ছড়াছড়ি। গোডাউন, ক্যাশের ভিতর রেখে এই সব ওষুধ বিক্রি করা হয়। আবার অনেকেই মেসে রেখে এই সব ওষুধ বিক্রি করছে। শহর থেকে গ্রামগঞ্জের অসুস্থ মানুষ এই সব ওষুধ কিনে খেয়ে আরও বেশি অসুস্থ হচ্ছেন। অনেকে ক্ষেত্রে রোগীদের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

রাজধানীর মিটফোর্ড পাইকারি ওষুধ মার্কেট থেকে নকল, ভেজাল ও হাসপাতাল থেকে চুরি করা সরকারি বিনা পয়সার ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও র‌্যাবের সদস্যদের ১৪ ঘন্টার যৌথ অভিযানে প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের এই ধরনের ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর পর্যন্ত এ বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে।

তাৎক্ষণিক র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিকে মোট ৩৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অভিযানের সময় কয়েকজন মালিক পালিয়ে যাওয়ায় ২টি গোডাউন সিলগালা করে রাখা হয়েছে। ১৯৮২ সালের সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ক্ষতিকর ওষুধ (৪০ বছর পরও) মিটফোর্ডে বিক্রি হচ্ছে। তবে তা ভারত থেকে চোরাই পথে এনে বিক্রি করা হয়। যা খেলে কিডনি ও লিভারসহ শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন।

মহাখালী ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে বিশেষজ্ঞ টিম ও র‌্যাব হেডকোয়াটার্সের টিমের ১শ কর্মকর্তা ও সদস্য টানা ১৪ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়েছেন। অভিযানের সময় মিটফোর্ড হাজিরানী মেডিসিন মার্কেট, নায়না মেডিসিন মার্কেট, মা মেডিসিন মার্কেট, খান মেডিসিন মার্কেট ও ঢাকা মেডিসিন মার্কেটের ১৩টি ওষুধের দোকান ও গোডাউন তল্লাশি চালানো হয়। ঐসব ওষুধের দোকান থেকে জীবন রক্ষাকারী নকল ইনসুলিন, নকল ভেজাল এবং ভারতীয় আনরেজিস্টার্ড ওষুধ, বিক্রি নিষিদ্ধ অন-অনুমোদিত ওষুধ জব্দ করেছে।

হাজিরানী মেডিসিন মার্কেটের মেসার্স পাল কেমিকেল ড্রাগস, মেসার্স তামান্না ড্রাগ, মেসার্স হাজিগঞ্জ মেডিসিন কর্নার ও ১টি গোডাউন, নয়না মেডিসিন মার্কেটের মেসার্স চৌধুরী ফার্মেসি, মেসার্স কাফ মেডিকেল, মেসার্স জগত জননী ড্রাগস, মেসার্স রাফী মেডিসিন, মেসার্স গল্প বীথি ড্রাগস, মা মেডিসিন মার্কেটের মেসার্স ইকবাল সার্জিকাল নামীয় ফার্মেসি ও গোডাউনে রেজিস্ট্রেশন বিহীন, ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন এবং তাপ সংবেদনশীল ওষুধ যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার দায়ে সর্বমোট ১৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযানে হাজিরানী মেডিসিন মার্কেটের মেসার্স মদিনা ফার্মেসির গোডাউনে নকল ইনসুলিনস মজুদসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকা মেডিসিন মার্কেটের মেসার্স জনসেবা মেডিকেল এজেন্সি এর গোডাউন ও ফার্মেসিতে ভারতীয় আনরেজিস্ট্রার্ড ওষুধ, অবৈধ ও সরকারি ওষুধ মজুদসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

খান মেডিসিন মার্কেটের ৬ষ্ঠ তলায় ২টি গোডাউনে সরকারি ওষুধ ও অবৈধভাবে আমদানিকৃত ওষুধ পাওয়া যায়। কিন্তু ওই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিকদেরকে না পাওয়ায় আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দুইটি গোডাউন সিলগালা করেন। এই ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে আদালতে নিয়মিত মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহিদ ইসলাম সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, ভারতীয় ওষুধ নিমেসোলাইড ব্যথা নাশক। কিন্তু কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিধায় ১৯৮২ সালে এই ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়।

সিপ্রোহেপ্টাডিন এ জাতীয় ওষুধ সেবনে মানুষ মোটাতাজা হলেও লিভার ও কিডনির মারাত্মক ক্ষতিকরে। শরীরে পানি চলে আসে। ডেক্সোন স্টেরয়েড জাতীয় নিবন্ধনবিহীন ওষুধ। এই ধরনের ক্ষতিকর ও নিষিদ্ধ ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। ওষুধ প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, অভিযানে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ ধরনের নকল ভেজাল ও অরেজিস্ট্রিকৃত ওষুধ উদ্ধার হয়েছে। এই সব ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা পরীক্ষা করা হবে।

অভিযোগ রয়েছে, সরকারি হাসপাতালের রোগীদের জন্য বিনামূল্যে দেয়া ওষুধ সংঘবদ্ধ চোরাচালানি চক্র মিটফোর্ডে নিয়ে পাইকারি ওষুধ মার্কেটে বিক্রি করছে। সে সব ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যারা জীবন রক্ষাকারী ওষুধ নকল করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া এখনই দরকার। ওষুধ আইনে তাদের সর্বোচ্চ সাজা হওয়া দরকার। আর যারা সরকারি হাসপাতালের ফি ওষুধ চুরি করে বিক্রি করে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা দরকার বলে তিনি মনে করেন। এর ফলে নকল ভেজাল ওষুধ বিক্রি কমবে বলে তিনি আশাবাদী।

উল্লেখ্য এর আগেও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর গত ১১ জানুয়ারি মিটফোর্ডে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক ট্রাক নকল ভেজাল ও অরেজিস্ট্রিকৃত ওষুধ উদ্ধার করেছে। এরপর চলতি মাসে আবার অভিযান। অনেকের অভিযোগ মিটফোর্ডে নকল ভেজাল ওষুধের ছড়াছড়ি। গোডাউন, ক্যাশের ভিতর রেখে এই সব ওষুধ বিক্রি করা হয়। আবার অনেকেই মেসে রেখে এই সব ওষুধ বিক্রি করছে। শহর থেকে গ্রামগঞ্জের অসুস্থ মানুষ এই সব ওষুধ কিনে খেয়ে আরও বেশি অসুস্থ হচ্ছেন। অনেকে ক্ষেত্রে রোগীদের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

ক্রাইম ডায়রি/ জনস্বার্থে- সুত্র - অনলাইন মিডিয়া