সিআইডি কর্তৃক ভুয়া ডিবি পরিচয়ধারী ০৮ জন ডাকাত গ্রেফতার

উদ্ধারকারী সিআইডি কর্মকর্তা তার ফেসবুক ওয়ালে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিয়ে বলেন, "বিপদ এড়ানোর জন্য কখনও ব্যাংক হতে বেশি টাকা নেওয়ার পথে এভাবে মামলা বা জালটাকা আছে বলে গাড়ীতে উঠানের চেষ্টা করে তখন কাউকে না ডেকে বা জানিয়ে গাড়ীতে উঠবেন না

সিআইডি কর্তৃক ভুয়া ডিবি পরিচয়ধারী ০৮ জন ডাকাত গ্রেফতার
প্রতীকী ছবি

ডাকাত চক্রটি বিভিন্ন ব্যাংকের যে সকল শাখায় বেশি টাকা লেনদেন হয় ঐ সকল শাখাকে প্রথমে টার্গেট করে

অনলাইন ডেস্কঃ

ইদানীং কালে ভূয়া ডিবি, পুলিশ, ম্যাজিষ্ট্রেটসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকর্তার পরিচয়ে প্রতারণার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি, দেশের সবচেয়ে চৌকস ও জনবান্ধব গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ডাকাতিকালে একদল ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে এবং এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ০২টি দামী প্রাইভেটকার, পিস্তল ও হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করেছে। 

সিআইডি সুত্রে জানা গেছে,  এই ডাকাত চক্রটি বিভিন্ন ব্যাংকের যে সকল শাখায় বেশি টাকা লেনদেন হয় ঐ সকল শাখাকে প্রথমে টার্গেট করে। পরবর্তীতে এই ডাকাত চক্রটি বিভিন্ন ব্যাংকের যে সকল শাখায় বেশি টাকা লেনদেন হয় ঐ সকল শাখাকে প্রথমে টার্গেট করে। পরবর্তীতে ডাকাতদের কিছু সদস্য ব্যাংকের বাইরে দুটি গাড়ীতে অবস্থান করে এবং তাদের একজন ব্যাংকের মধ্যে ক্যাশ কাউন্টার ফলো করতে থাকে যে, কে বেশি পরিমান টাকা নিচ্ছে।

টার্গেট মোতাবেক এরকম যখন কাউকে পেয়ে যায় তখন বাইরে অবস্থান করা অন্যান্য সদস্যদের জানিয়ে দেয় অমুক ব্যক্তি টাকা নিয়ে বের হচ্ছে। ঠিক তখনি ভুয়া ডিবি বা র‌্যাব পরিচয়ধারী ডাকাতরা গাড়ী নিয়ে পিছু নিয়ে থাকে। তারা প্রকাশ্য স্থানে বাজার এলাকায় সাধারনত ধরে না এবং তারা সাধারনত ডিবি জ্যাকেট সহ ভুয়া ওয়াকিটকি ব্যবহার করে।

যখন ফাঁকা রাস্তায় পেয়ে যায় কখন জাল টাকা আছে বা হুন্ডির টাকা রয়েছে বলে অভিযোগ করে গাড়ীতে তুলে ফেলে। গাড়ীতে উঠানোর পর চোখ মুখ বেধে ফেলে পরে টাকা-পয়সা মোবাইল সবকিছু নিয়ে সুযোগ বুঝে ফাঁকা কোন জায়গায় ফেলে দেয় বা ছেড়ে দেয়। এরকম পরিস্থিতি হলে অনুমান করতে হবে ভুয়া ডিবি। তখন চিৎকার দিয়ে লোকজন আনার চেষ্টা করতে হবে। কোন মতে লোকজনকে না জানিয়ে গাড়ীতে উঠা যাবে না।

কিছুদিন পূর্বে এভাবে ব্যাংক থেকে যাওয়ার পথে একজন ব্যবসায়ীর ২০(বিশ)লক্ষ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায় একদল ডাকাত।  সিআইডির একজন  দায়িত্বপ্রাপ্ত চৌকস কর্মকর্তা  সাত দিনের মধ্যে টানা ৬ দিন রাত ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে  ডাকাত চক্রকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।  এসময় ডাকাতি করা ২০(বিশ)লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে,  এভাবে ডাকাতি করে তারা বিপুল পরিমান টাকার মালিক হয়ে গেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামলা আছে। তারা কয়েকদিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করে।

এদিকে উদ্ধারকারী সিআইডি কর্মকর্তা তার ফেসবুক ওয়ালে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিয়ে বলেন, "বিপদ এড়ানোর জন্য কখনও ব্যাংক হতে বেশি টাকা নেওয়ার পথে এভাবে মামলা বা জালটাকা আছে বলে গাড়ীতে উঠানের চেষ্টা করে তখন কাউকে না ডেকে বা জানিয়ে গাড়ীতে উঠবেন না। তিনি দেশবাসীকে সচেতন থাকার আহবান জানান। "

ক্রাইম ডায়রি / আইন শৃঙ্খলা