একের পর এক চমক দেখাচ্ছে বিএসটিআই: ধারাবাহিক অভিযানে কমছে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান: বেড়েছে সরকারের রাজস্ব
মহাপরিচালক জনাব এস এম ফেরদৌস আলম এর সুদক্ষ নেতৃত্বে বিএসটিআইয়ের এই এগিয়ে চলা দেশের শিল্প খাতকে প্রশংসনীয় করে তুলেছে।
সুদিন এসেছে বিএসটিআইয়ের কার্যক্রমে। পণ্য রপ্তানিতেও এসেছে মানসম্পন্ন পরিবর্তন। এখন বিদেশের ক্রেতারাও বাংলাদেশের পণ্য ক্রয়ে বিএসটিআইয়ের ভুমিকার উপর পুরো নির্ভর করেন।
শরীফা আক্তার স্বর্না, বিশেষ প্রতিবেদক:
সারাদেশে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালাচ্ছে বিএসটিআই। অব্যহত এই অভিযানে কমে এসেছে মানহীন পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। বেড়েছে সরকারের রাজস্ব আয়। মহাপরিচালক জনাব এস এম ফেরদৌস আলম এর সুদক্ষ নেতৃত্বে বিএসটিআইয়ের এই এগিয়ে চলা দেশের শিল্প খাতকে প্রশংসনীয় করে তুলেছে। আগে বিএসটিআইয়ের আওতাধীন পণ্য কম ছিল । ফলে যাচ্ছে তাই ভাবে পণ্য উৎপাদন করে বাজারজাত করত কিছু প্রতিষ্ঠান।
ফলে একদিকে যেমন সাধারন জনগন মানহীন পণ্য ক্রয় করে স্বাস্থ্যঝুকিতে পড়ত এবং ঠকতো; অন্যদিকে রাজস্ব হারাতো সরকার। তখন বিএসটিআইয়ের কার্যকারীতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলত দেশের মানুষ। কিন্তু দিন পাল্টেছে । সুদিন এসেছে বিএসটিআইয়ের কার্যক্রমে। পণ্য রপ্তানিতেও এসেছে মানসম্পন্ন পরিবর্তন। এখন বিদেশের ক্রেতারাও বাংলাদেশের পণ্য ক্রয়ে বিএসটিআইয়ের ভুমিকার উপর পুরো নির্ভর করেন।
সক্ষমতায় বাংলাদেশের একমাত্র মাণ নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই পুরোপুরি আন্তর্জাতিক মানের। খাদ্য দ্রব্যের পাশাপাশি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভোগ্য পণ্য কিংবা জনগুরুত্বপূর্ন ব্যবহার্য বস্তুুর উপরও বিএসটিআইয়ের রয়েছে কড়া নজরদারী। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে মহাপরিচালক জনাব এস এম ফেরদৌস আলম এর সুদক্ষ নেতৃত্বের কারনে। সম্প্রতি রাজশাহী বিএসটিআইয়ের বগুড়া অফিসের কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো। ধারাবাহিক অভিযানের কারনে কমে এসেছে জেলার পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মানচিত্র। ইটভাটা, তেলের পাম্প, হোটেল কিংবা ফুড ফ্যাক্টরী কিংবা বিএসটিআইয়ের আওতাভুক্ত যে কোন ফ্যাক্টরীতে অভিযান চলছেই প্রতিনিয়ত।
বগুড়া অফিসের সাবেক কর্মকর্তা প্রকৌশলী জুনায়েদ আহমেদ বগুড়া এমন ভাবে গুছিয়ে এনেছিলেন যে বগুড়া বিএসটিআই একটি মডেল হয়ে গিয়েছিল। এরই পূর্নরুপ দিয়েছেন কর্মকর্তা মোঃ মেজবাউল হাসান, সহকারী পরিচালক ( সিএম) এবং মোঃ শাহ আলম পলাশ খাঁন , পরিদর্শক (মেট)। রাজশাহী বিএসটিআইয়ের উদ্যোগে সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলায় একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রাজশাহী বিএসটিআইয়ের জনাব আবু বকর, পরিদর্শক (মেট্রোলজি)।
ইটভাটাগুলিকে উৎপাদিত ক্লে-ব্রিকস পণ্যের মান সর্বদা সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মানের সমপর্যায়ে রেখে উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণের পরামর্শ দেওয়া এবং নমুনা সংগ্রহের জন্য রাজশাহীতে অবস্থিত ইটের ভাটা গুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন বিএসটিআই বিভাগীয় অফিস রাজশাহী এর কর্মকর্তা জনাব দেবব্রত বিশ্বাস, সহকারী পরিচালক (সিএম) ও জনাব এ এফ এম হাসিবুল হাসান, ফিল্ড অফিসার (সিএম) ।
হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় একটি সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে স্পেক্টা ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ, আকিজ হেলথ কেয়ার এবং হাইজিন লিঃ, স্টার সিরামিক লিঃ, হবিগঞ্জ এগ্রো লিঃ এর মতো স্বনামধণ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন ত্রুটি সংশোধনের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। অভিযানে বিএসটিআই সিলেটের কর্মকর্তা জনাব মোঃ মাসুদ রানা, সহকারী পরিচালক (মেট্রোলজি) এবং জনাব সুমন সাহা, সহকারী পরিচালক (মেট্রোলজি) অংশগ্রহন করেন।
বিএসটিআইয়ের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় উপজেলাপ্রশাসন, বিএসটিআই ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি ভ্রম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে যমুনা বেকারি, মেসার্স শাহজাহান এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় ও ক্রটি সংশোধনের পরামর্শ দেয়া হয়। প্রসিকিউটির হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন অত্রাফিসের কর্মকর্তা প্রকৌ. অর্ণব চক্রবর্ত্তী, ফিল্ড অফিসার (সিএম) ও জনাব আমির হামজা, পরিদর্শক(মেট)।
প্রতিষ্ঠানগুলিকে উৎপাদিত পণ্যের মান সর্বদা সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মানের সমপর্যায়ে রেখে উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজশাহী বিএসটিআইয়ের উদ্যোগে। বিএসটিআই বিভাগীয় অফিস রাজশাহী এর কর্মকর্তা জনাব এ এফ এম হাসিবুল হাসান, ফিল্ড অফিসার (সিএম) অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সহ ইটের ভাটা এবং তেলপাম্পে অভিযান চালান।
অন্যদিকে বরিশাল মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। মোবাইল কোর্টে মেসার্স বীণাপানি ট্রেডাস, মনোয়ারা এগ্রো ফুড এন্ড কেমিক্যালকে লাইসেন্স না থাকায় জরিমানা করা হয় এবং লাইসেন্স গ্রহন করতে পরামর্শ দেয়া হয়। প্রসিকিউটর হিসেবে বিএসটিআই বিভাগীয় অফিস, বরিশালের কর্মকর্তা মোঃ ইয়াছির আরাফাত, ফিল্ড অফিসার(সিএম) ও জনাব মোঃ মহসীন রব্বানী, উর্ধ্বতন পরীক্ষক ( মেট) দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা বিএসটিআইয়ের প্রসিকিউটর হিসেবে জনাব মোঃ খাইরুল ইসলাম, ফিল্ড অফিসার (সিএম) এবং জনাব রায়হান হায়দার সম্রাট, পরিদর্শক (মেট্রোলজি ) মহানগরীর রামপুরা এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে আর রাহমান লাইভ বেকারী, রাজভোগ সুইটস এর আউটলেট সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে সিএম লাইসেন্স সংরক্ষণ না করায় সতর্ক এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস সংরক্ষণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। মোবাইল কোর্ট বিএসটিআই'র বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। প্রসিকিউটর হিসেবে জনাব মোঃ খাইরুল ইসলাম, ফিল্ড অফিসার (সিএম), বিএসটিআই, ঢাকা এবং জনাব রায়হান হায়দার সম্রাট, পরিদর্শক (মেট্রোলজি), বিএসটিআই, ঢাকা দায়িত্ব পালন করেন।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগরীর ডেমরা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বিএসটিআই এর বাধ্যতামূলক পণ্য “ডেকোরেট কেক” এর অনুকূলে বিএসটিআই সিএম লাইসেন্স গ্রহণের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদানের অপরাধে বিএসটিআই আইন, ২০১৮ অনুসারে টি কে মিলান (বেকারী, হট ব্রেড লাইভ বেকারীসহ উক্ত এলাকায় অবস্থিত ২টি ফিলিং স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিএসটিআই'র বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব কানিজ ফাতেমা লিজা এর নেতৃত্বে প্রসিকিউটর হিসেবে জনাব মাকসুদা রুনা, ফিল্ড অফিসার (সিএম), বিএসটিআই, ঢাকা এবং জনাব সিরাজুম মুনিরা, পরিদর্শক, (মেট্রোলজি), ডিএমআই, বিএসটিআই, ঢাকা দায়িত্ব পালন করেন।
ক্রাইম ডায়রি// বিএসটিআই