হাঁচি,কাঁশি,থুথু ও মোবাইল ফোন করোনার ছড়ানোর জন্য যথেষ্টঃ সাবধানে থাকুন

Be careful enough to sneeze, cough, spit and spread the mobile phone corona

হাঁচি,কাঁশি,থুথু ও মোবাইল ফোন করোনার ছড়ানোর জন্য যথেষ্টঃ সাবধানে থাকুন

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ

মাস্ক পড়েন কিন্তু  কি জন্য পড়েন; এমন উত্তরে শতকরা নিরানব্বই জন গনমানুষ  বলেছেন করোনা প্রতিরোধের জন্য। কিন্তু মাস্ক পড়ে কিভাবে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হবে সে সম্পর্কে তাদের ধারনা অস্পষ্ট। মাস্কের ব্যবহার নিয়ে গবেষণাকালীন সময়ে দেখা গেছে স্বল্পশিক্ষিত এবং অশিক্ষিত মানুষের শতকরা নিরানব্বই জন হাঁচি কাঁশি দেবার সময় মাস্ক খুলে হাঁচি-কাশি দেন।এরপর থুথু ফেলে মাস্ক পড়েন।আবার অনেকে মাস্ক খুলে কথা বলা শুরু করেন। এতে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এসব লোক পাশে থাকলে নিকটতম ব্যক্তি ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে।  কারন হাঁচি-কাশি, থুথু কিংবা লালা ছড়ানোর মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে প্রায় সব বিশেষজ্ঞই একমত পোষণ করেন। সম্প্রতি, (জাতীয় সাপ্তাহিক, অনলাইন দৈনিক ও অনলাইন টেলিভিশন) ক্রাইম ডায়রির সম্পাদক ও প্রকাশক  আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেল এর উদ্যোগে পরিচালিত মাস্কের ব্যবহার নিয়ে  এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন ব্যাংক নোট, মোবাইল ফোনের পর্দা ও স্টেইনলেস স্টিলের (মরিচামুক্ত ইস্পাত) ওপর ২৮ দিন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের জীবাণু বেঁচে থাকতে পারে। বিবিসি জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল সায়েন্স এজেন্সির (সিএসআইআরও) বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এ দাবি করেছেন। 

করোনাভাইরাসের জীবনকাল সম্পর্কে আগে যা ধারণা করা হয়েছিল, ভাইরাসটি তার চেয়েও বেশি দিন বাঁচতে পারে বলে নতুন এক গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে বা স্বাভাবিক আবহাওয়ায় কাচ, মোবাইলের স্ক্রিন, প্লাস্টিক ও টাকার ওপর এ ভাইরাস ২৮ দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে। যেখানে অন্য সংক্রামক ব্যাধির ভাইরাসগুলো সর্বাধিক ১৭ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে সক্ষম।আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, করোনাভাইরাস ব্যাংক নোট ও কাচের ওপর দুই থেকে তিন দিন, প্লাস্টিক ও ধাতব বস্তুর ওপর ছয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। পাশাপাশি হাঁচি-কাশি ছাড়াও বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন বস্তু, ধাতু কিংবা প্লাস্টিকের মাধ্যমে এটি ছড়ায়।

দেশীয় গণমাধ্যম বহুল প্রচলিত জাতীয় দৈনিক যুগান্তরের একটি রিপোর্টে প্রকাশ, 

" যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির কমন কোল্ড সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক রন একলেস নতুন গবেষণাটির সমালোচনা করে বলেন, জনগণের মাঝে অযাচিত ভয়ভীতি ছড়ানো ছাড়া আর কিছুই নয়। ভাইরাস মূলত মানুষের নাকের পানি, কফ ও থুতুতে ছড়ায়। এই গবেষণায় এসব ব্যবহার করা হয়নি।

তবে এর আগে গবেষণায় এমন প্রমাণও মিলেছে যে, উড়ন্ত বাতাসের কণায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। জীবাণুযুক্ত ধাতব বা প্লাস্টিক ছুঁয়েও করোনায় সংক্রমিত হওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি)। তবে এমন উপায়ে সংক্রমণের সংখ্যা খুবই কম।"

শীত আসছে। ঠান্ডাকালীন সময়ে মানুষের ঠান্ডা সর্দি সহ নানাবিধ রোগের প্রকোপ শুরু হয়। এসময় বাতাস আদ্র ও ভারী থাকে। ফলে থুথু কাশির মাধ্যমে  জীবানু ছড়ানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই সতর্কতা ছাড়া কোন মুক্তি নেই। 

ক্রাইম ডায়রি // স্বাস্থ্য