শিক্ষা ব্যবস্থায় আসছে বিশ্বমানের পরিবর্তন
যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যত উন্নত যত আধুনিক সেই দেশ তত উন্নত। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সোনার বাংলা বিনির্মানে সর্বপ্রথম ধাপ হলো শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। ডাঃ দিপুমনি এমপি শিক্ষা মন্ত্রী হবার পর উন্নত বিশ্বের শিক্ষা কারিকুলামের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। ফলে জাতী পেতে যাচ্ছে সর্বাধুনিক শিক্ষাকারিকুলাম। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা আসছে। ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন হবে। এই শিক্ষাক্রমে আলাদা কোনো বিভাগ থাকবে না।
আশরাফী আক্তার সুমিঃ
বাংলাদেশ এখন উন্নত বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে স্বপ্ন দেখে। শিক্ষা নীতির আমূল পরিবর্তন করে একটি অভিন্ন বৈজ্ঞানিক ও গবেষণা মূলক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে উন্নতদেশের তালিকায় পৌঁছাতে পারবে বাংলাদেশ। যে দেশ হবে স্বনির্ভর। আবিস্কারক তৈরি হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাংলাদেশ হবে সেরা দেশগুলোর একটি। তাই প্রয়োজন উন্নত বিশ্বের শিক্ষা কালিকুলাম।
বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে চৌকস শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দিপুমনি সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনিই প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী যিনি সাহস নিয়ে এ জাতীর মানুষদের একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন উপহার দিতে যাচ্ছেন।
নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা আসছে। ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন হবে। এই শিক্ষাক্রমে আলাদা কোনো বিভাগ থাকবে না। নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে এক বিভাগ। যা বর্তমানে এই দুই শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা- এই তিনটি আলাদা বিভাগ রয়েছে। ডিসেম্বর ১৮,২০২১ইং শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
কাকরাইলে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিকে ১০০টি আর মাধ্যমিকে ১০০টি প্রতিষ্ঠানে পাইলটিং শুরু হচ্ছে। এ জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ চলছে, টিচার্স গাইড তৈরি হচ্ছে।
‘ছয় মাস পাইলটিংয়ের পর বিশ্লেষণ করে ২০২৩ সাল থেকে আশা করছি, আমরা নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে পারব। সে ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে প্রাথমিকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে আর মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এটি চালু হবে। এ ছাড়া পাইলটিং যেটি আগামী বছর করব, সেটি হবে প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি ও মাধ্যমিকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে।’
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণি হবে। ২০২৫ সালে এদিকে পঞ্চম এবং ওদিকে দশম শ্রেণি অর্থাৎ ইম্প্রিমেন্টেশনটা হয়ে যাবে। এটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সব করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সাল থেকে এ কার্যক্রম সারা দেশে নিয়ে যাব। পরে আমরা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করব। এরপর ২০২৫ সালে সারা দেশে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হবে।’
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপনবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আসছে। পঞ্চম শ্রেণি সমাপনী পিইসি, অষ্টম শ্রেণি সমাপনী জেএসসি পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করা হবে। তবে সেগুলোয় ক্লাস সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সেভাবে মূল্যায়ন করে সনদ দেব।
একইসঙ্গে নবম ও দশম শ্রেণিতে যে বিভাজনটি থাকে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ- সেটি আর থাকবে না। আলাদা বিভাগ থাকবে না। এই দুই ক্লাসে বাধ্যতামূলকভাবে কারিগরির একটি ট্রেড শিখতে হবে। নবম ও দশম শ্রেণিতে আলাদা বই হবে। যে ১০টি সাবজেক্ট আছে সবাই সেগুলো পড়বে।’
ক্রাইম ডায়রি // জাতীয়