রেইনট্রিকান্ডে বিচারক কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিলেন সুপ্রিমকোর্ট

The Supreme Court has stripped Judge Kamrunnahar of his judicial powers

রেইনট্রিকান্ডে বিচারক কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিলেন সুপ্রিমকোর্ট

‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ অদ্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ১ নং ক্রমিকের মামলায় শুনানি অন্তে - তাহার ফৌজদারী বিচারিক ক্ষমতা সিজ (seize) করা হয়েছে- মর্মে আদেশ প্রদান করেন। পূর্ণাঙ্গ রায় পরবর্তীতে প্রকাশ হবে।

শাহাদাত হোসেন রিটনঃ

বাংলাদেশ সরকারের বিচার বিভাগ সবসময়ই স্বচ্ছ এবং স্বাধীন। ন্যায় বিচারের মানদণ্ডে দেশের বিচার বিভাগ বিশ্বের সেরা। তবে মানুষ ভূলের উর্ধে নয়।

সম্প্রতি রেইনট্রি হোটেল কান্ডে পর্যবেক্ষণ দেয়ায় ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। 

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলায় এখতিয়ারবহির্ভূত পর্যবেক্ষণ দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এরপরই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে বিচার বিভাগ। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,  ‘আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে বর্তমানে সংযুক্ত এবং ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর সাবেক বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার অদ্য ২২/১১/২০২১ তারিখ সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগে সশরীরে উপস্থিত হন’।

‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ অদ্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ১ নং ক্রমিকের মামলায় শুনানি অন্তে - তাহার ফৌজদারী বিচারিক ক্ষমতা সিজ (seize) করা হয়েছে- মর্মে আদেশ প্রদান করেন। পূর্ণাঙ্গ রায় পরবর্তীতে প্রকাশ হবে।’

নভেম্বর ২২,২০২১ইং সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বিচারক কামরুন্নাহার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এজলাসকক্ষে প্রবেশ করেন।

পরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানি হয়েছে। শুনানির সময় ওই বিচারকক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন অফিসার, আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের বাইরে অবস্থান করতে  নির্দেশনা দেয়া হয়। ক বিচারক কামরুন্নাহারকে নিয়ে আপিল বিভাগে ক্যামেরা ট্রায়ালে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

প্রধান বিচারপতি সহ বিচার বিভাগের বিজ্ঞ বিচারপতিদের এমন জ্ঞানোচিত সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা ও সময়ের সাহসী সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করছেন সুশীল সমাজ।

ক্রাইম ডায়রি // আইন ও আদালত