এসপি আলতাফ চাকুরীচ্যুত হলেনঃ আইন সবার জন্য সমান

বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা। যার নিকট্ অপরাধী অপরাধীই। কারো নাম ভাঙ্গিয়ে পগার পার হবার সুযোগ যার আমলে নেই। যার কোলেই আশ্রয় নেয়া , যার নাম ভাঙ্গিয়েই চলার চেষ্টা হোক । সঠিক চরিত্র ফাঁস হয়ে গেলে কোন নিস্তার নেই যার আমলে তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন শাসক।

এসপি আলতাফ চাকুরীচ্যুত হলেনঃ আইন সবার জন্য সমান
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত
২০১৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরার এসপির দায়িত্বে ছিলেন আলতাফ হোসেন। ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর বিপ্লব চ্যাটার্জি নামের এক স্বর্ণ কারবারি আটক হন। তার কাছে ১২০ ভরি স্বর্ণ পাওয়া গিয়েছিল তখন। ওই ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় স্বর্ণগুলোর জব্দ তালিকাও করা হয়। কিন্তু পরে স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা না হয়ে ওই থানায় মাদকের মামলা রেকর্ড করা হয়। 
আলাউদ্দিন সোহেলঃ
অবশেষে  আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেল। আইন সবার জন্য সমান। কথাটি আবার নাড়া দিয়ে গেল জনমনে। মনে আছে সাতক্ষীরার সেই দাপুটে এসপি  আলতাফ হোসেনের কথা। দাপটে টেকাই ছিল বড় দায়। কিন্তু বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনী এদেশের স্বাধীনতার জন্য প্রথম জীবন দানকারী প্রতিষ্ঠান।দেশের স্বাধীনতায় যারা প্রথম বুক পেতে দিয়েছিল এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কোন ন্যুনতম দুর্ণীতিবাজ প্রশ্রয় পাবে এমন কোন সুযোগই নেই। বাংলাদেশ পুলিশ এদেশের মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন।
অবশেষে দুর্নীতি প্রমানিত হওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) আলতাফ হোসেন। সাড়ে পাঁচ বছর আগে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় ১২০ ভরি স্বর্ণ গায়েবের ঘটনায় গত বুধবার এই কর্মকর্তাকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।তিনি বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশের সিলেট অঞ্চলে দায়িত্বরত।
 
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেনের সই করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর (খ) অনুযায়ী আনীত ‘অসদাচরণের’ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই বিধিমালার ৪(৩) গ বিধি মোতাবেক গুরুতর দণ্ড হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরার এসপির দায়িত্বে ছিলেন আলতাফ হোসেন। ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর বিপ্লব চ্যাটার্জি নামের এক স্বর্ণ কারবারি আটক হন। তার কাছে ১২০ ভরি স্বর্ণ পাওয়া গিয়েছিল তখন। ওই ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় স্বর্ণগুলোর জব্দ তালিকাও করা হয়। কিন্তু পরে স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা না হয়ে ওই থানায় মাদকের মামলা রেকর্ড করা হয়। 
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসপি আলতাফ হোসেন স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনা মাদক উদ্ধারের ঘটনায় সাজানোর বিষয়টি জানা সত্ত্বেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তিনি অসত্য প্রতিবেদন পাঠান। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ২০১৯ সালে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।
এরপর আলতাফ হোসেনের ব্যাখ্যাও নেওয়া হয়। পরে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আতাউল কিবরিয়া এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করেন। সেই তদন্তে এসপি আলতাফের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে দ্বিতীয় দফায় আলতাফ হোসেনের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
আলতাফ হোসেনের জবাব পর্যালোচনা করে তাকে চাকরি থেকে অপসারণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মতামত নেয় ‍বিজ্ঞ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার প্রেক্ষিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এসপি আলতাফ হোসেনের চাকরিচ্যুতির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় বলে জানা গেছে।
ক্রাইম ডায়রি/ আদালত