রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশ ভ্রমণ: এবার দেয়া হলো নিষেধাজ্ঞা

এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর নিজস্ব অর্থায়নেও বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।

রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশ ভ্রমণ: এবার দেয়া হলো নিষেধাজ্ঞা
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

আরিফুল ইসলাম কাইয়্যূমঃ

রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে অল্প প্রয়োজনে বিস্তর খরচ করে প্রকল্প ও প্রশিক্ষনের নামে চলে আসা  সরকারি খরচে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। অর্থ মন্ত্রণালয় এ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে চলমান বিশ্ব অর্থনীতি ও দেশের ডলার সংকটের কারণে বৈদেশিক রিজার্ভের ওপর চাপ কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। এর অংশ হিসেবেই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। 

তবে সীমিত আকারে দুটি ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে। এতে লাগবে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। এই সুযোগের মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক-সরকার, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ অর্থায়নে পাওয়া বৃত্তি, ফেলোশিপের আওতাধীন মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়ন।

দ্বিতীয়টি হচ্ছে বৈদেশিক-সরকার, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বিশেষায়িত পেশাগত প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর নিজস্ব অর্থায়নেও বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।

এর আগে করোনা মহামারি পরবর্তীকালে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। মে মাসে জারি করা ওই নির্দেশনায় সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব সংস্থাসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সে সময়েও এসব সংস্থার নিজ খরচায় সব ধরনের বিদেশ সফর বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ক্রাইম ডায়রি/জাতীয়