রাজধানীতে ফুটপাত দখলঃ সমাধানের উদ্যোগ নিলেন মেয়র আতিক

রাজধানীর ফুটপাত দখল করে রাখার কারনেও একদিকে যেমন যানজট হয় তেমনি পথচারীদেরও মানব জটের সম্মুখীন হতে হয়।

রাজধানীতে ফুটপাত দখলঃ সমাধানের উদ্যোগ নিলেন মেয়র আতিক

তারা জানিয়েছে, ওই সময় না আসলে অন্য কেউ ওই জায়গায় বসে যাবে। এ সময় তিনি বলেন, তাই আমরা চিন্তা করেছি, তাদের এই দখল না হয়ে যাওয়ার নিশ্চয়তাটুকু দিলে পথচারীদের যদি ব্যাঘাত না ঘটে সেটা করা হবে

আরিফুল ইসলাম কাইয়ুমঃ

রাজধানীতে জনসংখ্যার চাপ বিগত বছর গুলোর তুলনায় অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাম ছেড়ে কর্মের তাগিদে মানুষ ছুটছে রাজধানীতে। ফলে অতিরিক্ত চাপে ছোট্ট ঢাকা নাজেহাল। যানজট বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। পথ প্রশস্ত করেও জট কমানো যায়নি। বরং জনসংখ্যার চাপে ফুটপাত দখল হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও উদ্বাস্তুর কারণে ঢাকার জনসংখ্যার উপর চাপ বাড়ছে, ঢাকা আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার লোক ঢাকায় ঢুকছে। আর এদের জায়গা হচ্ছে ফুটপাত ও বস্তিতে। ফলে নগরীর সার্বিক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে।  তাই সবার আগে এটা বন্ধ করতে হবে। ’

ডিসেম্বর ২৯,২০২১ইং বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় ডিএনসিসির সম্মেলন কক্ষে ডিএনসিসি ও ব্র্যাকের যৌথভাবে আয়োজিত ঢাকা শহরের স্ট্রিট ভেন্ডরদের ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অংশীজন সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকজন হকারদের সাথে নিজে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি। তাদের বিক্রির সময় শুরু হয় বিকাল ৪টার পর কিন্তু তারা সকাল ১০টায় গিয়ে জায়গা দখল করে রাখে এবং এতে মানুষজনের চলাচলের ব্যাঘাত ঘটে।

আমি তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এটা কেন করে তারা? তারা জানিয়েছে, ওই সময় না আসলে অন্য কেউ ওই জায়গায় বসে যাবে। এ সময় তিনি বলেন, তাই আমরা চিন্তা করেছি, তাদের এই দখল না হয়ে যাওয়ার নিশ্চয়তাটুকু দিলে পথচারীদের যদি ব্যাঘাত না ঘটে সেটা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘সপ্তাহের কিছু দিন, কিছু সময় এবং কিছু কিছু রাস্তায় এটা বাস্তবায়ন করা হবে। এভাবে তাদের এক সময় পুনর্বাসন করা হবে। উন্নত অনেক দেশে রাস্তার পাশে ফুটকোর্টের মতোও আছে, সেটার বিষয়েও ভেবে রাখবো। ’

মেয়র বলেন, সরকারি জায়গা কেউ দখলে রাখতে পারবে না। এখানে  সবার সমান অধিকার। ভেন্ডরদের এই বিষয়গুলো ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা ওয়ার্কিং কমিটি করে দিতে চাই। ওয়ার্কিং কমিটি পলিসি তৈরি করে দেবে।

কাদের এসব জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে সেটাও স্থির করতে হবে। প্রয়োজনে পিপিপিতে (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) কাজ করতে হবে। এ কাজে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আসতে হবে, ভালো থাকার জন্য

তিনি বলেন, সবাইকে নিয়ে একটি মানবিক নগর গড়ে তুলতে চাই। সর্বস্তর থেকে সবার সহযোগিতা পেলে এটি সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভায় অংশ নেওয়া বক্তারা  ফুটপাত ব্যবস্থাপনায় রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রেখে প্রশাসনের সহায়তার কথা বলেন।  এছাড়া যারা নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময় বসতে চায় তাদের স্বল্প সুদে ঋণ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শহরে যেসব বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে তাদের কর্মীদের জন্য হাল্কা নাস্তা ও স্মোক জোন তৈরি করার প্রস্তাব করেন বক্তারা।

উত্তর সিটি করপোরেশনের সিইও. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও সচিব  মাসুদ আলম সিদ্দিকের সঞ্চালনায় কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন।

ক্রাইম ডায়রি // রাজধানী