সারাদেশে সকল অপরাধীদের ধরা হবেঃ দলীয় হলেও ছাড় নেই

All the criminals will be caught all over the country but there is no exemption

সারাদেশে  সকল অপরাধীদের ধরা হবেঃ দলীয় হলেও ছাড় নেই
ছবিঃ গুগল হতে সংগৃহীত

ক্রাইম ডায়রি ডেস্কঃ

বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটাই নীতি কোন অপরাধী অপরাধ করে পার পেয়ে যেতে পারবেনা । তা সে যে দলেই করুক। বঙ্গবন্ধুরও আদর্শ এটাই। ৭১ পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর সকল ভাষণে তিনি এ কথা গুলোই বারবার বলেছেন। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে এবং বিভিন্ন ইঙ্গিতে। যা এখনও মানুষের সামনে ইউটিউবের কল্যানে বিদ্যমান। তাই তারই রেখে যাওয়া সুযোগ্য উত্তরাধিকার বঙ্গকন্যার ও একই নীতি। সোনার বাংলা গড়তে হলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোসহীন হবার বিকল্প নেই। তাই দলীয় নেতাকর্মীসহ সব ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে (শূন্য সহিষ্ণুতা) রয়েছে সরকার। বিশেষ করে আলোচিত কোনো অপরাধের জন্য মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা নেতারাও পার পাচ্ছেন না। যে কোন কলংকিত কাজে জড়ালেই ‘অ্যাকশন’ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা রয়েছে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সে কারণেই আইনের আওতায় আসতে হয়েছে পুরান ঢাকার দাপুটে নেতা হাজী সেলিম পরিবারকেও। তাদের অন্যায়-অনিয়ম তদন্তে চলছে বহুমুখী অনুসন্ধান। একজন হাজী সেলিম হতে পারে উদাহরন। কিন্তু সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজারো হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে এই অভিযান। বিভিন্ন সময়ে তার মতো  যারা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করেছেন তাদের ও সন্ধানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি সরকারের বার্তা হল- ‘ব্যক্তি অপকর্মের জন্য সরকারের অর্জন ম্লান করতে দেয়া যাবে না।’

বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটাই নীতি কোন অপরাধী অপরাধ করে পার পেয়ে যেতে পারবেনা । তা সে যে দলেই করুক। বঙ্গবন্ধুরও আদর্শ এটাই। ৭১ পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর সকল ভাষণে তিনি এ কথা গুলোই বারবার বলেছেন। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে এবং বিভিন্ন ইঙ্গিতে। যা এখনও মানুষের সামনে ইউটিউবের কল্যানে বিদ্যমান। তাই তারই রেখে যাওয়া সুযোগ্য উত্তরাধিকার বঙ্গকন্যার ও একই নীতি। সোনার বাংলা গড়তে হলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোসহীন হবার বিকল্প নেই।

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করা আওয়ামী লীগকে বিভিন্ন অপরাধে জড়ানোয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও শক্ত অবস্থানে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি সফল অভিযানে মতিঝিলের ক্লাবপাড়ার ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের অবসান হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও অপরাধে জড়িয়ে আইনের আওতায় আসতে হয়েছে অনেককে। অন্তত এক ডজন এমপিকে আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে জবাবদিহীতার আওতায় আনা হয়েছে।

নানা সময়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোয় দলের হাইকমান্ডের বিশেষ নজরদারিতে এসেছেন অন্তত ২৩ জন এমপি। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পদে থেকে বা পদ ব্যবহার করে অপরাধে জড়িয়ে এসেছে কঠোর শাস্তির আওতায়।

এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এরা যাতে ভবিষ্যতে দলের নাম ভাঙিয়ে অপরাধ করতে না পারে সেজন্য অনেকের বিরুদ্ধে নেয়া হয়েছে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও। দলের বিভিন্ন পর্যায় থেকে শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণাও এসেছে একাধিকবার।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে দুর্নীতি-অনিয়ম পাচ্ছি, সে আমার যত বড় দলের হোক, কর্মী হোক, যেই হোক, নেতা হোক, আমরা কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

হ্যাঁ, তাতে আমাদের বিরোধী যারা, তাদের লেখার সুযোগ হচ্ছে বা বলার সুযোগ হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করছে। কিন্তু এই কথাটা কেউ চিন্তা করছে না যে, আওয়ামী লীগ দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না; সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, অপরাধ যেই করুক তাকেই ধরা হচ্ছে এবং হবে।   অপরাধ করে কোন অপরাধীই পার পাবেনা।  সে যে দলীয় পরিচয়ই দিক এমনকি যদি আওয়ামীলীগও হয়   অন্যায়-অপরাধে জড়িয়ে পড়ে তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের কঠোর অবস্থান থাকবে।

তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধি বা যত বড় শক্তিশালী লোকই হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধীকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।

ক্রাইম ডায়রি//জাতীয়