আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া সংঘাতঃ পাল্টা হামলা আজারবাইজানীদের

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া সংঘাতঃ পাল্টা হামলা আজারবাইজানীদের

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ

ককেশাস অঞ্চল। ইসলামী ইতিহাসসহ বহু ইতিহাস নিয়ে যে অঞ্চল অনেক আলোচিত। সেই এলাকায় সামরিক সংঘাত চলছে। দক্ষিণ ককেশাসের বিরোধপূর্ণ এলাকা নাগোর্নো-কারাবাখকে কেন্দ্র করে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে কয়েক দিন ধরে তীব্র লড়াই চলছে। এই অঞ্চল নিয়ে দুটি দেশের মধ্যে এর আগেও থেকে থেকে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, সামরিক সংঘাতও হয়েছে, কিন্তু সেগুলো সবই ছিল সীমিত পরিসরে।


গত ২৭ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে হঠাৎ করে শুরু হয়ে যাওয়া এই যুদ্ধে বড় বড় কামান, ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।

এদিকে আর্মেনিয়া জানিয়েছে, তাদের আরো ৫১ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটির মোট ২০৭ জন সেনা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।তবে, আজারবাইজানের দাবি, আর্মেনিয়ার আরো বহুগুণ ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছে। কিন্ত তারা সেটা গোপন করছে।

আজারবাইজানের সামরিক খাতে কতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে বাকুর পক্ষ থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি। তবে ৩০ জনের মতো বেসামরিক নাগরিক নিহতের খরব জানায় দেশটি।এদিকে আজারবাইজানি সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আর্মেনিয়ানরা দখলকৃত আজারবাইজানীয় অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছে।নাগার্নো-কারাবাখের খবরেদী শহরের কেন্দ্রস্থলে জড়ো হয়ে আর্মেনিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সংবাদ মাধ্যম আরআইএ নভোস্টি’র বরাতে জানা গেছে, খোজাভেন্দ এবং আগদের শহরগুলো খালি হয়ে গেছে।সাবেক সোভিয়েতভুক্ত এ দুটি দেশ ১৯৯০ সাল থেকেই আঞ্চলিক বিরোধে জড়িয়ে আছে। ২০১৬ সালে এসে তা মারাত্মক রূপ নেয়। এ প্রেক্ষাপটে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস অবিলম্বে এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

মহাসচিবের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, গুতেরেস অবিলম্বে উভয়পক্ষকে এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য জোরালো আহ্বান জানান। বিলম্ব না করে অর্থপূর্ণ আলোচনায় ফেরারও আহ্বান জানিয়েছেন।উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে নাগরনো কারাবাখ নিয়ে রোববার নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। ব্যাপক গোলাগুলির পর পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থায় পৌঁছায়।এ প্রেক্ষাপটে আর্মেনীয় সরকার সামরিক আইন জারি করে নিজ জনগণকে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হতে বলেছে। আর্মেনিয়ার দাবি, প্রথমে আজারবাইজান বাহিনী তাদের বাহিনী লক্ষ্য করে গোলা ছোঁড়ে।

কিন্তু আজারবাইজান বলছে, আর্মেনিয়ার বাহিনীই প্রথমে তাদের সেনা ও বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করে। আন্তর্জাতিক আইনানুসারে নিজেদের রক্ষা করার অধিকার আছে আজারবাইজারেনর। এ অধিকার নিয়ে দেশটি তার অপহৃতভূমি মুক্ত করতে অভিযান চালাতে পারবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

জাতিসংঘের ৫১নং অনুচ্ছেদ অনুসারে আজারবাইজানের আইনগত অধিকার আছে নিজেকে রক্ষা করার এবং নিজের দখল হওয়া ভূমি মুক্ত করতে অভিযান চালাবার। আজারবাইজানের নগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলের উপর আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীর আক্রমণের পর এমন মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্রাইম ডায়রি // আন্তর্জাতিক