গাজার হাসপাতালে শতশত লাশ: ইসরাইলি হামলার নিন্দা বাংলাদেশের
এই নির্মম হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, যা গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

এ হামলার পর থেকে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ তৈরির জোরালো আহ্বান জানানো হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের গাজা নগরীর আল-আহলি আল-আরাবি হাসপাতালে ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলার পর থেকে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ তৈরির জোরালো আহ্বান জানানো হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।
এতে আরও বলা হয়, এই অপরাধে জড়িতদের অবশ্যই জবাবদিহির মুখোমুখি করতে হবে এবং আরও বেশি প্রাণহানি ঠেকাতে এবং নিরপরাধ মানুষের কষ্ট লাঘবে এ বর্বর যুদ্ধ থামাতেই হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, গাজার বেসামরিক মানুষদের লক্ষ্য করে ইসরাইলের চালানো এ যুদ্ধ শুধু অসম ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বরং গাজায় ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে একযোগে শাস্তি প্রদানের সমান এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতি, আন্তর্জাতিক সব চুক্তি ও কনভেনশনের লঙ্ঘন।
চলমান সংঘাতের গোড়ার কারণ খুঁজে বের করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার বলছে, এটা স্পষ্ট যে, মর্যাদাপূর্ণ জীবনে অস্বীকৃতি ও ইসরাইলি দখলের মধ্যে বেঁচে থাকা এবং ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড দখল এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে না। এ কারণে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের কথা বলে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নম্বর প্রস্তাবের আলোকে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী ধরে ১৯৬৭ সালের সীমানার আলোকে দুই রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে। ফিলিস্তিন প্রশ্নে স্থায়ী সমাধান বের করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আসার আহ্বানও বিবৃতিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ক্রাইম ডায়রি/ আন্তর্জাতিক