অনশনরত শিক্ষার্থীঃ পাহারায় ভিসিঃ আর কতক্ষণ??

জাতীর বিবেকরা এই মুহুর্তে ঘুমালে চলবেনা। যদি ভিসির পদে থাকাটা যৌক্তিক মনে হয় তবে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে শান্ত করার দায়িত্ব কেন কেউ নিচ্ছে না। আর যদি শিক্ষার্থীদের দাবী যৌক্তিক হয় তবে ভিসি পদত্যাগ করবেন এটাই সন্মানজনক।

অনশনরত শিক্ষার্থীঃ পাহারায় ভিসিঃ আর কতক্ষণ??
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

সিলেট সংবাদদাতাঃ

সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের সামনে শিক্ষার্থীরা অনশন করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে এটা অমানবিক।  কি জন্য আন্দোলন, কি চায় তারা? সেটা কি দেখার কেউ নেই? যদি সেটা হয় রাজনৈতিক তবে মোকাবেলা করুন। যদি হয় যৌক্তিক তবে দাবী মেনে নিন। যদি হয় অযৌক্তিক বুঝান। কিন্তু সমাধানে আসতে হবে। নচেৎ এ আন্দোলন ইস্যুতে রুপ নিয়ে পুরো দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।

শাবিপ্রবিতে  থেমে থেমে বাজছে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন। হাসপাতালে  নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এক এক করে শিক্ষার্থীদের।  শুক্রবার ভোর পর্যন্ত আট শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের সামনে শিক্ষার্থীরা অনশন করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে এটা অমানবিক।  কি জন্য আন্দোলন, কি চায় তারা? সেটা কি দেখার কেউ নেই? যদি সেটা হয় রাজনৈতিক তবে মোকাবেলা করুন। যদি হয় যৌক্তিক তবে দাবী মেনে নিন। যদি হয় অযৌক্তিক বুঝান। কিন্তু সমাধানে আসতে হবে। নচেৎ এ আন্দোলন ইস্যুতে রুপ নিয়ে পুরো দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিতে পারে

এদিকে পুলিশের পাহারায় নিজ বাসভবনে আছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আর হিম শীতের রাতে বাইরে তার পদত্যাগ দাবিতে অবস্থান করছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীরা অনশনে বসার প্রায় ৩৭ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অনশন ভাঙেননি কোনো শিক্ষার্থী।

এদিকে অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। এর মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আট শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। তাদের অবস্থাও গুরুতর বলে জানিয়েছেন সেসব হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত আট শিক্ষার্থীকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শমতে কিছুক্ষণ পর পর অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ভর্তি করা হয় সেসব হাসপাতালে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অনশনরতদের মধ্যে  অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার মধ্যে আটজন হাসপাতালে এবং চৌদ্দজন শিক্ষার্থীকে আন্দোলনস্থলেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এদিকে ওই শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২নং ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আশরাফুল বলেন, তাদের অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আগে থেকেই এজমা বা এমন শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন, তাদের একটু সমস্যা হচ্ছে। বেশি সময় অতিবাহিত হলে হয়তো তাদের জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল টিমের সদস্য মো. নাজমুল হাসান বলেন, এখানে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এদের অনেক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। তবে এ সংখ্যাটা আরও বাড়তে পাবে বলে আশংকা করছি। তারা ৩০ ঘণ্টার ওপর কেউ কিছু খায়নি। তারা সবাই পানি স্বল্পতায় ভুগছেন।

এদিকে অনশনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবো। এতে যদি আমাদের মৃত্যুও হয় তাহলেও আমরা এ স্থান থেকে সরবো না।

 ক্রাইম ডায়রি / শিক্ষাঙ্গন