জঙ্গীবাদ মূলোৎপাটন করতে পুলিশ-র‌্যাব প্রশংসনীয় কাজ করেছে- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কর্তব্যরত অবস্থায় যেসব পুলিশ সদস্যের প্রাণ গেছে তাদের স্মরণে প্রতি বছর ১ মার্চ ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ আয়োজন করা হয়।

জঙ্গীবাদ মূলোৎপাটন করতে পুলিশ-র‌্যাব প্রশংসনীয় কাজ করেছে- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

সামনে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাচন আসলে দেশের সব রাজনৈতিক দল তৎপর হয়ে তাদের নির্বাচনি প্রচারণা চালায়।

ক্রাইম ডায়রি ডেস্কঃ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল  বলেছেন, বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের মাধ্যমে অকার্যকর প্রমাণ করতেই জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল এবং তাদের মূলোৎপাটন করতে পুলিশ-র‌্যাব প্রশংসনীয় কাজ করেছে ।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে জঙ্গি যেভাবে উত্থান হয়েছিল আমাদের দেশেও এর প্রভাব ছিল। তারা চেয়েছিল সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার। জঙ্গিদের মূলোৎপাটন করে নিঃশেষ করে দিতে পারিনি। আমরা কন্ট্রোলে নিয়ে এসেছি। তারা যেন মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সে ব্যাপারে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৩’ উপলক্ষ্যে বুধবার মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জঙ্গিবাদ নিরসনে পুলিশ ও র‌্যাবের প্রশংসা করেন স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জঙ্গি উত্থান ও তৎপরতা রোধে আমাদের প্রশিক্ষিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিশেষ করে পুলিশ, র‌্যাব যেভাবে কাজ করছে তা প্রশংসনীয়। আর এই ভালো কাজ করেছে বলেই সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা রোধ করা গেছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাচন আসলে দেশের সব রাজনৈতিক দল তৎপর হয়ে তাদের নির্বাচনি প্রচারণা চালায়। সবার মধ্যে উৎসুক দৃষ্টি থাকে, আর এটাই যুগ যুগ ধরে চলছে। এখানে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই।

বইমেলাকে কেন্দ্র করে বোমা হামলার হুমকির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এরকম অনেক হুমকি আসে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব নিয়ে কাজ করে থাকে, হুমকিদাতাদের শনাক্তও করে। আমরা এসব বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

দায়িত্বরত অবস্থায় মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পেতে নানা বিড়ম্বনায় পড়েন- এমন অভিযোগের বিষয়টি সাংবাদিকরা নজরে আনলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সেখানে উপস্থিত পুলিশের আইজি জানান, বিষয়টি তারা দেখছেন।

কর্তব্যরত অবস্থায় যেসব পুলিশ সদস্যের প্রাণ গেছে তাদের স্মরণে প্রতি বছর ১ মার্চ ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ আয়োজন করা হয়। এ বছর পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষ্যে ২০২২ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী ১২১ জন পুলিশ সদস্যের পরিবারকে স্বীকৃতি স্মারক প্রদান করা হয়।

পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৩ এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ১০টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ চত্বরে স্থাপিত পুলিশ মেমোরিয়ালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর পুলিশ সদস্যদের প্রতি সম্মান জানান। 

তিনি বলেন, কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের স্থাপনা ও রাস্তার নামকরণ তাদের নামে করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় একটি সুসজ্জিত পুলিশ দল সশস্ত্র সালাম প্রদান করে। বিউগলে বেজে উঠে করুণ সুর। পরে পুলিশ স্টাফ কলেজ কনভেনশন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে স্বীকৃতি স্মারক প্রদান করা হয়।

কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আইজিপি বলেন, আমরা অতীতেও আপনাদের পাশে ছিলাম, আগামীতেও থাকব। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৫ কোটি টাকা সিড মানি দিয়ে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট স্থাপন করে দিয়েছেন। পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের আয় থেকেও জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

ক্রাইম ডায়রি/জাতীয়