শিকারীর হামলায় আহত বনরক্ষীঃ রাইফেল ভাংচুর করল হামলাকারী

যথোপযুক্ত শাস্তি না পাওয়ায় দিনে দিনে হিংস্র হয়ে উঠেছে শিকারীরা। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে হড়িন শিকার করে এরা। বন ও প্রকৃতিতে বাঁচাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী দেশপ্রেমিক জনতার।

শিকারীর হামলায় আহত বনরক্ষীঃ রাইফেল ভাংচুর করল হামলাকারী
শিকারীর হামলায় আহত বনরক্ষীঃ রাইফেল ভাংচুর করল হামলাকারী

পশু শিকারী ও বৃক্ষ খেকোরা হয়ে উঠেছে বেপরোয়া।  এদের  ঠেকাতে দায়িত্ব পালন করে বনরক্ষীরা। কিন্তু যথোপযুক্ত শাস্তি না পাওয়ায় এরা মাঝেমধ্যেই বনরক্ষীদের উপর চড়াও হয়

বাগেরহাট সংবাদদাতাঃ

বন ও প্রকৃতি  রক্ষা না হলে প্রকৃতিতে নেমে আসবে ভয়াবহ বিপর্যয়। বন ও বনের পশু পাখি মানবজাতির জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ। একটি দেশের সার্বিক প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করে বনের পশুপাখি। অমানুষদের অত্যাচারে দিনে দিনে কমে এসেছে বন ও বনের পশু।

পশু শিকারী ও বৃক্ষ খেকোরা হয়ে উঠেছে বেপরোয়া।  এদের  ঠেকাতে দায়িত্ব পালন করে বনরক্ষীরা। কিন্তু যথোপযুক্ত শাস্তি না পাওয়ায় এরা মাঝেমধ্যেই বনরক্ষীদের উপর চড়াও হয়।

সম্প্রতি, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্চের আওতাধীন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ এলাকায় সুন্দরবনের বনরক্ষীদের ওপর হামলা চালিয়ে ৩ জন বনরক্ষীকে আহত করেছে একদল দূর্বৃত্ত। এ সময় তারা বনরক্ষীর রাইফেল ভাঙচুর ও গুলি ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরা হরিণ শিকার করতে বনে প্রবেশ করেছিল। 

ঘটনাটি ঘটেছে ডিসেম্বর ২৩,২০২১ইং  বৃহস্পতিবার      ভোরে  উপজেলার জিউধরা ফরেস্ট স্টেশনের সন্নিকটে। 

চোরাকারবারী এসব শিকারীদের হামলায় আহত বনরক্ষী মাসুদ রানা (২২), শান্ত শেখ (২৩) ও জাহিদুর রহমানকে পার্শ্ববর্তী মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে বনরক্ষী সুত্রে জানা গেছে। 

স্থানীয় স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের  জানান,  হরিণ শিকার করে মাংস সংরক্ষণ করে রেখেছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর ৫টার দিকে তার নেতৃত্বে বনরক্ষীদের একটি দল অভিযানে নামে। এ সময় তাদের অবস্থান টের পেয়ে জিউধরা ইউনিয়নের দেলোয়ার হাওলাদারের ছেলে হরিণ শিকারি মুন্না (২৭) দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বনরক্ষীরা তাকে ধাওয়া করে। 

এ খবর পেয়ে মুন্নার সহযোগী হরিণ শিকারি চোরাকারবারী একটি দল বনরক্ষীদের ওপর হামলা চালায়।  হামলাকারী চোরাকারবারীরা ৩ বনরক্ষীকে আহত করে তাদের ব্যবহৃত একটি চাইনিজ রাইফেল ভাঙচুর করে এবং ৬ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয়। 

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা এনামুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান। স্থানীয়রা মনে করছেন, এসব হামলাকারীরা দূর্বৃত্ত। ভয়ে এদের ব্যাপারে কেউ মুখ খোলেনা।

ক্রাইম ডায়রি // ক্রাইম