কিংবদন্তির মৃত্যুঃ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী ও বাবা আবু আহমদ আবদুল হাফিজ। মা-বাবা দুইজনই তৎকালীন সিলেট জেলার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৪ ভাইবোনের মধ্যে তার অবস্থান তৃতীয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার ছোট ভাই।
জানাজার আগে গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে সাংবাদিকদের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করেন এ কে আবদুল মোমেন। এসময় তিনি বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে একজন ‘ট্যালেন্ট অভিভাবককে’ হারিয়েছি। মুহিত ভাইয়ের মতো ট্যালেন্টেড লোক আমাদের পরিবারের আর নেই। তিনি খবই মহৎ ছিলেন। আমরা একজন অভিভাবককে হারালাম।
এর আগে সংসদ প্লাজায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দ্বিতীয় জানাজার কর্মসূচি বাতিল করা হয়। গুলশান আজাদ মসজিদের জানাজায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, আবুল মাল আবদুল মুহিতের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা নামাজ শেষ মসজিদের দক্ষিণ ফটকে আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ দেখতে তার বন্ধ, শুভাকাঙ্খীরা ভিড় করেন। বেলা সোয়া ১১টায় সবার দেখা শেষে মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নিয়ে যান তার পরিবারের সদস্যরা।
জানাজার আগে গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে সাংবাদিকদের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করেন এ কে আবদুল মোমেন। এসময় তিনি বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে একজন ‘ট্যালেন্ট অভিভাবককে’ হারিয়েছি। মুহিত ভাইয়ের মতো ট্যালেন্টেড লোক আমাদের পরিবারের আর নেই। তিনি খবই মহৎ ছিলেন। আমরা একজন অভিভাবককে হারালাম।
শুক্রবার রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
বার্ধক্যের নানা জটিলতায় সাবেক অর্থমন্ত্রী বেশ কিছুদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন। মাঝে তাকে কয়েক দফায় হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। আবুল মাল আবদুল মুহিত লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন। করোনার মধ্যে দেড় বছর আগে এই রোগ সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি। বিষয়টি পারিবারিকভাবেই গোপন রাখা হয়। এর মধ্যে করোনায়ও আক্রান্ত হন মুহিত।
আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী ও বাবা আবু আহমদ আবদুল হাফিজ। মা-বাবা দুইজনই তৎকালীন সিলেট জেলার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৪ ভাইবোনের মধ্যে তার অবস্থান তৃতীয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার ছোট ভাই।
সিলেটের পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে সড়কপথে সিলেটের পথে রয়েছে সাবেক এই অর্থমন্ত্রীর লাশ। দাফনকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরীর রায়নগর এলাকায় ডিপ্টি বাড়ি হিসেবে পরিচিত মুহিতের পৈতৃক নিবাস লাগোয়া পারিবারিক কবরস্থানে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ।
শনিবার দুপুর থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের একদল পরিচ্ছন্ন কর্মী পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন। কবরের স্থানও নির্ধারণ করা হয়েছে। মা সৈয়দা শাহারা বানু চৌধুরী ও বাবা আবদুল হাফিজের কবরের পাশে দাফন করা হবে তাকে। সেই জায়গাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।সিটি করপোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ জানান, মুহিত স্যারকে পারিবারিক কবরস্থানেই দাফন করা হবে। ইতোমধ্যে পুরো কবরস্থান পরিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যেখানে তার কবর খোঁড়া হবে সেই স্থানটিও পরিষ্কার করা হয়েছে। মা-বাবার কবরের পাশেই হবে কবর।
জানা গেছে, রবিবার (১ মে) দুপুর ১২টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার লাশ নেওয়া হবে। রবিবার দুপুর ২টার দিকে দরগাহ মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে জানাজার নামাজের জন্য আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেওয়া হবে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের লাশ।
ক্রাইম ডায়রি//রাজনীতি