দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী হচ্ছে-চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভায়

এ আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ৯ এপ্রিল। মন্ত্রিসভায় এটিকে স্থায়ীভাবে গ্রহণ করার ফলে নতুন করে মেয়াদ বাড়াতে হবে না।  উল্লেখ্য যে, বিএনপি সরকারের আমলে ২০০২ সালে আইনটি করা হয়েছিল।

দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী হচ্ছে-চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভায়
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনকালে সরকার বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তির আর্থিক ক্ষতিসাধন করলে সেজন্য আদালত তা বিবেচনা করে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে ওই দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আদেশ দিতে পারবেন এবং এই ক্ষতিপূরণের অর্থ সরকারি দাবি হিসাবে আদায়যোগ্য হবে।

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ

দ্রুত বিচার আইন সংশোধনের প্রয়োজনীতার কথা অনেক দিন থেকেই আলোচনা হচ্ছিল। এবার  আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) সংশোধন আইন-২০২৪-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভায়। এর ফলে আইনটি স্থায়ী রূপ পাচ্ছে বলে জানা গেছে।   এর আগে দুই বছর পরপর আইনটির কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়ানো হতো। জানুয়ারী ২৯, ২০২৪ ইং সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, বিএনপি সরকারের আমলে ২০০২ সালে আইনটি করা হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, এ আইনের ফলে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হলে এ আইনের প্রয়োজন রয়েছে। তাই আইনটি স্থায়ীভাবে অনুমোদন হয়েছে। তিনি বলেন, এ আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ৯ এপ্রিল। মন্ত্রিসভায় এটিকে স্থায়ীভাবে গ্রহণ করার ফলে নতুন করে মেয়াদ বাড়াতে হবে না। 

এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আগে যা ছিল, সেই আইনটিই থাকবে। শুধু মেয়াদ বাড়াতে হবে না। একেবারে স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত হলো। জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন-২০০২ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কোনো অপরাধ করলে তিনি অন্তত দুই বছর এবং সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই সঙ্গে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে এ আইনে। দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনকালে সরকার বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তির আর্থিক ক্ষতিসাধন করলে সেজন্য আদালত তা বিবেচনা করে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে ওই দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আদেশ দিতে পারবেন এবং এই ক্ষতিপূরণের অর্থ সরকারি দাবি হিসাবে আদায়যোগ্য হবে।

সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি জেলায় এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় এক বা একাধিক দ্রুত বিচার আদালত গঠন করতে পারবে। সরকার বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে এই আদালতের বিচারক নিযুক্ত করবে। বিচার পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, আদালত এ আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে সম্পন্ন করবেন। ফৌজদারি কার্যবিধির অধ্যায় ২২ এ বর্ণিত পদ্ধতি, যতদূর প্রযোজ্য হয়, তা অনুসরণ করবেন। তৎকালীন বিএনপির সরকারের সময় যখন  আইনটি প্রণীত হয় তখন সংসদে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ এর  বিরোধিতা স্বত্বেও বিএনপি সরকার এই আইনটি বহাল রেখেছিল।

ক্রাইম ডায়রি/ জাতীয়