উজার হচ্ছে বন,ডাকাতি করা হচ্ছে গাজীপুরের বনাঞ্চলঃ রাজধানীর ফুসফুস এ বনাঞ্চলকে বাঁচানোর দাবী

Forest is being usurped, Gazipur forest is being looted: Demand to save the forest in the lungs of the capital

উজার হচ্ছে বন,ডাকাতি করা হচ্ছে গাজীপুরের বনাঞ্চলঃ রাজধানীর ফুসফুস এ বনাঞ্চলকে বাঁচানোর দাবী

উজার হচ্ছে বণ। দিনের পর দিন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চল। রাজধানী তথা বলা যায় বাংলাদেশের ফুসফুস গাজীপুরের বিস্তির্ন বনাঞ্চল। বনখেকোরা এর পিছনে লেগে আছে দীর্ঘদিন। ইদানিংকালে বনকেটে বনের ভিতর গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন  ঔষধ প্রতিষ্ঠানের ফ্যাক্টরী হওয়ায় বনখেকোরা যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে বন উজার করতে। প্রতিনিয়ত জ্ঞাতে অজ্ঞাতে সবার চোখের সামনেই বন কাটা হচ্ছে। পাঁচার হয়ে যাচ্ছে সরকারী গাছ।  বনকে হত্যা করে আর সেই বনের কাঠ বিক্রি করেই চলছে ক্ষমতার দাপট। সরেজমিন সবার চোখেই দৃশ্যমাণ । কেউ জানিনা বলে দায় এড়াতে পারেনা। মহাসড়কের পাশে গাজীপুরের লম্বা বিস্তির্ন বনাঞ্চল প্রতিনিয়তই চোখে পড়ে আগের দিন যেখানে গাছ ছিল সাতদিন পর সেখানে গাছ নেই। আর যদিও বা থাকে তরতাজা গাছ গুলো কেন জানি মরে যায় । এরপরের সপ্তাহে গেলে চোখে পড়ে দোকান পাট মার্কেট। সম্প্রতি, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের হরিণঙ্গাচালা এলাকায় প্রতি রাতেই দুর্বৃত্তরা কেটে পাচার করছে বনের সরকারি শাল-গজারী গাছ বলে অভিযোগ করছিল প্রকৃতিপ্রেমিক স্থানীয় জনগন। পরে টিম ক্রাইম ডায়রি ও স্থানীয় অন্যান্য গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা খুজে পান। কিন্তু কেন যেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কোন প্রশাসনেরই বিষয়টা নজরে পড়েনা।  কালিয়াকৈর রেঞ্জের সোনাতলা বিট অফিসের কর্মকর্তাদের নীরবতায় এভাবে সরকারি বন উজাড় হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

গাজীপুর সংবাদদাতাঃ

উজার হচ্ছে বণ। দিনের পর দিন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চল। রাজধানী তথা বলা যায় বাংলাদেশের ফুসফুস গাজীপুরের বিস্তির্ন বনাঞ্চল। বনখেকোরা এর পিছনে লেগে আছে দীর্ঘদিন। ইদানিংকালে বনকেটে বনের ভিতর গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন  ঔষধ প্রতিষ্ঠানের ফ্যাক্টরী হওয়ায় বনখেকোরা যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে বন উজার করতে। প্রতিনিয়ত জ্ঞাতে অজ্ঞাতে সবার চোখের সামনেই বন কাটা হচ্ছে। পাঁচার হয়ে যাচ্ছে সরকারী গাছ।  বনকে হত্যা করে আর সেই বনের কাঠ বিক্রি করেই চলছে ক্ষমতার দাপট। সরেজমিন সবার চোখেই দৃশ্যমাণ । কেউ জানিনা বলে দায় এড়াতে পারেনা। মহাসড়কের পাশে গাজীপুরের লম্বা বিস্তির্ন বনাঞ্চল প্রতিনিয়তই চোখে পড়ে আগের দিন যেখানে গাছ ছিল সাতদিন পর সেখানে গাছ নেই। আর যদিও বা থাকে তরতাজা গাছ গুলো কেন জানি মরে যায় । এরপরের সপ্তাহে গেলে চোখে পড়ে দোকান পাট মার্কেট। সম্প্রতি, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের হরিণঙ্গাচালা এলাকায় প্রতি রাতেই দুর্বৃত্তরা কেটে পাচার করছে বনের সরকারি শাল-গজারী গাছ বলে অভিযোগ করছিল প্রকৃতিপ্রেমিক স্থানীয় জনগন। পরে টিম ক্রাইম ডায়রি ও স্থানীয় অন্যান্য গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা খুজে পান। কিন্তু কেন যেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কোন প্রশাসনেরই বিষয়টা নজরে পড়েনা।  কালিয়াকৈর রেঞ্জের সোনাতলা বিট অফিসের কর্মকর্তাদের নীরবতায় এভাবে সরকারি বন উজাড় হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজসে রাতের আঁধারে গভীর বন থেকে প্রতিদিনই ৩-৪টি করে শাল-গজারী গাছ কেটে নিয়ে এক জায়গায় স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে বোয়ালী ও ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের সরকারি বনে গাছ চোরেরা শত শত শাঠকাঠ কেটে নিয়ে পরেশ ও মৌল্লিক মিয়ার রেকর্ডিয় জমিতে গড়ে ওঠা বনের ভিতর এসব চোরাই গাছ স্তুপ করে রাখা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী ইমাম আলী ও হোসেন আলী দীর্ঘদিন ধরে কাঠ চোরদের কাছ থেকে বনের চুরি করা কাঠ কিনে এলাকা ও উত্তরার বিভিন্ন নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকদের কাছে বিক্রি করে আসছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় তিন শতাধিক শাল-গজারী গাছ কেটে নিয়ে ওই জমিতে রাখা হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যেই ওই কাটা গাছ ট্রাকে করে এলাকার কয়েকজন বাড়ি নির্মাতা ও উত্তরার কয়েকজন বাড়িওয়ালার কাছে পৌঁছে দিবেন বলে এলাকাবাসী জানান।

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, দুইটি ইউনিয়নের হাজার হাজার একর বনের জমিতে মূল্যবান শাল গজারি গাছ রয়েছে।এসব গাছ প্রতিরাতেই বনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে চুরি করে ট্রাকে ভরে নিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা। সাধারন মানুষ ভয়ে কোনসময়ই মুখ খুলতে চায়না। টিম ক্রাইম ডায়রি বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করলে এলাকার প্রকৃতিপ্রেমিক শিক্ষিতও লোকজন পর্যন্ত মুখ খুলতে অপারগতা জানিয়েছেন। তাদের কথা একটাই বনবিভাগের চোখে পড়ছে না একথা বলে তারা দায় এড়াতে পারেনা। স্থানীয় লোকজন প্রয়োজনে এলিট ফোর্স RAB কে দায়িত্ব দিয়ে হলেও বনরক্ষার দাবী জানান।

এব্যাপারে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় গাছ চোরের উপদ্রব দিন দিন বেড়েই চলছে।একসঙ্গে অনেকগুলো গাছ কয়েকটি স্থানে স্তুপ করে রাখা আছে। বিষয়টি এলাকাবাসী একাধিকবার ফোনে বিট কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদকে জানিয়েছে।তারপরও তিনি ঘটনাস্থলে আসেনি বা এ ব্যাপারে কোন ব্যাবস্থা নেননি। এ ব্যাপারে স্তুপ করে রাখা শাল গজারী গাছের দাবিদার ইমাম হোসেন বলেন, আমি ওই শাল কাঠ ব্যক্তি মালিকের কাছ থেকে ক্রয় করেছি। সরকারি বনের কোন কাঠ ক্রয় করিনি। তবে এলাকার অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি দিনের বেলায় সরকারি শাল গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বনের কোন কর্মকর্তা কথা বলেন না। কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, ওই এলাকায় রাখা গাছগুলো আটক রাখা হয়েছে। বিট কর্মকর্তা ছুটি শেষে অফিসে এসে তদন্ত করে দেখবেন গাছগুলো কোথা থেকে এসেছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

ক্রাইম ডায়রি//জাতীয়