রিয়েল এষ্টেটের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগঃ সি আইডির হাতে আটক ৯
Allegations of embezzling crores of rupees in the name of real estate: 9 arrested by EC ID
প্রতারনার এক অন্যরকম ফাঁদ হলো রিয়েল এষ্টেট ব্যবসার অভিনয়। প্রকৃত রিয়েল এষ্টেট ব্যবসায়ীরা এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। দেশের অর্থনীতির একটি বড় খাত হলো রিয়েল এষ্টেট ব্যবসা। কিন্তু এই ব্যবসার মধ্যে দুর্নীতিবাজরা ঢুকে পড়ায় এই ব্যবসায় ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছে।
ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হল : আল আমিন, মামুন, মঞ্জুর রহমান মোহন, মোজাম্মেল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল হালিম, জাহাঙ্গীর আলম, শাহাদত হোসেন সুমন ও আমিনুল ইসলাম। রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির (ডিএমপি) অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আবাসিক এলাকায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নামে বিভিন্ন লোভনীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল একটি চক্র। তারা গ্রাহকদের অধিক মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। এসব অভিযোগে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন এক ভুক্তভোগী। চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে সিআইডির কর্মকর্তারা জানতে পারেন, প্রতারকরা ঠিকানা পরিবর্তন করে বিভিন্ন স্থানে নতুন অফিস খুলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে একই কায়দায় প্রতারণা করত। অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, এই চক্রটি এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। চক্রের মূল টার্গেট ছিল সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা। অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের অনেকে এই চক্রের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন। অভিযানের কথা বুঝতে পেরে চক্রের দুই হোতা পালিয়ে গেছে। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি সিআইডি।
সিআইডির অভিযানে চক্রটির অফিস থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ নথি জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-ফ্ল্যাট বুকিং আবেদন ফরম ৫০টি, এসএস আবাসনের লেনদেন সংক্রান্ত রেজিস্টার সাতটি, এসএস আবাসনের চুক্তিপত্র, ১০০ টাকা দামের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ৩৬টি, আবেদন ফরম ৩৫টি, গ্রাহকদের সঙ্গে লেনদেন সংক্রান্ত খাতা ১৭টি, ডেবিট ভাউচার দুটি, মানি রিসিপ্ট ছয়টি, কমিশন সিটের ছয়টি পাতা ও বিপুল পরিমাণ ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
ক্রাইম ডায়রি//আইন শৃঙ্খলা//