ধর্ষণের নতুন আইন কার্যকরঃ যা বলা হয়েছে এই আইনে

The new law on rape is effective as stated in this law

ধর্ষণের নতুন আইন কার্যকরঃ যা বলা হয়েছে এই আইনে

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ 

"নারী আমার মা

নারী আমার বোন,

নারীরাই এই সমাজের 

প্রদীপ চিরন্তন।।। "

নারী ও শিশু নির্যাতন সমাজের জন্য একটি অভিশাপ। সমাজে অবলা নারী ও শিশুরা নির্যাতনের  শিকার অনেক আগ হতেই। যা সবশেষে ধর্ষণে রুপ নিয়েছে।। ধর্ষণের এই ব্যাধি দমেন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। এর ফলে সংশোধিত আইনটি এখন থেকেই কার্যকর হিসেবে জারি হলো।

ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভের পর সোমবার ১১ই অক্টোবর, ২০২০ইং ঐতিহাসিক এই আইনের সংশোধনীটি মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। নতুন এই অধ্যাদেশে যা বলা হয়েছেঃ----২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণ, ধর্ষণ জনিত কারণে মৃত্যু শাস্তি ইত্যাদি প্রসঙ্গে ৯ (১) ধারায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি এতদিন ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

তবে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা দল বেধে ধর্ষণের ঘটনায় নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা আহত হলে, সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সেই সাথে উভয় ক্ষেত্রেই ন্যূনতম এক লাখ টাকা করে অর্থ দণ্ডের বিধানও রয়েছে।

সেই আইনেই পরিবর্তন এনে ধর্ষণ প্রমাণিত হলেই মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে। সেই সাথে অর্থদণ্ডের বিধানও থাকছে।

প্রথম ২০০০ সালে জারি করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩৪টি ধারার মধ্যে ১২টি ধারাতেই বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিধান ছিল।

তবে পরবর্তীতে অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ ও মানব পাচার সংক্রান্ত দুটি আইনের অংশ আলাদা হয়ে যাওয়ার পর এই আইন থেকে বাদ দেয়া হয়।

ফলে এই আইনের সাতটি ধারায় মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি বহাল থাকে।

নতুন অধ্যাদেশে ৯ (১) ধারাটি সংশোধন করে যাবজ্জীবন অথবা মৃত্যুদণ্ডের বিধান আনা হয়েছে।

এর আগে এই ধারায় বলা হয়েছিল যে, যদি কোনো পুরুষ নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, এখন আইন সংশোধন করে 'যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের' বদলে ' মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড' শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেছেন, ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড করায় এই অপরাধ কমে আসবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

সংসদ চলমান না থাকায় সংশোধিত আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

বিবিসি সুত্রে জানা যায় , সৌদি আরব, মিসর, ইরাক, বাহরাইন ও উত্তর কোরিয়ার মতো বেশ কয়েকটি দেশে ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই আইনের ফলে ধর্ষন প্রবণতা শুন্যের কোঠায় চলে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী। 

ক্রাইম  ডায়রি //সুত্রঃঅনলাইন মিডিয়া// জাতীয়