পুরান ঢাকায় বিস্ফোরন: নিহত ১৮, সিরিজ বিস্ফোরন ও আগুন “সামথিং রং”

গুলিস্তানে ভবনে বিস্ফোরণ, সাইন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরন, চট্টগ্রামে বিস্ফোরন এছাড়া আরও তো আছেই। কিন্তু হঠাৎ করেই কাছাকাছি সময়ে এত বিস্ফোরন কেন ও কিভাবে? সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়।

পুরান ঢাকায় বিস্ফোরন: নিহত ১৮,  সিরিজ বিস্ফোরন ও আগুন “সামথিং রং”
ছবি-ক্রাইম ডায়রি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়।

ক্রাইম ডায়রি ডেস্ক:

গুলিস্তানে ভবনে বিস্ফোরণ, সাইন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরন, চট্টগ্রামে বিস্ফোরন এছাড়া আরও তো আছেই। কিন্তু হঠাৎ করেই কাছাকাছি সময়ে এত বিস্ফোরন কেন ও কিভাবে? সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়। ইতোমধ্যে রাজধানীর পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জন হয়েছে। এ ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছেন।নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

মঙ্গলবার বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের পাশে সাততলা ওই ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, ভবনের নিচতলায় স্যানিটারির দোকান ছিল। নিচতলায় বিস্ফোরণ ঘটে ওপরের কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে এখনো উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।

আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে কারও হাত নেই, কারও এক পা নেই। কারও আবার দুই পা নেই। অনেকে শরীরের নানা জায়গায় আঘাত পেয়েছেন। কারও হাতের কব্জি পর্যন্ত কাটা পড়েছে। তাদের চিকিৎসা দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা । তারা বলছেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, আহতদের অনেকের হাত নেই, কারও পা নেই। কারও শরীর থেঁতলে গেছে। বেঁচে থাকার স্বার্থে অনেকের অঙ্গহানি হতে পারে। 

আহত এমন অনেকে রয়েছেন যাদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যাচ্ছে না। কারণ তাদের শরীরের অধিকাংশ অংশই ব্যান্ডেজ করা। কারও শুধু নাক দেখা যাচ্ছে কারও শুধু দু’চোখ। অনেক স্বজনরা এসে তাদের রোগীকে চিহ্নিত করতে পারছেন না।
 
চিকিৎসকরা বলছেন, এ ধরনের রোগীকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে এমন ব্যান্ডেজ করতে হয়েছে। রোগীদের এতটাই মারাত্মক অবস্থা যে তাদের নাম ঠিকানা লেখারও সুযোগ হয়নি। এমন ১৮-২০ জন রোগী রয়েছেন তাদের নাম-পরিচয় লেখা সম্ভব হয়নি। যে কারণে তাদের স্বজনরাও এসে চিহ্নিত করতে পারছেন না। তাদের শরীরে এত ক্ষত যে শরীর ব্যান্ডেজে ঢেকে থাকায় চেনার কোনো উপায় নেই।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। গত কয়েকদিন ধরে আগুন ও বিফোরণের ঘটনা বেড়ে গেছে। গত রোববার ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হন। 

তার আগে গত শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে বিস্ফোরণ ও আগুন লেগে সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হন অনেকে। এছাড়া ছোট খাট প্রাণহানিকর আগুন ও বিস্ফোরন তো আছেই। দ্রুত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার জন্য সরকারকে এই মুহুর্তেই নড়েচড়ে বসতে হবে বলে মনে করছেন সাধারন জনগন।

ক্রাইম ডায়রি/ জাতীয়