সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভ্যাকসিন ক্রয়ে নজর রাখবেন বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Bangakanya and Prime Minister Sheikh Hasina will keep an eye on the purchase of vaccines with utmost importance

সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভ্যাকসিন ক্রয়ে নজর রাখবেন বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ

 সময়মতো ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান।  পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, করোনা ভ্যাকসিন ক্রয়ে যাতে অপ্রীতিকর কিছু  না হয় সেদিকে বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ আমরা সবাই দৃষ্টি রাখবো। মহামারী করোনার ভ্যাকসিন পাওয়াকেই সর্বোচ্চ  অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। আমরা সকলেই আশাবাদী চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন হাতে  পাওয়া যাবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও সতর্কতার পাশাপাশি  শতভাগ প্রস্ততি ও গ্রহণ করা হয়েছে

মহামারী করোনা নিয়ে মানুষের আতংক ও রক্ষা পেতে এর মহামূল্যবান ভ্যাকসিন নিয়ে জল্পনা ও কল্পনার শেষ নেই। তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করোনার ভ্যাকসিন কিনতে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। যা ক্রয়ে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা এবং  পরিবহন ও সংরক্ষণসহ আনুষাঙ্গিক ব্যয় মিলে মোট যাবে ৫ হাজার ৬৫৯ কোটি ৭ লাখ টাকা। 

এছাড়া ‘চলমান কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডামিক প্রিপার্ডনেস’ শীর্ষক প্রকল্পটির ব্যয় বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ১ হাজার ১২৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ঋণ সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) দিচ্ছে প্রায় ৬ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। 

জানুয়ারি ৫, ২০২১ইং মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ। 

এদিকে সময়মতো ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান।  পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, করোনা ভ্যাকসিন ক্রয়ে যাতে অপ্রীতিকর কিছু  না হয় সেদিকে বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ আমরা সবাই দৃষ্টি রাখবো। মহামারী করোনার ভ্যাকসিন পাওয়াকেই সর্বোচ্চ  অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। আমরা সকলেই আশাবাদী চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন হাতে  পাওয়া যাবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও সতর্কতার পাশাপাশি  শতভাগ প্রস্ততি ও গ্রহণ করা হয়েছে। 

একনেকের বৈঠক শেষে  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য সচিব জানান, করোনার ভ্যাকসিন কেনার জন্য  জ্ যেভাবেই চুক্তি হোক পুরো বিষয়টি দুই দেশের (বাংলাদেশ ও ভারত) সরকারপ্রধান অবহিত রয়েছেন এবং বিষয়টি তাদের কড়া নজরদারিতে। সুতরাং এটাকে কেন্দ্র করে জটিলতার কোন শংকা নেই। আশা করছি, সময়মতোই দেশে ভ্যাকসিন আসবে এবং জনগনের কল্যানে ভূমিকা রাখবে ।

ক্রাইম ডায়রি // জাতীয়