গ্রামীণ টেলিকমের দুর্নীতিঃ প্রয়োজনে ড. ইউনূসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় দুদক

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে কার্যকরী ও নিরপেক্ষ সংগঠন দুদক। সময়ের ধারাবাহিকতায় দুদকের কার্যক্রম সোনার বাংলা গড়ার মানসে পরিচালিত হচ্ছে।

গ্রামীণ টেলিকমের দুর্নীতিঃ প্রয়োজনে ড. ইউনূসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় দুদক
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

গ্রামীণ টেলিকমের দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কে জড়িত বা কে জড়িত না এ বিষয়টি আমাদের কাছে মুখ্য নয়। আমরা বস্তুনিষ্ঠভাবেই অভিযোগগুলো বিবেচনা করার চেষ্টা করছি।

অনলাইন ডেস্কঃ

বড় বড় রাঘব বোয়াল কিংবা পুটি মাছ নয় বরং উচ্চতর তদন্তে সঠিকতার প্রমাণ পেলেই দুদক কোন বিষয়ে মিডিয়া কিংবা একশনে আসে।  শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমের দুর্নীতির অনুসন্ধান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অভিযোগসংশ্লিষ্ট অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান কর্মকর্তারা। এবার কমিশনে অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমার আগেই গ্রামীণের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় অনুসন্ধান দল। রোববার দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান দুটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি বলেছেন, অনুসন্ধান চলাকালে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ করা হলে তিনি না এলেও অনুসন্ধান কাজ বিঘ্নিত হয় না। অনেককে অনেক সময় পাওয়া যায় না। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন আছে কিনা তা অনুসন্ধান কর্মকর্তার ওপর নির্ভর করবে।  যদি তিনি প্রয়োজন মনে করেন তবে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তবে এক্ষেত্রে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি হলে তিনি আমাদের কাছে পরামর্শ চাইতে পারেন। 

দুদক কমিশনার আরও বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কে জড়িত বা কে জড়িত না এ বিষয়টি আমাদের কাছে মুখ্য নয়। আমরা বস্তুনিষ্ঠভাবেই অভিযোগগুলো বিবেচনা করার চেষ্টা করছি। দ্রুতই অনুসন্ধান কাজ শেষ হবে। 

অনুসন্ধান শেষে যে রিপোর্ট আমরা পাব সেটা কমিশনে পর্যালোচনা করা হবে। পর্যালোচনায় যদি আমাদের কাছে মনে হয় এ নিয়ে আরও অগ্রসর হওয়া দরকার তাহলে সেটা তদন্তের জন্য বিবেচনা করব। সেটা অবশ্যই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত হবে। আর যদি মনে হয় অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না তাহলে এটা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারে। এর পরিণতি কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা এখনই বলতে পারব না।

জানা গেছে, গ্রামীণ টেলিকমে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ বিতরণ না করে আত্মসাৎ এবং প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হয়। 

ক্রাইম ডায়রি/ ক্রাইম/সুত্র: অনলাইন গণমাধ্যমসমুহ