অনিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদফতর মাঠে নেমেছে

অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত কোনো চিকিৎসক কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদফতর  মাঠে নেমেছে

যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি বা যারা আবেদন করেও নিবন্ধন পায়নি, তারা হাসপাতাল ও ক্লিনিক খোলা রাখতে পারবে না।

তানভির আহম্মেদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

 
সারাদেশে রয়েছে অগনিত অনিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক। ম্যানেজ করে এতদিন চালাতে পারলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  এখন কঠোর অবস্থানে। বঙ্গকন্যা ও শেখহাসিনা দূর্নীতি বিরোধি নীতির ছোয়া সরকারের সব সেক্টরে।
কোন অন্যায়ে কোন ছাড় নয় নীতিতে এগিয়ে চলেছে গুরুত্বপুর্ন সব সেক্টর। অনিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদফতর আজ আগষ্ট ২৯,২০২২ইং সোমবার থেকে মাঠে নামছে।স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা: আহমেদুল কবির এ ঘোষণা দেন। 
অধ্যাপক আহমেদুল কবির গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, গত তিন মাসে অনিবন্ধিত যেসব হাসপাতাল নিবন্ধন পায়নি তাদের কার্যক্রমও চলতে দেয়া হবে না। এ ছাড়া অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত কোনো চিকিৎসক কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডা: আহমেদুল কবির বলেন, আমরা তিন মাস সময় দিয়েছি। এর মধ্যে যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি বা যারা আবেদন করেও নিবন্ধন পায়নি, তারা হাসপাতাল ও ক্লিনিক খোলা রাখতে পারবে না। সময় দেয়ার পরও কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স করছে না।
বারবার সতর্ক করার পরও কিছু প্রতিষ্ঠান এখনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশোধন না করায় তাদের আবেদন অমিমাংসিত আছে। আহমেদুল কবির বলেন, পরবর্তীকালে অভিযান হবে যারা নিবন্ধিত হয়েছে তাদের কার্যক্রমের মান কেমন তা নিয়ে। এরপর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে।
তা স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে দেয়া হবে, যাতে মানুষ জানতে পারে কোন হাসপাতাল কোন মানের। আগের অভিযানে এক হাজার ৬৪১টি হাসপাতাল বন্ধ করা হয়েছিল এবং ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এই তিন মাসে নতুন নিবন্ধিত হয়েছে এক হাজার ৪৮৯টি এবং নবায়ন হয়েছে দুই হাজার ৯৩০টি। নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষমাণ আছে এক হাজার ৯৪৬টি। লাইসেন্স নবায়নের অপেক্ষায় আছে দুই হাজার ৮৮৭টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক।
ক্রাইম ডায়রি// আইন