হাসপাতালের ঔষধ, ইসিজি ও প্রিন্টার নিয়ে পালানোর চেষ্টাঃ জনতার হাতে স্টোরকিপার ধরা

স্টোর কিপারের দায়িত্ব পেয়ে কিবরিয়া একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। ঘটনার দিন সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দেনদরবার করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়েন তিনি।

হাসপাতালের ঔষধ, ইসিজি ও প্রিন্টার নিয়ে পালানোর চেষ্টাঃ জনতার হাতে স্টোরকিপার ধরা
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

অভিযোগ উঠছে যারা আটক করেছে তারাই জিনিসপত্র রেখে অভিযুক্ত স্টোর কিপারকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে এবং ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

অনলাইন ডেস্কঃ

বন্যাকবলিত সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার একটি হাসপাতালের স্টোরকিপার ( অতিরিক্ত দায়িত্ব) গোলাম কিবরিয়া হাসপাতালের প্রায় দুই লাখ টাকা মূল্যের ইসিজি মেশিন ও কম্পিউটার প্রিন্টার মেশিন ও ঔষধপত্রসহ   পালানোর চেষ্টা করার সময় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে।

অভিযোগ উঠছে যারা আটক করেছে তারাই জিনিসপত্র রেখে অভিযুক্ত স্টোর কিপারকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে এবং ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

জুলাই ৬,২০২২ইং  বুধবার সকালে হাসপাতালে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইয়াসিন আরাফাত প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য শোনেন। এসময় চাক্ষুস সাক্ষী ও খবর প্রদানকারী হাসপাতালে কর্তব্যরত ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ আবু সুফিয়ানের বক্তব্য নেন। এরপর এ ঘটনায় ডা. মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্যকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়াকে স্টোর কিপারের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ,  জনবল না থাকায় দুই বছর পূর্বে স্টোরকিপারের একটি অংশের দায়িত্ব দেয়া হয় টিএলসিএ গোলাম কিবরিয়াকে। স্টোর কিপারের দায়িত্ব পেয়ে কিবরিয়া একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। ঘটনার দিন সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দেনদরবার করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা খেয়েও জিনিসপত্র রেখে কৌশলে বাড়ি চলে যান অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া। প্রত্যক্ষদর্শী আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, গোলাম কিবরিয়া ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছিলেন। তখন বদরুল নামের একজন লোক তাকে আটক করে আমাকে খবর দেয়। তার কাছে ইসিজি মেশিন ও প্রিন্টার এবং কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। লোকজন জড়ো হাওয়ায় জিনিসপত্র রেখে তাকে চলে যেতে দেওয়া হয়। বিষয়টি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবগত করি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইয়াসিন আরাফাত বলছেন, গোলাম কিবরিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সে সরকারি স্টাফ নয়, তবে হাসপাতালের টিবি লেপ্রসি কন্ট্রোল প্রজেক্টের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। লোকবল না থাকায় তাকে স্টোরকিপারের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনজনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ  হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

ক্রাইম ডায়রি/ক্রাইম