ডিআইজি হলেন সাদা মনের মানুষ মোজাম্মেল হক

ইনি সেই ব্যক্তিত্ব যার নিকট ধনী-দরিদ্র,পরিচিত-অপরিচিত, আত্মীয়-অনাত্নীয় কোন ভেদাভেদ নেই। সবাই যেন তার পরম আত্নীয়। তার নিকটে গিয়ে সহযোগিতা পাননি এবং তিনি কারো সাথে কথা বলেননি এরকম কথা বলতে পারে এমন মানুষ বিরল। মানুষের এই মহাত্নীয় প্রমোশন পেয়ে ডিআইজি হয়েছেন এজন্য গণমানুষ আনন্দিত হয়েছে এটাও তার জীবনের পরম প্রাপ্তি।

ডিআইজি হলেন সাদা মনের মানুষ  মোজাম্মেল হক
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

তার মতো মানবিক মানুষ পুলিশ বাহিনীর শুধু নয় সমগ্র দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ও দূর্নীতি মুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মানে খুব বেশি প্রয়োজন

ক্রাইম ডায়রি ডেস্কঃ

চলনবিলের সাথে যার প্রাণের দোস্তি তার মনটাও সেই চলন বিলের মতোই অনেক বিশাল। হ্যা, সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত ডিআইজি সেই মোজাম্মেল হকের কথা বলছি উত্তরবঙ্গের প্রতিটি মানুষের মুখে যার গল্প প্রতিনিয়ত। আজও বগুড়া বাসী যে কোন সমস্যায়-সম্ভবনায় তার দিক নির্দেশনার জন্য একবার হলেও স্মরন করে।

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের শীর্ষ জঙ্গি নেতাসহ মোট ৩৩ জন দুর্ধর্ষ জঙ্গি গ্রেফতার করে বাংলাদেশে পুলিশ সর্বোচ্চ পদক বিপিএম (সাহসিকতা ) পেয়েছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ও RAB-13 এবং বর্তমানে RAB 4 এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাবনার চাটমোহরের কৃতি সন্তান মো. মোজাম্মেল হক।

 বিপিএম সেবা ও পিপিএম সেবা পদক  ছাড়াও তিনি দেশের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে সরকার প্রবর্তিত ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ড পদক লাভ করেন। ২০১৪ সালে RAB-13 ব্যাটালিয়ন গঠনের পর এবার সামগ্রিকভাবে ১৪টি ব্যাটালিয়নের মধ্যে RAB 13 তৃতীয় হয়েছে।

RAB-13 অধীনস্থ দুটি বিভাগের জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, রংপুরের ও রাজশাহী বিভাগের জেএমবির সমন্বয়ক আব্দুর রহমান ও সামরিক কমান্ডার রাহাত এবং ওই এলাকার আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের আমির লাল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয় তার নেতৃত্বে।

মোজাম্মেল হকের কথা বলছি উত্তরবঙ্গের প্রতিটি মানুষের মুখে যার গল্প প্রতিনিয়ত। আজও বগুড়া বাসী যে কোন সমস্যায়-সম্ভবনায় তার দিক নির্দেশনার জন্য একবার হলেও স্মরন করে

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর মোজাম্মেল হক পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি লাভ করে জয়পুরহাট জেলায় যোগদান করেন। এরপর ২০১২ সালের ২৭ জানুয়ারি তিনি বগুড়ার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

তিনি ২০১৫ সালের ৩ জুন তারিখে নওগাঁয় পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর গণমুখী পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলার মাদক,সন্ত্রাস নাশকতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

তার স্ত্রী সুলতানা হক কণা একজন মহীয়সী নারী। তিনি মেধাবী দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক।

ক্রাইম ডায়রির সম্পাদক ও প্রকাশক এবং জাতীয় সাংবাদিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেল এ অসামান্য অর্জনে মোজাম্মেল হককে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, গণ মানুষের দোয়ায় ও তার পূণ্য কর্মের বরকতে মহান আল্লাহতালার অ‌শেষ কৃপায় তিনি ডিআই‌জি প‌দে পদোন্ন‌তি পেয়েছেন।

তার মতো মানবিক মানুষ পুলিশ বাহিনীর শুধু নয় সমগ্র দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ও দূর্নীতি মুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মানে খুব বেশি প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

ক্রাইম ডায়রি ///  স্পেশাল