নিজস্ব সঞ্চয় বাড়ান এবং মিতব্যায়ী হোনঃ দেশবাসীর প্রতি বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, সব প্রকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও অপচয় বন্ধ করতে হবে। আমদানিকৃত বিলাসবহুল দ্রব্য ক্রয় পরিহার করে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

নিজস্ব সঞ্চয় বাড়ান এবং মিতব্যায়ী হোনঃ দেশবাসীর প্রতি বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

প্রত্যেককে নিজস্ব সঞ্চয় বাড়াতে হবে। মিতব্যয়ী হতে হবে। কৃচ্ছতা সাধন করে কিছু সঞ্চয় করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। সব প্রকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয়, তথা অপচয় কমাতে হবে। সব বিলাসী দ্রব্য পরিহার করে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনায় মনোযোগ দিতে হবে।

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী এবং চলমান মুদ্রাস্ফীতির প্রেক্ষাপট্ মোকাবেলায় দেশবাসীকে আগের তুলনায় মিতব্যায়ী ও কৃচ্ছতা সাধনের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। দেশবাসীর প্রতি তার ভালবাসা ও উদারতা থেকে তিনি বলেছেন, প্রত্যেককে তার নিজ নিজ জায়গায় থেকে যতটুকু সম্ভব কৃচ্ছসাধন করতে হবে। প্রত্যেককে নিজস্ব সঞ্চয় বাড়াতে হবে। মিতব্যয়ী হতে হবে। কৃচ্ছতা সাধন করে কিছু সঞ্চয় করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। সব প্রকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয়, তথা অপচয় কমাতে হবে। সব বিলাসী দ্রব্য পরিহার করে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনায় মনোযোগ দিতে হবে।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে সঞ্চয় বাড়ানোর মাধ্যমে জাতীয় সঞ্চয় বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে হবে।বিদ্যুৎ ও পানি ঢালাওভাবে ব্যবহার করবেন না। অপচয় করবেন না।

বৈশ্বিক অতিমারি করোনার আরেকটা ঢেউ এসেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছি। সবাইকে টিকা দিতে পেরেছি। ডব্লিউএইচও’র নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা শতভাগ টিকা দিয়েছি। জীবন-জীবিকার সুরক্ষায় যতটুকু দেওয়ার তার সবটুকুই আমরা দিতে সক্ষম হয়েছি। করোনা নতুনভাবে আবার দেখা দিয়েছে। সবাইকে বলব, স্বাস্থ্য-সুরক্ষা মেনে চলতে। এ সময় তিনি সবাইকে করোনার বুস্টার ডোজ গ্রহণেরও আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, সব প্রকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও অপচয় বন্ধ করতে হবে। আমদানিকৃত বিলাসবহুল দ্রব্য ক্রয় পরিহার করে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কথায় কথায় বিদেশে চিকিৎসা নিলে হবে না, দেশেও ভালো চিকিৎসা হয়। আজকে যে সারা বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ এবং করোনা মহামারি এটা মোকাবিলা করেই আমাদের আগাতে হবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘা বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অতিমারি আমাদের অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। তবে আমরা এই ক্ষতি সামলে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। সরকার কার্যকর ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যে কোনো ধরনের বাধা আসুক না কেন, তা মোকাবিলা করতে পারব। সেই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। করোনা অতিমারির সময়কালে সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে তা চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সংকট কাটিয়ে এ পর্যন্ত ২৮টি প্রনোদনা প্যাকেজ চালু করেছি, যার মোট আর্থিক মূল্য এক লাখ ৮৭ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। এই প্রনোদনা কার্যক্রম আমরা ৭১ দশমিক ৫৫ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। এই প্রনোদনা চলমান থাকবে। আরেকটি সুখবর হলো- রপ্তানি খাত যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উপরে আমরা রপ্তানি করতে পেরেছি। অতিমারি মোকাবিলা করে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্লাবে বাংলাদেশ যোগদান করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রাখার জন্য ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য মান পুনঃনির্ধারণ করা হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। বিলাসবহুল সামগ্রী আমদানি যাতে কম হয়, সে জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

ক্রাইম ডায়রি/জাতীয়