নীলফামারীতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

চায়ের টেবিলগুলোতে রীতিমতো ঝড় উঠেছে।  এ ঘটনায় তার অধীনস্ত ৪২ জন স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী জেলা সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। 

নীলফামারীতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

এবার স্কুল ক্যাম্পেইনের ভাতার টাকা কম দেওয়ায় অধীনস্তরা ফুঁসে উঠেছেন। 

অনলাইন ডেস্ক:

স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম আর দূর্নীতির ছোয়া এখন মফস্বলেও। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে করোনাকালীন বরাদ্দের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের পর এবার স্কুল ক্যাম্পেইনের ভাতার টাকা পকেটস্থ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু শফি মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি নিউজের জেরে উত্তাল পুরো জেলা। চায়ের টেবিলগুলোতে রীতিমতো ঝড় উঠেছে।  এ ঘটনায় তার অধীনস্ত ৪২ জন স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী জেলা সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। 

অভিযোগ সূত্র জানায়, সম্প্রতি ৫ হতে ১১ বছর বয়সি স্কুল ক্যাম্পেইন ১ম ও ২য় রাউন্ডে করোনার টিকাদান সম্পন্ন করেন উপজেলা এইচএ ও এফডাব্লুএ স্বাস্থ্যকর্মীরা। জেলা সদর ও অন্যান্য উপজেলায় দুই রাউন্ডে টিকাদানের জন্য তারা ওয়ার্ডপ্রতি ৩৯ হাজার ১০০ করে টাকা পেয়েছেন।  কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু শফি মাহমুদ উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে দুই রাউন্ড টিকা দানের জন্য স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার-কল্যাণ সহকারীদের (এইচএ ও এফডাব্লুএ) ১৯ হাজার ৯০০ টাকা করে দিয়েছেন। ওয়ার্ডপ্রতি তাদের ১৯ হাজার ২০০ করে টাকা কম দিয়ে তিনি পকেটজাত করেছেন।       

এর আগে ৬ মার্চ শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে করোনাকালীন বরাদ্দের কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ দেন।  ২৭ মার্চ তার অপসারণের দাবিতে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ মানববন্ধন করেন। এবার স্কুল ক্যাম্পেইনের ভাতার টাকা কম দেওয়ায় অধীনস্তরা ফুঁসে উঠেছেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু শফি মাহমুদ স্হানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে সিএস অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় দিয়েছেন বলে শুনেছি। এ বিষয়ে আমি এখন ব্যাখ্যা দিতে চাই না। তিনি আরও বলেন, বরাদ্দ থেকে ২০ শতাংশ কর্তনের বিষয়টি সঠিক নয়। 

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ইতোমধ্যে তার  বিরুদ্ধে ওঠা করোনাকালীন বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন বলেন, এখনো তদন্ত রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে। 

ক্রাইম ডায়রি/ক্রাইম