রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসায়ীর ‘ভুয়া’ আপসনামায় জামিন নেওয়ার অভিযোগ

২০১৯ সালে তিনি ডেভেলপার ব্যবসায় নাম লেখান। এখন তিনি দামি হ্যারিয়ার গাড়িতে চড়েন। ফ্ল্যাট বিক্রির নামে তার বিরুদ্ধে বহু মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি করেন এজাজুল হক। এরপর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে।

রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসায়ীর ‘ভুয়া’ আপসনামায় জামিন নেওয়ার অভিযোগ
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

‘আমি থাকলে তোমার টাকা তো পাবাই। ১২ লাখ টাকায় তুমি কোটিপতি হয়ে যাবা? মানুষের মানসম্মান আছে না?’ 

 রাজশাহী ব্যুরো:

আবাসন ব্যবসায় রাজশাহীতে একের পর এক প্রতারণার ঘটনা ঘটেই চলেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক আবাসন ও রিয়েল এষ্টেট ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন তথ্য প্রকাশিত হবার পর নড়েচড়ে বসেছে দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। চলছে গভীর অনুসন্ধান। ্কাজ করছে দুদকও।এরই মাঝে সম্প্রতি, প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার হওয়া রাজশাহীর গ্রিন প্লাজা রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মোস্তাফিজ ‘ভুয়া’ আপসনামা দেখিয়ে আদালতে জামিন নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলার বাদী এজাজুল হক এ দাবি করেছেন। তিনি বিষয়টি আদালতের নজরে আনবেন বলেও জানিয়েছেন। এজাজুল হকের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়। এজাজুল হক বৃহস্পতিবার রাতে মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে তিনি বলেন, মোস্তাফিজের কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট নিতে তিনি ১২ লাখ টাকা দেন; কিন্তু মোস্তাফিজ চুক্তিপত্রের শর্ত ভেঙে ফ্ল্যাটটি অন্যজনের কাছে বিক্রি করে দেন। এ কারণে এজাজুল টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন মোস্তাফিজ। এ মামলা দায়েরের পরই মোস্তাফিজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর সকালেই তাকে থানা থেকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বিকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ মোস্তাফিজের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম তার জামিন আবেদন করেন। এ সময় বিচারক মহিদুল ইসলাম আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। এ দিন স্বাধীনতা দিবসের ছুটি থাকার কারণে আদালতের কর্মচারীরা ছিলেন না। আদালতে দায়িত্বে থাকা পুলিশ এ মামলার নথিপত্র আদালতের কাছে উপস্থাপন করে।

আসামির জামিন পাওয়ার কথা শুনে অবাক হন বাদী এজাজুল হক। বুধবার বিকালে তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) আদালত পরিদর্শকের কার্যালয় থেকে মামলার নথিপত্র তুলে দেখেন, আসামিপক্ষ একটি আপসনামা জমা দিয়েছে। এই আপসনামায় স্বাক্ষর রয়েছে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর। আপসনামাটিতে উল্লেখ আছে, ফ্ল্যাটের ক্রেতা এজাজুল হক চুক্তি বাতিল করছেন। চুক্তিপত্র অনুযায়ী মোস্তাফিজুর রহমান ১০ শতাংশ টাকা কেটে বাকি ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেন। এজাজুলের আর কোনো দাবি থাকল না।

এজাজুল হক বলছেন, তিনি এক টাকাও ফেরত পাননি। কোন আপসনামাও হয়নি। মামলার নথিতে থাকা এই আপসনামাটি ভুয়া। সেখানে থাকা তার স্বাক্ষরটি জাল। তিনি বলেন, আমার নামে ভুয়া আপসনামা আদালতে দেওয়ার কারণে আমি মামলা করব। এজাজুল হক বলেন, আসামি মোস্তাফিজের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম তার পূর্বপরিচিত। মোস্তাফিজকে আদালতে নেওয়ার পর তিনি আপস করার জন্য কয়েক দফা ফোন করেন। আইনজীবী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথোপকথনের অডিও রেকর্ডও এজাজুল হক শোনান। এতে শফিকুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি থাকলে তোমার টাকা তো পাবাই। ১২ লাখ টাকায় তুমি কোটিপতি হয়ে যাবা? মানুষের মানসম্মান আছে না?’ 

এজাজুল বলেন, ‘এই চিটের জন্য আপনি অনুরোধ করছেন কেন?’ একপর্যায়ে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বাদী এজাজুল হককে বলেন, ‘আচ্ছা ঠিক আছে। তোমাকে আমি আর রিকোয়েস্ট করব না। তুমি চুপ থাকো। তুমি এই মামলাতে পারলে জেল দিও।’

ভুয়া আপসনামা দিয়ে আসামির জামিন করানোর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপসনামা আমি দিব কেন? আমার মক্কেল দিয়েছে। আসল না নকল সেটা সে বলতে পারবে। আমি বলতে পারব না।’ জামিন শুনানির আগে বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আপসের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।আদালতে নথিপত্র উপস্থাপন করেছিলেন আরএমপির আদালত পরিদর্শকের কার্যালয়ের (জিআরও) বোয়ালিয়া ও মতিহার থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান।

আপসনামাটি দেখে তিনি বলেন, ‘এই আপসনামা কাল আসামি মোস্তাফিজের আইনজীবী দিয়েছেন।’ আপসনামাটি জাল, বাদীর এমন দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমি বলতে পারব না। এ রকম হয়ে থাকলে বাদী বিষয়টি আদালতের নজরে আনবেন।’ তিনি জানান, ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাজির হওয়ার শর্তে আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। এজাজুল হক মামলা করেন পেনাল কোডের ৪২০, ৪০৬ ও ৫০৬ ধারায়।

রাজশাহী জেলা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী পারভেজ তৌফিক জাহেদী জানান, এই তিন ধারার মধ্যে ৪০৬ ধারাটি অজামিনযোগ্য। তবে বাদীর সঙ্গে আসামির আপস হলে আদালত জামিন কিংবা মামলা নিষ্পত্তি করতে পারেন। আপসনামাটির কারণেই আসামি জামিন পেয়েছেন। এটি ভুয়া হলে মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখে বাদী বিষয়টি আদালতের নজরে আনতে পারেন। মোস্তাফিজুর রহমান রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট। ২০১০ সালের দিকে রাজশাহীতে পলিটেকনিকে ভর্তি হয়ে পড়াশোনার খরচ চালাতে তিনি এক নিঃসন্তান দম্পতির বাসায় পালক ছেলে হিসেবে আশ্রয় নেন।

২০১৯ সালে তিনি ডেভেলপার ব্যবসায় নাম লেখান। এখন তিনি দামি হ্যারিয়ার গাড়িতে চড়েন। ফ্ল্যাট বিক্রির নামে তার বিরুদ্ধে বহু মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি করেন এজাজুল হক। এরপর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। এ মামলার বাদীর নাম মো. রুবেল। ফ্ল্যাট বিক্রির নামে মোস্তাফিজ তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। বিষয়গুলো নিয়ে মামলার আসামি মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে ফোন করা হয়। তবে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য যে, 

বৈধ আবাসন ব্যবসার নামে ‘ফুটপাত থেকে কোটিপতি’ বনে যাওয়া  প্রতারক গ্রিন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মোস্তাফিজকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে রাজশাহী মহানগরী থেকে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার মোস্তাফিজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোটাহাট উপজেলার আব্দুর রাকিবের ছেলে।

প্রতারক মোস্তাফিজকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে অন্তত ডজনখানেক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার রাতে প্রতারক মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে ১২ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার এজাজুল হক নামের এক ব্যক্তি এ মামলাটি দায়ের করেন। এজাজুল হক অভিযোগ করেন, তার নিকট একটি ফ্ল্যাট বিক্রির চুক্তি করে ১২ লাখ টাকা নেন মোস্তাফিজ। কিন্তু তিনি ওই ফ্লাটটি না দিয়ে উল্টো এজাজকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সমস্ত কাগজপত্র জোর করে কেড়ে নেন।

এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে ৬৩ লাখ টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে আরও একটি অভিযোগ দেওয়া হয় বোয়ালিয়া মডেল থানায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক নারী সেই অভিযোগ দেন।

ওই নারীর অভিযোগ, রাজশাহী মহানগরীর ঘোড়ামারা এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের একটি ফ্ল্যাট মোস্তাফিজ ৬৪ লাখ টাকা দাম ধরে তার নিকট বিক্রি করেন। এরই মধ্যে ওই নারী মোস্তাফিজকে ৬৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু এখন আরও ১১ লাখ টাকা বেশি দাবি করছেন মোস্তাফিজ। ওই টাকা না দিলে ওই নারীকে ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিচ্ছেন তিনি।  ওই নারী এর আগে এক রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে অভিযোগ করেন। মেয়রের হস্তক্ষেপে তিনি ফ্ল্যাট বুঝে পেলেও তাকে রেজিস্ট্রি দেননি মোস্তাফিজ।

এছাড়া রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলামের কাছে থেকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারক মোস্তাফিজ ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় প্রফেসর কামরুল রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) বরাবর গত ৭ মার্চ একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে তিনি বলেন, গত বছরের ১১ নভেম্বর মহানগরীর ঘোড়ামারা এলাকায় মোস্তাফিজের মালিকনাধীন ‘গ্রিন প্যালেস’ নামের একটি ভবনের ছয় তলায় একটি ফ্ল্যাট ৬০ লাখ টাকায় চুক্তি করেন। এর মধ্যে দুটি চেকে ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এরপর আরও ৫ লাখ টাকা নগদ নেন মোস্তাফিজ। কিন্তু চুক্তির তিন মাস পরে ২৫ লাখ টাকা নিয়েও বেশি লাভে চুক্তি করা ফ্ল্যাটটি সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। এরপর থেকে মোস্তাফিজ আর ফোন ধরেন না। টাকাও ফেরত দেন না।

এদিকে মোস্তাফিজকে গ্রেফতারের পর সন্তোষ প্রকাশ করে আবু হানিফ নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘পূর্ব পরিচিত হওয়ায় প্রতারক মোস্তাফিজকে প্রায় বছর খানেক আগে ভবন নির্মাণের জন্য একখণ্ড জমি দিয়েছিলাম। চুক্তি হয়েছিল ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে। কিন্তু মোস্তাফিজ আমার সঙ্গে বড় ধরনের প্রতারণা করেছেন। তখন সেই চুক্তি বাতিল করে অন্য একজন আবাসন ব্যবসায়ীকে জমিটি ভবন নির্মাণের জন্য দিলে তিনি আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য আরও বড় ধরনের প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করেন।

ভুক্তভোগী আবু হানিফ আরও বলেন, আমার একটি ব্যাংক একাউন্টের ফাঁকা চেক কৌশলে নিয়ে সেখানে ২ কোটি ৩২ লাখ টাকার এমাউন্ট বসিয়ে মিথ্যা চেকের মামলায় আমাকে ফাঁসায়। এই মামলায় আমাকে আড়াই মাস জেল খাটতে হয়েছে। প্রকৃতির বিচার খুব নির্মম। জমি আমার। কিন্তু আমাকেই জেল খাটতে হয়েছে। অবশেষে সেই প্রতারক গ্রেফতার হয়েছে জেনে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আমি এই প্রতারকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মাত্র একযুগ আগেও রাজশাহীর একটি বেসরকারি কোম্পানির অফিস সহকারী (পিওন) পদে চাকরি করতেন মোস্তাফিজ। পড়াশোনার খরচ যোগাতে প্রয়াত এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে বাবা এবং তার স্ত্রীকে মা পাতিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। তাদের নিকট থেকেও প্রতারণা করে ৯০ লাখ টাকা এবং ৩ কাঠার একটি প্লট আবাসন ব্যবসার নাম করে হাতিয়ে নেন। এরপর থেকে রাজশাহী মহানগরীতে মোস্তাফিজের উত্থান শুরু হয়। একের পর এক প্রতারণা করে মাত্র পাঁচ-সাত বছরের মাথায় ফুটপাতের প্রতারক মোস্তাফিজ হয়ে যান কয়েক কোটি টাকার মালিক।

এছাড়া চড়েন টয়োটা ব্যান্ডের বিলাসবহুল হ্যারিয়ার গাড়িতে। যাপন করেন আভিজাত্যপূর্ণ চাকচিক্যময় চোখ ধাঁধানো জীবন। বাগিয়ে নিয়েছিলেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের মতো প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের পদও। অবশেষে মঙ্গলবার ভোরে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন রাজশাহীর আলোচিত এই প্রতারক।

ক্রাইম ডায়রি/ ক্রাইম