ফেসবুকে নোট লিখে জগন্নাথের ছাত্রীর আত্মহত্যা

কতটা বিপদগ্রস্ত হলে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মাহে রমজানের মধ্যে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় তা ফেসবুকে লিখে যাওয়া এই নোট দেখলেই বোঝা যায়।

ফেসবুকে নোট লিখে জগন্নাথের ছাত্রীর আত্মহত্যা
ছবি-ক্রাইম ডায়রি

"আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।"

অনলাইন ডেস্কঃ

কতটা বিপদগ্রস্ত হলে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মাহে রমজানের মধ্যে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় তা ফেসবুকে লিখে যাওয়া এই নোট দেখলেই বোঝা যায়।  মার্চ ১৬, শনিবার রাত ১১ টার দিকে নোট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ডেথ নোট লিখেন তিনি। এরপরই আত্মহত্যা করেন। এদিকে ফেসবুক নোট লেখা মাত্র কমেন্ট আসতে থাকে। ণএরই মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটায় তার বন্ধুদের অনেকেই তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন। কমেন্ট বক্সেই তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় এমনকি তার হাসপাতালে নেয়ার ছবিটি দেখে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে দেখা যায়। তার লিখে যাওয়া নোটঃ

"আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতাম ও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতিয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্ট দের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায় সেটা কুমিল্লার কারো সৎসাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে " খানকি তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেনো? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি তোরে এখন কে বাঁচাবে? " 
আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিলো। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিকাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তো থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া আর সো কিনা শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না 
আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম।  
আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজার টা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার।"

ইতোমধ্যে তার বন্ধুরা অপরাধী চক্রকে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। সবার একটাই দাবী শুধু সাময়িক বহিষ্কার নয় স্থায়ী বহিষ্কার সহ কঠোর বিচার ও শাস্তি দাবী করেছেন তারা।

ক্রাইম ডায়রি / ক্রাইম