অনলাইনে প্রেম করে আপত্তিকর ভিডিও সংগ্রহঃ ফাঁদে ফেলে টাকা আদায়

Collection of offensive videos of making love online. Recover money by trapping

অনলাইনে প্রেম করে আপত্তিকর ভিডিও সংগ্রহঃ ফাঁদে ফেলে টাকা আদায়

আরিফুল ইসলাম কাইয়ুমঃ

অনলাইন  ও সামাজিক গণমাধ্যমে প্রেম করে প্রতারণার বিষয়টি নতুন নয়। এত আধুনিক জামানায় এখনও মানুষ বুঝে না বুঝের মত অনলাইন মাধ্যমে গোপন প্রেমের আশ্রয়  নেয় যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ভীতিকর ও বটে। প্রায়শঃই অনলাইন  মাধ্যমে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা দেখা যায়।  সম্প্রতি , রাজধানীর  খিলখেতে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। থানা সূত্রে  জানা  গেছে, হোয়াটসঅ্যাপ  সম্পর্ক স্থাপন করে তরুণীর আপত্তিকর ছবি ধারণ করে আবির নামের এক যুবক।  পরে সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে  টাকা দাবি করে সে। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে খিলক্ষেত থানা পুলিশ অক্টোবর ৭,২০২০ইং তারিখে  মিরপুর থেকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, একাধিক তরুণীর কাছ থেকে একই ভাবে সে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে।

খিলক্ষেত থানা পুলিশ জানায়, ১৮ বছর বয়সী ঐ তরুনীর সাথে সম্পর্ক  স্থাপন করে আবির। একপর্যায়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে। দু’জনের মধ্যে নিয়মিত চ্যাটিং হতো। প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে ওই তরুণী আবেগপ্রবণ হয়ে আপত্তিকর ভিডিও চ্যাট করে। আবির সেই ভিডিও চ্যাট গোপনে নিজের মোবাইলে সেইভ করে । পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে  ব্রেকআপ হয়। এরপর ০৩ অক্টোবর ভিকটিমের হোয়াটসঅ্যাপে আপত্তিকর ছবি (আপত্তিকর ভিডিও চ্যাট) পাঠায় আবির। ভিকটিমকে হোয়াটসঅ্যাপে কল করে টাকা দাবি করে এবং তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে মানসিক নির্যাতন শুরু করে। যদি তাকে টাকা না দেয়া হয় এবং তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক না করে তাহলে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। এরপর ওই তরুণী তার মাকে নিয়ে অক্টোবর ০৭,২০২০ ইং তারিখে খিলক্ষেত থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে  বিস্তারিত খুলে বলেন। তরুনীর আত্ন চিৎকারে ভারী হয়ে যায় থানার পরিবেশ।  সে ওসিকে উদ্দেশ্য করে  বলতে থাকে, ‘ আমাকে বাঁচান, না হলে আমি আত্মহত্যা করব।’

এরপর ভিকটিমকে মামলার পরামর্শ  দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আবিরের অবস্থান শনাক্ত করা হয় এবং একই দিন সন্ধ্যায় মিরপুর-১ নম্বর গোলচত্বর থেকে আবিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আবিরের মেসে গিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে ভিকটিমের আপত্তিকর ছবিসহ ভিডিও ক্লিপ এবং আরও বেশ কয়েকজন মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও জব্দ করে পুলিশ।

খিলক্ষেত থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন সাংবাদিকদের  জানান. আবির দীর্ঘদিন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অনেক মেয়েকে ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে আসছে। কিন্ত অতি লোভে তাঁতী নষ্ট। তার অপরাধের পাল্লা ভারী হওয়ায় সে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে।

ক্রাইম  ডায়রি // ক্রাইম