চলো যাই যুদ্ধে , মাদকের বিরুদ্ধে: নাটোরে যুবকের রগ কেটে দিল মাদকব্যবসায়ীরা
হামলার শিকার জামাল কাজী সাংবাদিকদের জানান, মিল্টন আগে থেকেই মাদক ব্যবসায় জড়িত। সম্প্রতি তার নিজ এলাকা মল্লিকহাটিতেও মাদক সরবরাহ শুরু করে মিল্টন। এতে তিনি বাধা দেন।
মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে তারা পেছনে তাকাতেই দেখেন জামাল কাজী একটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা ছুটে গিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে চলে যায়।
নাটোর সংবাদদাতাঃ
মাদক সর্বনাশা। এর বিরুদ্ধে খোদ সরকার প্রধান যুদ্ধ ঘোষনা করার পরও থেমে যায়নি এ যুদ্ধ। সর্বনাশা মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে ধ্বংস হচ্ছে হাজারো পরিবার, লাখো স্বপ্ন,কোটি তরুন। এ যুদ্ধ চলবে,চালাতেই হবে। সম্প্রতি, নাটোর শহরে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় কাজী জামাল হোসেন (৩৮) নামে এক ব্যক্তির হাতের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে শহরের সদর রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন আহত কাজী জামাল হোসেন। নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ জানান, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, নাটোর শহরের কান্দিভিটা মহল্লার পোস্ট অফিসের মোড় ও রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই যুবকের মধ্যে বির্তকের ঘটনা ঘটে। এর প্রায় ১৫ মিনিট পরই প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন জামাল হোসেন কাজী নামের এক যুবক। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওই যুবকের হাতের মাংস ও রগ কেটে যায়। নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে ওই রাতেই আহত যুবককে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। জানা গেছে, জামাল কাজী শহরের মীরপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। অপরদিকে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মিল্টন এবং সাইফুলের বাড়ি শহরের মল্লিকহাটি এলাকায়।
হামলার শিকার জামাল কাজী সাংবাদিকদের জানান, মিল্টন আগে থেকেই মাদক ব্যবসায় জড়িত। সম্প্রতি তার নিজ এলাকা মল্লিকহাটিতেও মাদক সরবরাহ শুরু করে মিল্টন। এতে তিনি বাধা দেন। ওই ঘটনার জেরে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় হাতের কবজি কেটে মাংস ও রগ কেটে গেছে। পরে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের ডাক্তার সেলাই দিতে না পেরে তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী নাজমুল শেখ বাপ্পী বলেন, মিল্টন ও সাইফুল আহত জামাল কাজীকে খোঁজ করে না পেয়ে চলে যাচ্ছিল। মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে তারা পেছনে তাকাতেই দেখেন জামাল কাজী একটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা ছুটে গিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে চলে যায়। তবে অন্য একটি সূত্র দাবি করেছে এলাকায় মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্ব নিয়েই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও মিল্টন ও সাইফুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি।
ক্রাইম ডায়রি// ক্রাইম