দুদকের সাফল্যঃ হালদার গংয়ের তথ্য উদ্ধারঃ নাহিদা ও অবন্তিকার এত টাকার উৎস পিকে হালদার
Success of ACC: Haldar Ganga data recovered: Nahida and Avantika are the source of so much money PK Haldar
কথায় আছে, "সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।" অসৎ সঙ্গে সাময়িক সুখ ও বিলাসিতা চোখে পড়লেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভয়ংকর বিপদ অনিবার্য হয়ে ওঠে।। তেমনই ঘটনার জ্বলন্ত উদাহরন পিকে হালদার এন্ড গং। উপার্জন ও কষ্ট ছাড়া হঠাৎই সম্পদের পাহাড়ের মাঝে গড়াগড়িই যেন তাদের জীবনের কাল হলো। হঠাৎ করে মানুষ সম্পদ অর্জন করতে পারে এবং তার পিছনে ব্যবসাসহ একাধিক যুক্তিও থাকতে পারে। কিন্তু ব্যবসা ছাড়াই শুধু সরকারের টাকা লোপাট করে সম্পদ অর্জন যথেষ্ট অনৈতিক কাজ।
ক্রাইম ডায়রি ডেস্কঃ
কথায় আছে, "সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।" অসৎ সঙ্গে সাময়িক সুখ ও বিলাসিতা চোখে পড়লেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভয়ংকর বিপদ অনিবার্য হয়ে ওঠে।। তেমনই ঘটনার জ্বলন্ত উদাহরন পিকে হালদার এন্ড গং। উপার্জন ও কষ্ট ছাড়া হঠাৎই সম্পদের পাহাড়ের মাঝে গড়াগড়িই যেন তাদের জীবনের কাল হলো। হঠাৎ করে মানুষ সম্পদ অর্জন করতে পারে এবং তার পিছনে ব্যবসাসহ একাধিক যুক্তিও থাকতে পারে। কিন্তু ব্যবসা ছাড়াই শুধু সরকারের টাকা লোপাট করে সম্পদ অর্জন যথেষ্ট অনৈতিক কাজ। মনে আছে, পিকে হালদারের দুই বান্ধবী নাহিদাবও অবন্তিকার কথা। পেটের দায়ে ঢাকায় পাড়ি জমানো নাহিদা রুনাই অফিস এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগদান করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারের প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ফিন্যান্স লিমিটেডের অফিসে। এরপরের বছর ইতিহাস গড়লেন তিনি। পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা যতই বাড়তে থাকে তড়তড় করে আলাদীনের চেরাগের মালিক বনে যান নাহিদা। এমডি পিকে হালদারের বান্ধবী পোষ্ট পেয়ে হয়ে যান নাহিদা পিকে হালদারের মালিক। কপাল খুলে যায় তার। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।নাহিদা রুনাইয়ের প্রায় ২৮ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অনুসন্ধান দল। এছাড়া তার ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৭০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে দুদক।
পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,, দুই বান্ধবী নাহিদা রুনাই ও অবন্তিকা বড়ালকে নিয়ে অন্তত ২০-২৫ বার বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন হালদার। শয্যা সঙ্গী হিসেবে এই দু’জনের সঙ্গে তিনি পৃথকভাবে ২০ থেকে ২৫ বার সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন। ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে রুনাই ও অবন্তিকার সঙ্গে পি কে হালদারকে আলাদাভাবে সময় কাটাতে দেখা যেত সবসময়।
জাতীয় দৈনিক যুগান্তরের একটি অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় এসেছিলেন নাহিদা। চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার মফিজুর রহমানের মেয়ে তিনি। তার বাবা চট্টগ্রামে একটি সরকারি দপ্তরে ‘করণিক’ পদে চাকরি করতেন। আর সেই নারী ঢাকায় এসে পাঁচ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যান হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে কানাডা পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের কল্যাণে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে , হালদারের অর্থ পাচার সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়গুলো দেখভাল করতেন নাহিদা রুনাই। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারের ওপর মহলকে ম্যানেজ করতেন তিনি। আর এসব কাজের পুরস্কার হিসেবে নাহিদাকে শূন্য থেকে কোটিপতি বানিয়েছেন পি কে হালদার। এসএমই পলান শাখার অফিস এক্সিকিউটিভ থেকে এক সময় পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠজনদের কাছে ‘বড় আপা’ হিসেবে পরিচিতি পান রুনাই। রিলায়েন্স ফিন্যান্স থেকে নাহিদাকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে নিয়ে আসেন পি কে হালদার। দ্রুততম সময়ে চারটি পদোন্নতি দিয়ে তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করেন।
গণমাধ্যম সুত্রে জানা গেছে, নাহিদা রুনাই আনান কেমিকেল লিমিটেড নামে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র তৈরি করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ৭০ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় জানুয়ারি মাসে দায়ের করা একটি মামলায় নাহিদাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া নাহিদার বিরুদ্ধে পি কে হালদার সংশ্লিষ্ট আরও ১০ টি মামলার অনুমোদন রয়েছেন। এসব মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
মঙ্গলবার পি কে হালদারের আলোচিত এই বান্ধবী নাহিদা রুনাইকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি পি কে হালদারের আরেক বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেফতার করা হয় ।
এ দুজনের জবানবন্দিতে অর্থ আত্মসাতের এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পি কে হালদারের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তার ৬২ জন সহযোগীর খোঁজ পায় দুদক। সহযোগীদের মধ্যে দুই বান্ধবী নাহিদা রুনাই ও অবন্তিকা বড়াল অন্যতম দুদক সুত্রে জানা গেছে।
ক্রাইম ডায়রি /// অপরাধ জগত