পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ACC case against Chief Engineer of Water Development Board

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

মোঃ হেলাল উদ্দিনঃ

নদী শাসনের জন্য নদী  সেচপ্রকল্পের মেশিনও  পাম্প কেনায় প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রধান প্রকৌশলী চৌধুরী নাজমুল আলম এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিগমা ইঞ্জিনিয়ার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। ২১ অক্টোবর, ২০২০ইং বুধবার দুদকের হবিগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের জনসংযোগ (পরিচালক) কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি সাংবাদিকদের  নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা হলেন- পাউবোর যান্ত্রিক সরঞ্জাম বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী চৌধুরী নাজমুল আলম, পাউবোর পাবনা পওর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও সাবেক প্রকল্প পরিচালক এসএম শহিদুল ইসলাম, ঢাকা যান্ত্রিক (পাম্প হাউস) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, ঢাকার কেন্দ্রীয় যান্ত্রিক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু তালেব, ঢাকা যান্ত্রিক (পাম্প হাউস) বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম গোলাম সরওয়ার, পাউবোর নকশা সার্কেল -৩ (যান্ত্রিক)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্বাস আলী, ডিজাইন সার্কেল-১ ঢাকার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবদুল বাছিত ও চাঁদপুর যান্ত্রিক উপবিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রুহুল আমিন, সিগমা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সৈয়দ আরশেদ রেজা এবং জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. আবদুস সালাম। এজাহারে বলা হয়েছে– আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের সহায়তায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে মৌলভীবাজারের মনু নদীর সেচপ্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন প্রকল্পের জন্য প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে পাম্প ক্রয় করেন। ফলে সরকারের ৩৪ কোটি ৪২ লাখ ১৭ হাজার ১৯৬ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। অনুসন্ধানে প্রকল্পের আওতায় বসানো ৮টি পাম্পের প্রকৃত মূল্য পাওয়া যায় ২০ কোটি ৪১ লাখ ৭ হাজার ৬০৩ টাকা। যেখানে বিল হিসেবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে ৫৪ কোটি ৮৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৯৯ টাকা।

অভিযোগের সঙ্গে আসামিদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় ‘মনু নদীর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন’ প্রকল্পের পাম্প হাউসের পাম্পগুলো দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবৎ ব্যবহার হয়ে আসছিল।  পাম্পগুলোর কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কেএসবি, জার্মানির স্থানীয় এজেন্ট সিগমা ইঞ্জিনিয়ার্স নামক কোম্পানিকে কার্যাদেশ দেয়ার অসৎ উদ্দেশে উদ্যোগ নেয় আসামিরা।  

ক্রাইম  ডায়রি //ক্রাইম